জাতীয়
আজ ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয়-দফা দিবস
![ছয়-দফা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2021/06/%E0%A6%9B%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%A6%E0%A6%AB%E0%A6%BE.jpg)
আজ ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয়-দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬-দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।
এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গি, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তৎকালীন পুলিশ ও ইপিআর’র গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপোষহীন সংগ্রামের ধারায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি।
প্রতিবছর বিভিন্ন কমূসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসলেও এবছর বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট সংকটের কারণে ঐতিহাসিক এই দিনটিতে ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে দিবসটির কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামীকাল সূর্যোদয়ের ক্ষনে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপি আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৯ টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬-দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬-দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ৬-দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে অনুমোদন করিয়ে নেন।
৬-দফার মূল বক্তব্য ছিল, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সকল ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দু’টি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপন। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬-দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ৬-দফা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্রের ভাষায় উত্তর দেয়া হবে।
এদিকে ৬-দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমগ্র পূর্ববাংলা সফর করেন এবং ৬-দফাকে বাঙালির বাঁচার দাবি হিসেবে অভিহিত করেন। ফলে শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। যশোর, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানে ৬ দফার পক্ষে প্রচারকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন।
ছয় দফা দাবী আদায় প্রসঙ্গে ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কর্মীরা যথেষ্ট নির্যাতন ভোগ করেছে। ছয় দফা দাবী যখন তারা দেশের কাছে পেশ করেছে তখনই প্রস্তুত হয়ে গিয়াছে যে তাদের দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে হবে। এটা ক্ষমতা দখলের সংগ্রাম নয়, জনগণকে শোষণের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য সংগ্রাম।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার বিশ^াস আছে আওয়ামী লীগের ও ছাত্রলীগের নিঃস্বার্থ কর্মীরা, তাদের সাথে আছে। কিছ ুসংখ্যক শ্রমিক নেতা-যারা সত্যই শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করে-তারাও নিশ্চয়ই সক্রিয় সমর্থন দেবে। এত গ্রেপ্তার করেও এদের দমাইয়া দিতে পারে নাই।’
পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক ৬-দফাভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনই ধাপে ধাপে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয়।এ দাবির সপক্ষে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক রায় ঘোষিত হয় ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বাঙালিরা বিজয়ী করে।
অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর দলকে জনগণ বিজয়ী করলেও স্বৈরাচারী পাকিস্তানের শাসকরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে আবারো বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং সেই সময়ের ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ একটি নিবন্ধে লিখেছেন, ‘ছয় দফা’কে প্রতিহত করার জন্য পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী বহু ষড়যন্ত্র করেছে। বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়েছে। তারপরও যখন‘ছয় দফা’ আন্দোলন রোধ করা যাচ্ছিল না, তখন বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে চিরতরে তাঁর কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’ তথা আগরতলা মামলা দেন। সেদিন‘ছয় দফা’ দাবি আদায় এবং বঙ্গবন্ধুকে কারামুক্ত করতে আমরা ছাত্ররা ’৬৯-এর জানুয়ারির ৪ তারিখে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে ৪টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে ছয়-দফাকে এগারো দফায় অন্তর্ভূক্ত করে গ্রামে-গঞ্জে-শহরে-বন্দরে-কলে-কারখানায় ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা‘র (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ. আ. ম. স আরেফীন সিদ্দিক বলেন, ৬ দফাই এনে দিয়েছে আমাদের তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূর দৃষ্টি, অন্তঃদৃষ্টি ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এতই প্রখর ছিল যে, তিনি ৬ দফাকে এক দফার দাবিতে পরিণত করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনের ডাক দেন।
অওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ছয় দফার সময়ে এটা কেবল স্বায়ত্তশাসনের দাবি, অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি না- এমন বিতর্ক ছিল। তিনি বলেন, ৭০-এর নির্বাচন ছিল ৬-দফার প্রশ্নে ম্যান্ডেট।
রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও লেখক নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই স্বাধীন বাংলাদেশের বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর মাথায় ছিল। তাই ছয় দফা হঠাৎ কোন ব্যাপার ছিল না। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনীতির লক্ষ্যই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। ছয় দফার ভেতর দিয়েই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা এসেছে।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ছয় দফা মুক্তির সনদ না হলেও এটা ছিল মুক্তিযুদ্ধের একটা মাইল ফলক, যা অতিক্রম করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছিল।
সূত্র: বাসস
জাতীয়
মোদির ভোজসভায় যেসব খাবার দিয়ে আপ্যায়িত হলেন শেখ হাসিনা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আয়োজিত ভোজসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলকাতার বিরিয়ানি, সুগন্ধি বাসমতি চাল এবং কলকাতার স্টাইলে রান্না করা ও স্বাদযুক্ত শাকসবজি এবং অন্যান্য স্থানীয় খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে ভারতের হায়দরাবাদ হাউসে ভোজসভার আয়োজন করা হয়।
জানা যায় স্থানীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে
দই ফুচকা (ভারতীয় রাস্তার খাবারের সুস্বাদু-ক্রিস্পি পাফড বল যা দই এবং রাস্তার খাবারের মশলা দিয়ে স্টাফ করা হয়, মিষ্টি এবং টক স্বাদযুক্ত পানি দিয়ে পরিবেশন করা হয়); মাতর অর বাজরে কা শোরবা (একটি বিদেশি সবুজমটর এবং মুক্তার বাজরার ঝোল পুদিনার স্বাদযুক্ত, বাদামের দুধ দিয়ে তৈরি); ছানার পাথুরি (বাঙালি উপাদেয় কুটির পনির দিয়ে তৈরি এবং নারকেল, সবুজ আম, মরিচ এবং সরিষার পেস্ট দিয়ে কলা পাতায় মোড়ানো, ভাপানো চালের বিছানায় পরিবেশন করা হয়); এবং সুবজ কিমা এবং থাইম সিঙ্গারা (চূর্ণ করা আলু, ফেটা, ফুলকপি, চিনাবাদাম এবং থাইম “সামোসা” প্যাস্ট্রিতে ভরা)।
এছাড়া আরও ছিল আমরান্থ কোফতা গুলবদন (ভারতীয় কোফতা তরকারিতে সিদ্ধ করা আমরান্থ ভেজিটেবল ডাম্পলিং) অন্তর্ভুক্ত ছিল; পাঁচমেল নি সবজি (জিরা, পেঁয়াজ এবং টমেটো স্লিভারসহ মৌসুমি সবজি, একটি গুজরাটি উপাদেয়); দই পনির (ট্যাঞ্জি দই এবং ভারতীয় মশলা দিয়ে রান্না করা ম্যারিনেট করা কুটির পনির স্টেকস); শুকতো (বাঙালি মিক্স ভেজিটেবল কারি); এবং বাঙালি মসুর ডাল (বাঙালি মসুর ডাল)।
খাবার শেষে মিষ্টি আইটেমের মধ্যে, পান রসমালাই কুলিস (পান কুটির পনির ডাম্পলিং পান, পান এবং গুলকন্দ, জাফরান ক্রিম দিয়ে পরিবেশন করা হয়); গুদ জালেবি অর আম কুলফি (গুড়ের শরবতে ভেজানো ক্রিস্পি প্রিটজেল এবং আমের স্বাদযুক্ত বাড়িতে তৈরি ভারতীয় আইসক্রিম মিষ্টি ভার্মিসেলি এবং টুকমালাঙ্গা বীজ দিয়ে পরিবেশন করা হয়); ঋতুর খোদাই করা ফল; এবং রোস্টেড কফি / মাসালা চা / কেহওয়া।
আই/এ
জাতীয়
দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে দুই দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাত ৮টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শনিবার (২২ জুন)সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যায়, ভারতের নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে দেশটির পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন ও তিনটি নবায়নকৃতসহ মোট ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আই/এ
জাতীয়
তিন শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা স্থগিত, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের এইচএসসি, মাদ্রাসা ও কারিগরী পরীক্ষা আসছে ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় কমিটি।
শনিবার (২২ জুন) কমিটির চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকারের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় সিলেট বিভাগের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট; বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন আগামী ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ৯ জুলাই থেকে সিলেট বিভাগে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল সেগুলো যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সিলেট বিভাগ ছাড়া বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং অন্য আটটি (সিলেট শিক্ষা বোর্ড ছাড়া) সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আলাদা হয়। তবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড একটি করে হওয়ায় এই দুই বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সারা দেশে অভিন্ন হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট বিভাগের কারিগরি ও মাদ্রাসার (আলিম) পরীক্ষা স্থগিত করায় এই বিভাগের প্রশ্নপত্র কী হবে, সে বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তাঁদের একাধিক প্রশ্নপত্র তৈরি করা থাকে। সিলেট বিভাগের স্থগিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এসব সেট থেকে ছাপিয়ে নতুন সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। অনুরূপ ব্যবস্থা হবে মাদ্রাসার পরীক্ষার ক্ষেত্রেও।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত ৮ জুনের পর বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসলেও সোমবার(১৭ জুন) থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে আবার সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে নগরের ২৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার ১৩টি উপজেলার ১ হাজার ৫৪৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় সোয়া আট লাখ মানুষ হয়েছেন বন্যাকবলিত।
এমআর//
-
বাংলাদেশ4 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
-
বলিউড3 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
-
আইন-বিচার6 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
-
বাংলাদেশ2 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
-
বাংলাদেশ7 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
-
আন্তর্জাতিক7 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!
-
অপরাধ3 days ago
পার্কিংয়ে স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ, শোয়ার ঘরে স্ত্রীর