Connect with us

ইউরোপ

খাদ্যশস্য রপ্তানির চুক্তি বন্ধ করেছে রাশিয়া

Published

on

জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যশস্য রপ্তানির বিষয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া। অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তম বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার অভিযোগে ওই চুক্তি থেকে সরে এসেছে মস্কো।

রোববার (৩০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রুশ নৌবহরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার অভিযোগে খাদ্যশস্য চুক্তি থেকে মস্কোর বেরিয়ে যাওয়ার এই ঘোষণা বৈশ্বিক খাদ্য সঙ্কট প্রশমনের প্রচেষ্টায় বড় ধরনের ধাক্কা তৈরি করবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, শনিবার ভোররাতে ইউক্রেন ১৬টি ড্রোন দিয়ে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ‌বিশেষজ্ঞরা এই সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সহায়তা করেছে।

রাশিয়া বলেছে, কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে ইউক্রেনের শস্য করিডোর নিশ্চিত করার কাজে নিয়োজিত জাহাজগুলোর একটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনীয় এই ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে।

Advertisement

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বন্দর থেকে কৃষি পণ্য রপ্তানির চুক্তি বাস্তবায়‌নে রাশিয়ার অংশগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

হামলার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কৃষ্ণ সাগরের বন্দর থেকে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি কমে যাবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মস্কো।

এদিকে, শনিবার ব্রিটেন বলেছে, গত মাসে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা উড়িয়ে দিয়েছে বলে যে অভিযোগ করেছে মস্কো, তা পুরোপুরি মিথ্যা। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতা থেকে মনোযোগ অন্যদিক ঘুরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে মস্কো এই ভুয়া অভিযোগ করেছে।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাক রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘নিজেদের স্থাপনায় কাল্পনিক সন্ত্রাসী হামলার’ নাটক সাজানোর অভিযোগ করেছেন। আর ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, চুক্তি নস্যাতের জন্য মিথ্যা অজুহাতকে ব্যবহার করছে রাশিয়া।

বিশ্বের অন্যতম দুই প্রধান খাদ্য ও জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ৮ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বৈশ্বিক এই সংকটের সমাধানে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই কিয়েভ এবং মস্কোর কর্মকর্তারা ইউক্রেনে আটকা আড়াই কোটি টন গম ও ভুট্টা বিশ্ববাজারে সরবরাহের লক্ষ্যে তুরস্কে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

Advertisement

চুক্তির ফলে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু হওয়ায় বৈশ্বিক খাদ্য সংকট এবং বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের দাম কমবে বলে আশা করা হয়। চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির কাজ তদারকির জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র (জেসিসি) চালু করা হয়।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনে আটকা শস্য বহনকারী বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ যেন নিরাপদে কৃষ্ণসাগরে চলাচল করতে পারে, সেজন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হয়। সেই কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে জাতিসংঘ, রাশিয়া ও তুরস্ক।

কূটনীতিকদের মতে, চুক্তিতে ট্রানজিটে থাকাকালীন কোনও চালান অথবা বন্দরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাশিয়া। যদিও চুক্তি স্বাক্ষরের পরদিনই ওডেসা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। অন্যদিকে, ইউক্রেন মাইন পেতে রাখা সাগর দিয়ে কার্গো জাহাজ পরিবহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই চুক্তিতে পৌঁছাতে সময়ে লেগেছে প্রায় দুই মাস, আর এই চুক্তির স্থায়িত্ব হওয়ার কথা ১২০ দিন। তবে উভয়পক্ষ রাজি থাকলে চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল।

রাশিয়ার অবরোধের কারণে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গম-ভিত্তিক তৈরি রুটি এবং পাস্তার মতো অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রান্নার তেল এবং সারের দামও বিশ্বজুড়ে বে

Advertisement

ইউরোপ

যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে

Published

on

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।ফলে এই চুক্তির আওতায় রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখান হওয়া ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে। গেলো বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার উদ্দেশ্যে তাঁরা এসব করছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন জানান, চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ সপ্তাহে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তিটিতে সম্মত হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইউরোপ

যুদ্ধের মধ্যেই রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেন পুতিন

Published

on

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই সোইগুকে সরিয়ে দিয়েছেন। রোববার (১২ মে) এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন আক্রমণের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিল প্রকাশিত মন্ত্রী পদের মনোনয়নের তালিকা অনুসারে, অর্থনীতিবিদ আন্দ্রে বেলোসোভকে শোইগুর স্থলাভিষিক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন।

৬৮ বছর বয়সী সেরগেই সোইগু ২০১২ সাল থেকেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাকে এখন এই পদ থেকে সরিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।

বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিকোলাই পাত্রুশেভ। তবে পরবর্তীতে তাকে কোন পদে দায়িত্ব দেয়া হবে সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।

Advertisement

ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেরগেই সোইগু। এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শোইগু এই সেক্টরেই (প্রতিরক্ষা) কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি এই বিষয়গুলো ভালো জানেন। তিনি তার আগের কাজের জায়গায় তার সহকর্মী এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনি এটি খুব ভালোভাবে জানেন।

গত মার্চের নির্বাচনে জয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সে কারণেই পুতিনকে সাংবিধানিকভাবে সরকারের বিভিন্ন পদে মন্ত্রীদের নতুন তালিকা দিতে হবে অথবা বিদ্যমান মন্ত্রীদের পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে।

চলতি বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আসনে বসে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন পুতিন। ফলে আরও ছয় বছরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। তবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের মেয়াদে পুতিন আরও বেশি ক্ষমতাধর হয়ে উঠবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

১৯৯৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি, কখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, কখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তার প্রথম দুটি মেয়াদ স্থায়ী হয়েছিল চার বছর। পরে সংবিধান সংশোধন করে রুশ সরকারপ্রধানের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়। পুতিনের প্রথম ছয় বছরের মেয়াদ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে এবং দ্বিতীয়টি ২০১৮ সালে। ২০২০ সালে আবারও সংবিধান সংশোধন করা হয়, যার মাধ্যমে ২০২৪ সালেও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পান পুতিন।

গেলো মার্চের নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ৭১ বছর বয়সী এ নেতা। যদিও ওই নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা এবং ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছে পশ্চিমারা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে তীব্র খরায় জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরোনো শহর

Published

on

ফিলিপাইনে চলমান অতি তাপপ্রবাহে সেখানকার একটি বিশালাকার কৃত্রিম জলাধার শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে তীব্র খরার মধ্যে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো শহরের ধ্বংসাবশেষ জেগে উঠেছে।  তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ঐতিহ্যবাহী শহরটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক।

মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) দেশটির বাঁধ পরিচালনাকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রকৌশলী মারলন প্যালাডিন গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে পানি সংরক্ষণের জন্য বাঁধ তৈরি করার কারনে পাশের ঐতিহ্যবাহী পান্তাবঙ্গন শহরটি তলিয়ে যায়। সম্প্রতি অতি খরায় ধ্বংসাবশেষটি মানুষের নজরে আসে।

ফিলিপাইনের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সাধারণত মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাস দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে সবচেয়ে উষ্ণ এবং শুষ্কতম আবহাওয়া বিরাজ করে। তবে এ বছর এল নিনোর প্রভাবে পরিস্থিতি আরো বেশী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত, এশিয়ার এই দেশটির অর্ধেকের বেশি জায়গায় এখন তীব্র খরা চলছে। কয়েকটি শহরে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ২৪ এপ্রিল চরম তাপদাহে দেশটির রাজধানী ম্যানিলাসহ ৩০টি শহরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। নাগরিকদের বাইরে সময় কাটানোর পরিমাণ সীমিত করতে সতর্কতা জারি করা হয়।

Advertisement

জেড/এস

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version