রূপচর্চা
শীত মানেই চুল পরার দিন
শীত মানেই পাতা ঝরার দিন। শীত মানেই রংবেরঙের স্টাইলিশ সব পোশাক পরা আর আরামদায়ক বিছানায় গুটিসুটি মেরে গরম কফির কাপে চুমুক। কিন্তু এ সব আরামের দিক বাদ দিলে শীতের কিছু সমস্যার দিকও আছে, যেমন অতিরিক্ত চুল পড়া। এমনিতে প্রতিদিন গড়ে ৫০-১০০ টা করে চুল ওঠা স্বাভাবিক। অনেকেরই শীতকালে বেশ বেশিই চুল উঠতে দেখা যায়, যা বেশ ভয়ের কারণও হয়ে উঠতে পারে।
বাতাসে তাপমাত্রা আর আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে আপনার চুল থেকে প্রয়োজনীয় ময়শ্চার নষ্ট হয়ে যায়, ফলে চুল হয়ে ওঠে শুকনো, ভঙ্গুর, উঠেও যায় গোছা গোছা। এছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করার ফলে চুল দুর্বল হয়ে যায় বেশি।
বিজ্ঞাপন দেখে চুল পড়া বন্ধ করতে কত কিছুই তো ব্যবহার করেছেন। কখনও তেল, কখনও ক্রিম, কখনও বিশেষ শ্যাম্পু।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, চুলে শুধু মাখলেই চলবে না, চুল পড়া বন্ধ করতে খেতে হবে সুষম খাদ্য।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রোজকার খাদ্যতালিকায় সুষম আহার না থাকলে, তার ছাপ ত্বক ও চুলে পড়বেই। আর সেই কারণেই চুল পড়াটা একেবারেই স্বাভাবিক ও শীতকালে বাড়তেও পারে। অতিমাত্রায় নেশা করার ফলেও চুল পড়তে পারে বেশি৷
আমলকি চুলের পক্ষে খুবই ভালে। একটি পাত্রে আমলকি ছেঁচে নিয়ে রস বের করুন। সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চামচ পাতিলেবুর রস।
রাতে শোওয়ার সময় মিশ্রণটিকে মাথার স্কাল্পে ম্যাসাজ করুন। সারারাত রেখে, পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন।
অ্যালোভেরার রস মাথায় লাগিয়ে, সারারাত রেখে দিন। পরের দিন সকালে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে চুলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু’বার এটা করুন।
প্রত্যেকদিন সকালে বিটের রস পান করুন। চুলের গ্রোথ বাড়াতে এটা খুবই কার্যকরী।
কিছু পরিমাণ শুকনো জবা ফুল নিয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তেলটা ঠান্ডা করে মাথার স্কাল্পে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে অন্তত, চারদিন এটা ব্যবহার করুন৷ খুসকি, চুল পড়া, চুলের গ্রোথ বাড়াতে এটা খুবই উপকারী।
রূপচর্চা
যে টনিকে বন্ধ হবে চুল ওঠা, গজাবে নতুন চুলও
চুলের হাল ফেরাতে সজনে ডাঁটা ও পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই তো বিউটি ওয়ার্লডেও এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এমনকী নানা হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টেও সজনের ব্যবহার বহুলপ্রচলিত। বাড়িতেই মৌসুমি সজনে দিয়ে বানিয়ে ফেলুন হেয়ার টনিক। এই টনিক নিয়মিত চুলে লাগালেই শাইন ঝরে পড়বে, সেই সঙ্গে বাকি অনেক সমস্যাও চলে আসবে নিয়ন্ত্রণে।
চুলের জন্যে উপকারী সজনে
সজনেতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণ, যা স্ক্যাল্পের সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া সজনেতে উপস্থিত pterygospermin নামক এক উপাদান স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে একাই একশো।
সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা চুলের ফলিকলকে মজবুত করতে সাহায্য করে। ফলে সহজেই চুল ঝরে যায় না।
রয়েছে এই গুণাগুণও
এই গাছের পাতায় ও ডাঁটায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। সেই সঙ্গে চুলের উপরে তৈরি করে এক সুরক্ষাস্তর।
সজনেতে জিংক, ভিটামিন এ এবং আয়রনের উপস্থিতিও মেলে। আর এই প্রতিটি উপাদানই চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চুলের বন্ধু পেঁয়াজও
পেঁয়াজের রসও যে চুলের জন্যে বেশ উপকারী, সে কথা আর নতুন করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। এতে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে। এমনকী চুল পড়া কমায় বলেও একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পেঁয়াজে উপস্থিত সালফার চুলের জেল্লা বাড়ায় আর স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্যও বজায় রাখে। তাই তো হেয়ার কেয়ারে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এই হেয়ার টনিক বানাতে আপনার প্রয়োজন পড়বে-
১) সজনে পাতা
২) সজনে ডাঁটা
৩) পেঁয়াজের রস
৪) আমন্ড অয়েল
বানানোর নিয়মটি শিখে নিন
প্রথমে সজনে ডাঁটাগুলি ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপরে সেই ডাঁটা পানিরত ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে ডাঁটা চিপে রস বের করে একটি সাদা কাপড়ে ছেঁকে অন্য পাত্রে রাখুন। এদিকে পাতাগুলিও ভালো করে ধুয়ে নিন। আর একটি গোটা পেঁয়াজের রস করে আলাদা পাত্রে রাখুন।
পরের ধাপগুলি আরও সহজ
একটি সসপ্যানে পরিমাণ মতো পানি ফোটান। পানি ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিয়ে একে একে যোগ করুন সজনে ডাঁটার নির্যাস এবং পেঁয়াজের রস। এবার তাতে সজনে পাতাগুলিও দিয়ে দিন। হালকা আঁচে প্রতিটি উপকরণ ফোটাতে থাকুন। শেষে জল অর্ধেক হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে পাত্র চাপা দিয়ে দিন।
ঠান্ডা হওয়ার পরে সুতির কাপড়ে এই মিশ্রণ ছেঁকে একটি পাত্রে রাখুন। এবার সেই মিশ্রণে যোগ করুন আমন্ড অয়েল এবং ২ ফোঁটা রোজমেরি অয়েল। প্রতিটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে কাচের শিশিতে তুলে রাখুন। তাহলেই তৈরি আপনার নিজস্ব হেয়ার টনিক!
ব্যবহার করুন এই নিয়মে
এই হেয়ার টনিক ড্রপারের সাহায্যে স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় লাগান। হাতের আঙুলের চাপে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। তারপরে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন এই নিয়ম মেনে চললেই উপকার মিলবে ষোলো আনা।
রূপচর্চা
ত্বকে জেল্লা আনতে দারুণ কাজ করে আলুর খোসা
চটজলদি ত্বকে জেল্লা আনতে দারুণ কাজ করে আলুর খোসা। তাই খরচ করে পার্লারে না গিয়ে এখন থেকেই আলুর খোসা ঘষতে শুরু করুন। কি কি কাজে লাগে জেনে নিন।
১. চোখের তলার কালি দূর করতে:
চোখের তলায় জমে থাকা কালো দাগকেই ইংরেজিতে বলে ‘ডার্ক সার্কেল’। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই ডার্ক সার্কেল কমাতে দারুণ উপযোগী আলুর খোসা। খোসা পাতলা করে কেটে তার পর পরিষ্কার একটি কাপড়ের টুকরোতে মুড়ে মিনিট ২০ দিয়ে রাখতে হবে চোখে। দিন কয়েক নিয়মিত এই টোটকা মেনে চললেই ফিরবে চোখের আশপাশের জেল্লা।
২. ব্রণর সমস্যা কমাতে:
বিশেষজ্ঞদের মতে, আলুর খোসায় থাকে ক্যাটেকোলাজ নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি ব্রণর কালো দাগ কমাতে সহায়তা করে। আলুর খোসার মধ্যে আধ চামচ মধু মিশিয়ে মেখে নিন মুখে। মিনিট কুড়ি পর জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন মুখ।
৩. রোদে পোড়া ত্বকের পরিচর্যায়:
রোদে পোড়া ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে আলুর খোসা। রোদে পুড়ে যাওয়া অংশে আলুর খোসা পাতলা করে কেটে নিয়ে সরাসরি লাগানো যেতে পারে।
রূপচর্চা
নখ সুন্দর করার সহজ উপায়
পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর নখ আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ করে। আর তাই হাত-পায়ের নখ পরিষ্কার রাখাটা জরুরি। নখে ময়লা জমে থাকলে দেখতে ভালো লাগে না। অনেক সময় নখ ধূসর কিংবা হলুদ হয়ে যায়। যা নখের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে আবার নানারকম রোগের বার্তা দেয়। এ সময় নখের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। রইলো প্রয়োজনীয় টিপস।
নারকেল তেলে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নখে ও আঙুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে নখ দ্রুত বড় হয় এবং সৌন্দর্য বাড়ে।
হার্বাল চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও নখ বাড়াতে সাহায্য করে। নখের কোমলতা বাড়ায়।
কমলালেবুর জুস খেলে শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ে। যা নখের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।
লেবুর জুসে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি। যা দ্রুত নখ বাড়াতে সাহায্য করে। নখের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবু ও অলিভ ওয়েলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য একটুখানি লেবুর রসের সঙ্গে তিন চা চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। ওই মিশ্রণ দিয়ে নখ ম্যাসেজ করে নিলেই নখ হবে সুন্দর ও ঝকঝকে।
তিলের তেল নখের জন্য ভালো। এই তেল নখে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং নখে কিউটিকল পুষ্টি পায়। যা নখ বাড়তে সাহায্য করে। এছাড়া নিম ও আমলার তেলও নখের সৌন্দর্য বাড়াতে দারুণ কাজ করে।
নখও কিন্তু শরীরেরই অংশ। শরীর ভালো না থাকলে নখের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব নয়। একইভাবে শরীরের মতো নখের সুস্থতায় ভূমিকা রাখতে পারে সবুজ শাকসবজি। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেলস, প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে নখ ভালো থাকবে। খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন বাদাম, বীজ, দুগ্ধজাত খাবার ও মাছ।
এ সব কিছু মেনে চলার পরেও নখের অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন