জাতীয়
এমন ওষুধ ছিটাবেন না, যা ক্ষতিকর: তাজুল ইসলাম
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এমন কোনো ওষুধ ছিটানো যাবে না, যার মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে, সেরকম কোনো ওষুধ দেয়া যাবে না। সেসব দিক বিবেচনা করে আমরা সঠিক ওষুধ নির্ধারণ করে দিয়েছি সিটি করপোরেশনকে। বললেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের সিটি করপোরেশনগুলোর প্রতিটি ওয়ার্ডকে দশটি জোনে ভাগ করে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে স্থানীয় ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম আরও বেশি জোরদার করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমাদের একার পক্ষে বা শুধু সিটি করপোরেশনের পক্ষে ডেঙ্গু মোকাবিলা করা কঠিন কাজ, সেক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য বা মশক নিধন কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল দেয়া হয়েছে এবং সঠিক ওষুধ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
জাতীয়
কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি
অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রেনটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে যাত্রী বান্ধব বাহনে পরিণত হয়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করা কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রেলসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ তৈরি করেছে। ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ নির্মাণের পরে শুধু রাজধানীবাসীকে সুবিধা দেয়ার জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজার দুটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জনগণ জমিজমা, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নদী-নালা, খাল-বিল বিলীন করে রেলপথের জায়গার জন্য ছেড়ে দিলেও এই ট্রেন সার্ভিস চালুর পর থেকে তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির মুখে গত ঈদুল ফিতরের সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে কক্সবাজার স্পেশাল নামে একটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়। সড়ক পথে নৈরাজ্য, সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের হাত থেকে মুক্তি পেতে যাত্রী সাধারণ সীমিত সুবিধায় এই ট্রেনটির প্রতি ঝুঁকছিলেন।
ট্রেন সার্ভিসটি ঈদের পর নির্ধারিত সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় রেল প্রশাসনের মাঠ জরিপ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেনটি চলাচলের সময়সীমা দুই দফা বাড়ানো হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীরা যখন এই ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করছিলেন, তখন বাস মালিকেরা একে একে সব পরিবহনে যাত্রী সংকট দেখা দিলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীপ্রতি বাস ভাড়া ১০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়। তারপরেও বাসে যাত্রী না পাওয়ায় বাস মালিকেরা রেল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ফেলেছে বলে এই রুটে যাত্রীদের অনেকেই মনে করেন। তাই বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের জনপ্রিয় ট্রেন সার্ভিস কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে।
দেশের ট্রেন সার্ভিসগুলোর মধ্য অন্যান্য আন্তঃনগর ট্রেনের তুলনায় ঢাকা-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীর চাহিদা বেশি এবং আয়ও বেশি। এছাড়া ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রেলপথে কয়েক জোড়া রেল চালানো না গেলে বিনিয়োগের কিস্তি ওঠানো সক্ষম হবে না। এতে রেল কর্তৃপক্ষের লোকসানের বোঝা দিনদিন ভারী হয়ে উঠবে। কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে দুটি করে ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই সার্ভিস বন্ধ করা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রেলওয়ে একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের আকাঙ্ক্ষার বাইরে গিয়ে কেবল বাস মালিকদের লাভবান করার মানুষ এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকার যাত্রী সাধারণকে সরকারের অনন্য অবদান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল পরিষেবা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এএম/
চট্টগ্রাম
‘সুন্দরবনের মতো শিগগির বঙ্গোপসাগরকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হবে’
বঙ্গোপসাগরকে যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করা হবে। যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু যারা আত্মসমর্পণ করেন নি তাদের কি হবে শুধু আল্লাহই জানেন। শিগগির বঙ্গোপসাগরকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র্যাব-৭ এর এলিট হলে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের মতো শিগগির বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চলকে দস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হবে। চিন্তার বিষয় হলো একজন পঞ্চাশোর্ধ নারীও জলদস্যু। মূলত ক্ষমতাশালীদের হাতে নির্যাতন হয়ে অনেকে এ পথ বেছে নেন। এমন অনেক গল্প আছে। আমরা তাদের সুপথে ফেরার ও সমাজে করে খাওয়ার মতো ব্যবস্থা করছি। তাদের মামলাগুলো তুলে নিয়ে সহায়তা করবো। তবে খুন ও ধর্ষণের অভিযুক্তদের মামলা তুলবো না।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, র্যাব অনেক চড়াই-উৎরাই পরেও স্ব-মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশে যখন জঙ্গির উত্থান হচ্ছিল। অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছে র্যাব। দেশের মানুষের সুরক্ষা দিতে গিয়ে জীবন দিয়েছে ৩৩ জন র্যাব সদস্য।
মন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, চট্টগ্রাম আর আগের মতো নেই। এখানে টানেল হয়েছে, বে-টার্মিনাল হচ্ছে। এখানে কেন দস্যুতা থাকবে?
জলদস্যুদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৫ বছর অতিক্রম করতে যাচ্ছি। এখন একটি পিসফুল পরিস্থিতি চাই। যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করা হবে। কেউ যেন অপরাধ করার সাহস না পায়। যারা ফিরে আসেনি তাদের কি পরিণতি হবে তা আল্লাহই ভালো জানেন।
এএম/
জাতীয়
‘পশুর হাট সড়ক-মহাসড়কের পাশে বসানো যাবে না’
সড়ক ও মহাসড়কের পাশে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না। কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করলে মোবাইল কোটের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বললেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সচিবালয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয় আয়োজিত কোরবানির পশুর হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এখন অনেক কম। এরপরও আগে থেকে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিদিষ্ট স্থানে ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু কোরবানি করতে হবে। কোরবানির পশু জবাইয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য সরাতে হবে। গাবতলী ব্রিজের ওপর চামড়ার বাজার বসানো যাবে না। এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সংকট হবে। এছাড়া, এবার পশুর হাটে অনলাইনে হাসিল ও কেনাকাটার ব্যবস্থাও থাকবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আগে কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবসায়ীরা গ্রামে গ্রামে ব্যাপারীর মাধ্যমে সংগ্রহ করতো। এখন চামড়া ফেলে দিতে হয়, নষ্ট হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অবহেলার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাভারে ট্যানারিকে বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) কার্যকর করা যায়নি।
টিআর/
-
বাংলাদেশ2 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
বলিউড3 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
ঢালিউড3 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
জাতীয়6 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
-
অপরাধ5 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
আবহাওয়া2 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বাংলাদেশ7 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
বলিউড3 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন