Connect with us

আইন-বিচার

সগিরা মোর্শেদ মামলায় সাক্ষ্য নিতে বাধা নেই ৫ বছরের শিশুর

Published

on

সগিরা মোর্শেদ

৩৩ বছর আগে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় নিহতের মেয়ের সাক্ষ্য নিয়ে আপত্তি তুলেছিল আসামিপক্ষ। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশের পর এ মামলার নথি খুঁজে পেয়েছেন হাইকোর্ট। আর তাই এবার ৫ বছরের শিশুর সাক্ষ্য নিতে বাধা নেই।

সগিরা মোর্শেদ ছিলেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিসের গবেষক,৩৩ বছর আগে খুন হয়েছিলেন তিনি । সেই খুনের মামলার বিচার বন্ধ ছিল ৩০ বছর। পিবিআইয়ের অধিকতর তদন্তের ভিত্তিতে দুই বছর আগে নতুন করে বিচার শুরু হয় চাঞ্চল্যকর এই খুনের।

নিম্ন আদালতে সেই খুনের মামলার বিচার আবারও চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দুই আসামির আবেদনে। যে আবেদনে ভিকটিম সগিরা মোর্শেদের মেয়ের সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে হাইকোর্টে।

হাইকোর্টে আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচার কাজ বন্ধের আর্জি দেয় আসামি পক্ষ। আবেদনের ওপর হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের জন্য আসামি পক্ষকে সময় দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনাল থেকে। কিন্তু আসামি পক্ষ আজ অবধি হাইকোর্টের কোন আদেশ দাখিল করতে পারেনি।

যদিও ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে দুই আসামির করা আবেদনটি গেলো চার মাসে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য অন্তর্ভুক্ত থাকলেও ফৌজদারি শাখা থেকে ফাইল না আসায় হয়নি শুনানি। শুনানির সময় ফাইল না পাওয়ায় এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। পরে আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারপতিরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে খুন হন। তখন মিন্টু নামে এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে অধিকতর তদন্তের আদেশ দিলে আসামি মারুফ রেজার আবেদনে ১৯৯১ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচার কাজ বন্ধ ছিল ৩০ বছর। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ। অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন্স (পিবিআই)।

ওই তদন্তে সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০), তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৪), শাহিনের ভাই আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান (৫৯) ও মারুফ রেজাকে (৫৯) অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। এই চার আসামিই আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ঘটনায় দায় স্বীকার করে নেন।

চার্জশিটে বলা হয়, স্বজনদের পরিকল্পনাতেই খুনের শিকার হন ওই নারী। আর সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে খুন করেন মারুফ রেজা। ইতিমধ্যে জামিনে আছেন এই হত্যা মামলার দুই আসামি হাসান আলী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীন।

সগিরা মোর্শেদের মেয়ের সাক্ষ্যগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ:

২০২০ সালের ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। অভিযোগ গঠনের পর দশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রপক্ষের দশ নম্বর সাক্ষী হলেন সগিরা মোর্শেদের মেয়ে সামিয়া সারওয়াত চৌধুরী। গত জুন মাসে তার আংশিক জবানবন্দি রেকর্ড করে ট্রাইব্যুনাল। এরপরই সামিয়ার সাক্ষ্যগ্রহণ না করার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন দেয় তার চাচা ও চাচি ডা. হাসান আলী ও সায়েদাতুল মাহমুদ শাহীন।

Advertisement

আবেদনে বলা হয়, ঘটনার সময় সামিয়ার বয়স ছিল ৫ বছর। কিন্তু এখন তার বয়স ৩২ বছর। সাক্ষ্য নেওয়া হলে আসামিরা ন্যায় বিচার পাবেন না। আসামিদের এই আবেদন খারিজ করে দিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক রফিকুল ইসলাম তার আদেশে বলেন, সাক্ষ্য আইনের ১১৮ ধারা অনুযায়ী আসামিদের এই আবেদন মঞ্জুরের কোন যুক্তিসংগত কারণ নাই।

ট্রাইব্যুনালের এই আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৯ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন মামলা করেন। ওই রিভিশনে সগিরা খুনের মামলার নথি তলবের পাশাপাশি বিচার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। গত ২১ জুলাই এই রিভিশন আবেদন শুনানির জন্য বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের দ্বৈত বেঞ্চের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য অন্তর্ভূক্ত হয়। ছয় কার্যদিবস মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল।

কিন্তু গত ৩১ জুলাই ও ১০ আগস্ট মামলাটি শুনানির জন্য ডাকা হলেও সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে ফাইল না থাকায় শুনানি হয়নি। পরে সেখান থেকে আবেদনটি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আবেদনটি শুনানির জন্য নেওয়া হয় বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে। গত ২৩ আগস্ট ওই বেঞ্চের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় আবেদনটি। পাঁচ কার্যদিবস ধরে মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। সর্বশেষ গত পহেলা নভেম্বর শুনানির জন্য ডাকা হলে ফাইল না পাওয়ায় আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন হাইকোর্ট।

 

Advertisement

আইন-বিচার

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত নিয়ে যা বললেন গণশিক্ষা সচিব

Published

on

সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তেরও নির্দেশ দেয়া হয়। এতে অপেক্ষায় থাকা ৪৬ হাজার ভাইভা পরীক্ষার্থীদের আপাতত কোনো বার্তা দিতে পারছে না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় স্থগিত হওয়া ভাইভা আদৌ হবে নাকি নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, হাইকোর্টের রায়ে কপি এখনো পাইনি। রায়ের কপি পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো। কারণ রায়ে নানা ধরনের পর্যবেক্ষণ দিয়ে থাকে। সেটা না দেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না।

সচিব বলেন, আমরা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের রায়ে যদি পরীক্ষা স্থগিতের কথা বলা হয়, তাহলে পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। আর যদি অন্য কিছু বলে তাহলে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়েও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আগে রায়ের কপি দেখবো। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো

Advertisement

এর আগে গেলো মঙ্গলবার রায়ের পর গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছিলেন, এ রায়ের পর করণীয় ঠিক করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বুধবার বা বৃহস্পতিবার এ বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তার মধ্যে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলা হবে। আপিলে যদি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয় তাহলে ভাইভা নিতে কোনো সমস্যা থাকবে না। এরমধ্যে রায়ের কপি না পাওয়ায় সেই বৈঠকটি হয়নি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা স্থগিত রাখার আদেশ দেন। একইসঙ্গে প্রশ্নফাঁস হয়েছে কি না তা তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত ও পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ২১ জেলায় (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর ২১ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ২৩ হাজারে কিছু বেশি প্রার্থীকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়। কিন্তু কারিগরি ত্রুটি দেখিয়ে একদিন পর ২২ এপ্রিল সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। সেই প্রার্থীদের ভাইভা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

মেয়াদ বাড়ল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শেয়ার হস্তান্তরে স্থিতাবস্থার

Published

on

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে আপাতত স্থিতাবস্থাই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন সেন্টারে প্রথম মিটিং হওয়া পর্যন্ত এই স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ইতালিয়ান থাই কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। চায়না কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

এর আগে গেলো ১৬ মে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ।

সেদিন আইনজীবী ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেছিলেন, চায়না ব্যাংক অব এক্সিম জানিয়ে দিয়েছে শেয়ার হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজে টাকা দেবেন না। এর ফলে আপাতত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।

Advertisement

গেলো ১২ মে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। এর ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করতে বাধা কেটে যায়।

বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধরীর হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেদিন ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আদেশে আদালত বলেছেন, দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন আদালত নিষ্পত্তি করবেন।

পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ইতালিয়ান থাই কোম্পানি।

এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

Advertisement

হঠাৎ করেই শ্রমিকশূন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মগবাজার অংশ। নেই কোনো নির্মাণযজ্ঞ। পড়ে আছে এক্সপ্রেসওয়ের কাঠামো। কথা ছিল চলতি বছরই শেষ হবে অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে। এই সময় কাজ চলার কথা দ্রুতগতিতে। জানা যায় তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ।

তিন বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধ আছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তাদের শেয়ার দাবি করে চীনা প্রতিষ্ঠান। এই নিয়ে সিঙ্গাপুরে আরবিট্রেশন চলা অবস্থায় সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক।

থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড মিলে করছিল এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। এই কাজে তিন প্রতিষ্ঠান শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।

প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার।

 

Advertisement

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহীসহ চারজনের রিমান্ড নামঞ্জুর

Published

on

পৃথক দুই মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ চারজনের রিমান্ড ও জামিন বাতিলের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম।

গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় পৃথক তিন মামলা করেন। মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেনে, প্রতিষ্ঠানটির আইন উপদেষ্টা ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং করপোরেট ফাইন্যান্সের পরিচালক মো. কামরুল হাসান।

Advertisement

এই চার আসামির উপস্থিতিতে গুলশান ও বনানীর পৃথক দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জামিন বাতিল চেয়ে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় সিনিয়র আইনজীবী কাজী নজিবুল্যাহ হিরু, ঢাকা বারের সভাপতি আব্দুর রহমান রহমান, সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন ও শাহিনুর রহমানসহ আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা তাদের রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

বাদীপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবুসহ আরও অনেকেই রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের জামিন বাতিল করেন এবং রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version