Connect with us

জাতীয়

বৈশ্বিক আইনশৃঙ্খলা সূচকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ

Published

on

বৈশ্বিক আইনশৃঙ্খলা সূচকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ-এর রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। সূচকে সবার ওপরে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এছাড়া এই সূচকে সবচেয়ে নিচে রয়েছে আফগানিস্তান। অর্থাৎ তালেবান-শাসিত দেশটিই বিশ্বের সবচেয়ে কম নিরাপদ দেশ।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) গেলো বছরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০২১ সালের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে বুধবার বৈশ্বিক আইনশৃঙ্খলা সূচক-২০২২ প্রকাশ করে গ্যালাপ। এতে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৬ স্কোর নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে তাজিকিস্তান (৯৫), নরওয়ে (৯৩), সুইজারল্যান্ড (৯২) ও ইন্দোনেশিয়া (৯২)।

অন্যদিকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে মাত্র ৫১ স্কোর নিয়ে সূচকে সবচেয়ে নিচে রয়েছে আফগানিস্তান। তলানিতে থাকা ৫টি দেশের অন্য চারটি হলো- গ্যাবন (৫৪), ভেনেজুয়েলা (৫৫), ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো বা ডিআর কঙ্গো (৫৮) এবং সিয়েরা লিওন (৫৯)।

যে দেশের স্কোর যত বেশি, সে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তত ভালো বলে মনে করা হয়।

Advertisement

সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৭৯। ২০২১ সালে বাংলাদেশের এই স্কোর ছিল ৭৭। অর্থাৎ চলতি বছর বাংলাদেশের স্কোর ২ পয়েন্ট বেড়ে আগের চেয়ে ভালো অবস্থান প্রকাশ করছে।

অবশ্য ২০২০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৮১। সেই হিসেবে ২০২১ সালের সূচকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রকাশ করলেও এ বছর তা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য তিন দেশ অবশ্য বৈশ্বিক আইনশৃঙ্খলা সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। দেশ তিনটি হচ্ছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারত। সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে পাকিস্তানের স্কোর ৮২, শ্রীলঙ্কার ৮০ এবং ভারতের স্কোরও ৮০।

সূচকে নেপাল বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। তাদের স্কোর ৭৮।

এছাড়া অন্যান্য দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্কোর ৮৩, যুক্তরাজ্যের ৭৯, রাশিয়া ৭৭, সৌদি আরব ৮৯ এবং আরব আমিরাতের স্কোর ৯২।

Advertisement

মূলত কয়েকটি প্রশ্নের ওপর ভিত্তি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি বা অবনতির এই স্কোর নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যেমন, বাসিন্দারা নিজ এলাকায় রাতে একা একা হাঁটতে নিরাপদ বোধ করছেন কি না কিংবা স্থানীয় পুলিশের প্রতি বাসিন্দারা আস্থা রাখছেন কি না। এছাড়া চুরি, ছিনতাই বা হামলার শিকার হওয়ার বিষয়টিও এই স্কোর নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হয়ে থাকে।

গ্যালাপের সূচক অনুসারে, আফগানিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে তালেবান গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের পর রাতের বেলা একা হাঁটার সময় জনগণের নিরাপদ বোধ করার সম্ভাবনা কম।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ২০২১ সালে তালেবান গোষ্ঠী কাবুলের ক্ষমতা দখল করার পর থেকে অভূতপূর্ব আর্থিক এবং মানবিক সংকটের কারণে আফগানিস্তানজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

এছাড়া নাজুক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে আফগানিস্তানে সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড, বিস্ফোরণ এবং হামলার ঘটনা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি তালেবানের অধীনে আফগান ভূখণ্ডে নারী শিক্ষার সুযোগ সীমিত করাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

জাতীয়

দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট যুদ্ধ চলছে

Published

on

দেশের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে তা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে ২৪টি উপজেলাতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া হচ্ছে। বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট নেয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও আদালতের নির্দেশে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটের লড়াই চলছে।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।

Advertisement

এই ধাপে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান, আটজন ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাতজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। এ ছাড়া দুই উপজেলায় তিনটি পদেই একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে মোট ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন এবং নারী এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন। হিজড়া ভোটার ২৩৭ জন। এই ধাপে মোট প্রাথী এক হাজার ৮২৪ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় গত ৮ মে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আজ দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ চলছে। এরপর তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় আগামী ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলায় আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সিইসি, ইসিদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ, আইনের খসড়ার অনুমোদন

Published

on

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে প্রতিমাসে এক লাখ ৫ হাজার টাকা এবং  নির্বাচন কমিশনারদের  ৯৫ হাজার টাকা বেতন ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে ‌‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

রোববার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগে যে আইনটি ছিল সেখানে বলা ছিলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন এবং নির্বাচন কমিশনার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন। বর্তমান আইনে, ওই রকম না লিখে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

মাহবুব হোসেন জানান, বিশেষ ভাতা হিসেবে সিইসি ও ইসি উভয়ে তাদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হিসেবে পাবেন। এছাড়া উৎসব ভাতা পাবেন, বাংলা নববর্ষের ভাতা পাবেন, আবাসন সুবিধা পাবেন, যানবাহন সুবিধা পাবেন, টেলিফোন সুবিধা, কুক ভাতা, সিকিউরিটি ভাতা পাবেন। নিয়ামক ভাতা পাবেন ৮ হাজার টাকা করে। চিকিৎসা সুবিধা আগে যেভাবে আছে সেটাই থাকবে।

সিইসি ও ইসিদের পদমর্যাদার বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেটি মূল আইনে রয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতিরাও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পান। বেতন আগের মতোই রয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এতদিন ১৯৮৩ সালের আইনে বেতন ভাতাসহ অন্য সুবিধা পেয়ে আসছিলেন সিইসি ও ইসিরা। কিন্তু  উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সামরিক শাসনামলের যেসব আইন ছিলো সেগুলো পরিবর্তনের যে নির্দেশনা আছে তার আলোকে এই আইনটি করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুখবর

Published

on

অ্যাপোস্টাইল কনভেনশনে যুক্ত হলে কাগজপত্র সত্যায়িত করতে ভোগান্তি কমবে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের। বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অ্যাপোস্টাইল কনভেনশনে যুক্ত হলে, বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস থেকে আর কাগজপত্র সত্যায়িত করা লাগবে না। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৬১ সালে স্বাক্ষরিত হেগ অ্যাপোস্টাইল কনভেনশন চুক্তি হয়। এই চুক্তির অধীনে থাকা দেশগুলোর একটিতে জারি করা নথি, অন্য দেশগুলোতে আইনি উদ্দেশ্যে প্রত্যয়িত হয়।

বাংলাদেশ এই চুক্তির অধীনে না থাকায় এতদিন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস থেকে আর কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হতো।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version