Connect with us

সিলেট

বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

Published

on

বিএনপি

বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের’ বিরুদ্ধে  সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে নির্মিত বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়। এই অভিযোগ কোতোয়ালি থানায় মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদ সারওয়ার মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে সংবাদমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়। এর আগে, একই দিন নগরের চৌহাট্টা এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জরুরি সভা করেন।

বিএনপিকে ‘সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। দলটি সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেটের গণসমাবেশসহ সব ধরনের কর্মসূচি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রতিহত করতে বাধ্য হবেন।

জানা গেছে, গতকাল আওয়ামী লীগের সভা থেকে ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের’ বিরুদ্ধে গত রোববার রাতে নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে নির্মিত বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়। আওয়ামী লীগের ওই সভায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে রাত ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মহানগর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদ সারওয়ার ওই মামলা দায়ের করেন। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন মামলা দায়ের করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাবে।

উল্লেখ্য, রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে গোয়াইটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িকে অনুসরণ করছিল দুটি মোটরসাইকেল। বড়বাজার ১১৮নং বাসার সামনে কামালের গাড়ির গতিরোধ করে বাইক আরোহীরা। পরে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা কামালকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, কামালের খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয় পাঁচজন। এরমধ্যে আজিজুর রহমান সম্রাট, শাকিল ও রাজু নামের তিনজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে এই সূত্র। এদের মধ্যে সম্রাট আগে ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন, তবে বর্তমানে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আ ফ ম কামাল রাজনীতির পাশাপাশি পাথর ব্যবসা এবং নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি তার ট্রাভেল এজেন্সি থেকে আজিজুর রহমান সম্রাটের আত্মীয়কে সৌদি আরবে পাঠানো নিয়ে দুজনের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সম্রাট গত ২১ অক্টোবর আ ফ ম কামালসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এরই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মামলায় আসামি হিসেবে আজিজুর রহমান সম্রাটসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

Advertisement

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

সিলেট

সিলেটে বন্যার পদধ্বনি

Published

on

রাতভর মুষল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চায়ের দেশ খ্যাত সিলেট নগরী। গেলো ১৫ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৪৮ মিলিমিটার। বাসাবাড়ি-দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে পানিতে ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই সিলেট নগরীরে বাসিন্দাদের। অনেকের রান্না ঘর প্লাবিত হওয়ায় জ্বলছে না চুলা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সময় মতো সুরমা নদী খনন, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি না করায় এই হাল।

সোমবার (০৩ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে রোববার (০২ জুন) সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে থাকলেও টানা বৃষ্টির কারণে আজ সোমবার সকাল থেকে সেটি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ১৫ ঘণ্টায় সিলেটে ২৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।এরই মধ্যে সিলেটের দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন পাঁচশোর বেশি মানুষ।

সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে আগামী দুই দিন অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের বা ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

মেঘালয়ের ভারি বৃষ্টির ঢল আছড়ে পড়েছে হাওর জেলা সুনামগঞ্জেও। তলিয়ে গেছে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক। ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার। এছাড়াও খরচার হাওরের বাঁধ ভেঙে রূপসা নদীর পানি বেড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিলীন অর্ধশতাধিক বাড়িঘর।

Advertisement

আবহাওয়া অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত বাড়লে এপাড়ে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

সিলেটে থৈ থৈ পানি

Published

on

সিলেটে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নদনদীর পানি কিছুটা কমলেও প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট সিটি করপোরেশনসহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ছে।

নদনদীর পানি কিছুটা কমলেও সুরমা-কুশিয়ারার অন্তত ১৫টি স্থানে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে নদী তীরবর্তী পরিবারগুলো এখনো আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে পারছে না।

শনিবার (১ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর পানি আজ সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ৭ সেন্টমিটার ও ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (৩১ মে) এই নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৪ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার এই নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০৭ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কুশিয়ারার পানি গতকালের তুলনায় আজ অনেকটা কমেছে।

Advertisement

অন্যদিকে নদনদীতে পানি কমলেও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও জেলার কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বন্যায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জেলার ১৩টি উপজেলার ৬৮ ইউনিয়নের ৭৮১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখেরও বেশি মানুষ।

জেলা প্রশাসন আরও জানায়, বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে তিন হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট সিটি করপোরেশন, সদর, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

এখনও বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে সিলেটের দুই নদীর পানি

Published

on

সিলেটে বৃষ্টিপাত কমলেও প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট সিটি করপোরেশনসহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ছে।

শনিবার (১ জুন) সকালে বন্যা পরিস্থিতির সবশেষ অবস্থা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর পানি আজ সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ৭ সেন্টমিটার ও ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট সিটি করপোরেশন,সদর,গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জেলার ১৩টি উপজেলার ৬৮ ইউনিয়নের ৭৮১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখেরও বেশি মানুষ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে তিন হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version