Connect with us

আবহাওয়া

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে নিহত বেড়ে ৩৫

Published

on

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে নিহত বেড়ে ৩৫

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নৌকাডুবি ও সৃষ্ট ঝড়ে গাছ পড়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে কুমিল্লায় তিনজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, ভোলায় চারজন, গোপালগঞ্জে দুজন ও নড়াইল, ঢাকা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রামে আটজন ও বরগুনায় একজন নিহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে বালু তোলার ড্রেজার ডুবে আট শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গেলো সোমবার রাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের ৩ নম্বর জেটি এলাকার পশ্চিমে এ ড্রেজারডুবির ঘটনা ঘটে।

ড্রেজারটি থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিক মো. সালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তীব্র বাতাস ও ঢেউ ওঠায় সৈকত-২ নামে তাদের ড্রেজারটি মিরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যায়। ড্রেজারটির মালিক সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে নিয়োগ দিয়েছে বেপজা। ড্রেজারটিতে থাকা ৯ শ্রমিকের মধ্যে তিনি কিনারে আসতে পারলেও বাকি ৮ শ্রমিক আটকা পড়েন।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুর বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে ড্রেজার ডুবে আট শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই অন্য শ্রমিকেরা আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে গেলে তারা ভেতরে শ্রমিকদের মৃত অবস্থায় দেখতে পান। লাশ উদ্ধারে সাগরে ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিস দল কাজ করছে। এ পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

কুমিল্লা : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেশাখাল এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের এক সন্তান নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন-মো. নিজাম উদ্দিন, তার স্ত্রী সাথি আক্তার ও মেয়ে লিজা আক্তার।

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান মেহেবব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় যমুনা নদীর ক্যানেলে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে নৌকাডুবিতে মা-ছেলে নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্বমোহন ও শিল্পপার্কের মাঝখানে ওই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পূর্বমোহন গ্রামের খোকনের স্ত্রী আয়েশা খাতুন (২৮) ও ছেলে আরাফাত হোসেন (২)।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিল্পপার্ক এলাকা থেকে লগি-বৈঠাচালিত একটি ছোট্ট নৌকাযোগে আয়েশা খাতুন ও তার ছেলেসহ ছয়জন পূর্বমোহনপুরে ফিরছিলেন। এ সময় মাঝপথে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তীব্র বাতাস শুরু হলে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে আরাফাত মায়ের কোল থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে তাৎক্ষণিক মারা যায় ও আয়েশা খাতুনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, সোমবার রাতে নৌকা ডুবে গেলে অন্যান্যরা পাড়ে উঠলেও শিশু আরাফাত পানিতে ডুবে যায়। এ সময় তাকে খুঁজতে থাকেন তার মা আয়েশা খাতুন। পরে আরাফাতের মৃত্যু ঘটনাস্থলেই হয়। এ সময় বাকিরা সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে আয়েশা খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভোলা : ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সদর, লালমোহন, চরফ্যাশন ও দৌলতখান উপজেলায় চারজন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে তিনজন ও মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরের দিকে একজন নিহত হয়েছেন।

Advertisement

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চেওয়াখালী গ্রামের মো. মফিজুল ইসলাম (৬০), চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের মো. মনির হোসেন (৩০), লালমোহন উপজেলার লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাবেয়া বেগম (২৫) ও দৌলতখান পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খাতিজা বেগম (৬০)।

জানা গেছে, সদরের মফিজুল ইসলাম একটি গাছ ভেঙে বসতঘরের ওপরে পড়লে চাপা পড়ে নিহত হন। লালমোহনের রাবেয়া বেগম জোয়ারের পানিতে ডুবে নিহত হন। দৌলতখানের খাদিজা বেগমও ঘরের ওপর গাছ পড়ে চাপায় নিহত হন। এ ছাড়া চরফ্যাশনের হাজারীগঞ্জে মনির মোটরসাইকেল করে যাওয়ার সময় গাছের ডাল ভেঙে শরীরে পড়ে নিহত হন।

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম ভোলা সদর ও দৌলতখানের হতাহতের তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন।

চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল নোমান বলেন, চরফ্যাশনে একজন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ঘর পুরো বিধ্বস্ত ও এক হাজারের অধিক ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।

এদিকে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, লালমোহনে একজন নিহত হয়েছেন।

Advertisement

নড়াইল : ঘূর্ণিঝড়ে নড়াইলে গাছের ডাল পড়ে মর্জিনা বেগম (৩২) নামে এক গৃহপরিচারিকা নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ছেলে জিহাদকে (১১) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজুপুর গ্রামের আব্দুল গাফফারের বাড়িতে ভাড়া থেকে বিভিন্ন বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন মর্জিনা। তিনি বাগেরহাটের স্থায়ী বাসিন্দা। প্রতিদিনের দিনের মতো সোমবার সকালে বাসা থেকে কাজের উদ্দেশে বের হন তিনি। পথে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় পৌঁছালে মেহগনি গাছের ডাল ভেঙে মাথায় পড়ে আহত হন মর্জিনা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিরউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরগুনা : বরগুনা সদর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট ঝোড়ো বাতাসে বসতঘরে গাছ উপড়ে পড়ে এক বৃদ্ধা (১১৫) নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সোনাখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আমেনা খাতুন (১১৫)।

Advertisement

নিহতের পরিবার জানান, সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া ঝোড়ো বাতাসে তাদের বাড়ির পাশে থাকা চাম্বল গাছ উপড়ে বসতঘরের ওপর পড়ে। এ সময় ঘর ও গাছের নিচে চাপা পড়ে আমেনা ঘটনাস্থলেই মারা যান।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার আগেই স্থানীয় ইউপি সদস্য আমেনা খাতুনের বাড়ি এসে তার সন্তান ও নাতিদেরকে নিয়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে যেতে বলেন। আমেনা খাতুন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে রাজি হননি। নাতিরা তাদের ঘরে নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। আমেনা খাতুন ছোট্ট একটি ঘরে একাই থাকতেন।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সোমবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গাছচাপায় দুই নারী নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল মনসুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার পাঁচকাহনিয়া ও বাঁশবাড়িয়ার চরপাড়া গ্রামে এ পৃথক ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিহত ব্যক্তিরা হলেন, বাঁশবাড়িয়ার চরপাড়া গ্রামের হান্নান তালুকদারের স্ত্রী রোমেছা বেগম (৫৮) ও পাঁচকাহনিয়া গ্রামের রেজাউল খার স্ত্রী সারমিন বেগম (২৫)।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়ার চরপাড়া গ্রামের হান্নান তালুকদারের ঘরের ওপর চম্বল গাছ উপড়ে পড়ে গাছচাপা পড়ে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই উপজেলার পাঁচকাহনিয়া গ্রামে রেজাউল খার বাড়ির পাশে থাকা খেজুর গাছ তার বসত ঘরে উপড়ে পড়ে। এ সময় ঘরে থাকা তার স্ত্রী সারমিন বেগম গাছচাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের বসত ঘর ঠিক করে দেয়া হবে। এ ছাড়া জেলার অন্য কোথাও কারোর ঘরবাড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদেরকেও ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করা হবে।

ঢাকা : সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি আর ঝড়ের মধ্যে ঢাকার হাজারীবাগে দেয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন এক মোটরসাইকেল চালক। সোমবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জিগাতলার মনেশ্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, স্থানীয় লোকজন দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে রিকশাচালককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সোমবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আহত মোটরসাইকেল চালককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় ঘরের ওপর গাছ পড়ে শাফিয়া খাতুন (৬৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।

Advertisement

আবহাওয়া

আরও ২ দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ ৪ বিভাগে

Published

on

দেশের চারটি বিভাগে আরো দুই দিনের জন্য ‘হিট অ্যালার্ট’ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।এর আগে গত ১৫ মে দিনের হিট অ্যালার্ট দিয়েছে সংস্থাটি।

ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে গণমাধ্যমে জানান আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

আবহাওয়া অফিস আগামী তিন দিনের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, শনিবার (১৮ মে) সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সে সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের অপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ে যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর

Published

on

দেশজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে স্বাভাবিক জীবনে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। আগামী ১৯ মে দেশের কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ১৮ মে সিলেট বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আভাহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রোববার (১৯ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশাল,চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

সংস্থাটি আরও জানায়, সোমবার (২০ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

১৮ মে থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা

Published

on

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিরাজমান। চলমান এই তাপপ্রবাহ আরও ২ দিন অব্যাহত থাকবে। জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে এই তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল শুক্রবার (১৭ মে) তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আর ১৮ মে থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। এছাড়া ২২-২৩ মে এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের বিভিন্ন মডেল পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২১ তারিখের পর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যেটি পরবর্তীকালে লঘুচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। ঘূর্ণিঝড় হলে কোথায় আঘাত হানতে পারে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। এটির গতিপ্রকৃতি এখন স্পষ্ট নয়। লঘুচাপ সৃষ্টির পর বলা যাবে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version