Connect with us

ফুটবল

‘আগামী বিশ্বকাপে খেলব কি না গ্যারান্টি নেই’

Published

on

‘আমি শেষ বিশ্বকাপ মনে করেই খেলব। প্রতিটি ম্যাচই শেষ ম্যাচ মনে করে খেলব। কারণ কেউ জানে না কাল কী হবে। আমি পরের বিশ্বকাপে খেলব কি না, সে ব্যাপারে কোনো গ্যারান্টি দিতে পারছি না। আমি সত্যিই জানি না। হয়তো খেলতে পারি, আবার নাও পারি।’ বললেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।

শনিবার (১২ নভেম্বর) ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’-তে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

নেইমার বলেন, ‘আমাদের কোচ বদলে যাবে এই বিশ্বকাপের পর। আমি জানি না নতুন যিনি আসবেন, তিনি আমাকে পছন্দ করবেন কি না! জাতীয় দলের সঙ্গে আমার দীর্ঘ ইতিহাস। আশা করি শেষটা ভালোভাবেই করব।’

তার কণ্ঠে ফুটে উঠল পূর্বসূরির প্রতি শ্রদ্ধা, ‘এটি আমার স্বপ্নের চেয়ে, কল্পনার চেয়েও বেশি কিছু। আমি কখনোই রেকর্ড নিয়ে ভাবিনি, আমি কখনোই কাউকে ছাড়িয়ে যেতে চাইনি, রেকর্ড ভাঙতে চাইনি। আমি সবসময় শুধু ফুটবল খেলতে চেয়েছি।’

ব্রাজিলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি গোল করার নজির রয়েছে কিংবদন্তি পেলের। তার ঠিক পরেই রয়েছে নেইমার। পেলে করেছেন ৭৭ গোল। নেইমারের ঝুলিতে রয়েছে ৭৫ গোল। বিশ্বকাপে দু’গোল করে তিনি পেলেকে স্পর্শ করবেন। আর তিন গোল করলে পেলেকে ছাপিয়ে ইতিহাস লিখবেন দেশের জার্সিতে।

Advertisement

নেইমার বলেন, ‘পেলে মানেই ফুটবল। পেলে আমাদের দেশের জন্য সবকিছু। তার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা আছে।’

এবারের বিশ্বকাপে তাদের অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেই বিশ্বাস করেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।

নেইমার বলেন, ‘আমি এই বিশ্বকাপটা খেলতে চাই। নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই। কারণ, আমার বিশ্বাস আমাদের অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও অনেক মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রাখছে না। আমরা তাদের ভুল প্রমাণ করব। আমাদের এই দলে অনেক ভালো কিছু আছে। আমি নিজেদেরকে অনেক দূর দেখতে পাচ্ছি।’

বয়স এখন নেইমারের ৩০ বছর। কাতার বিশ্বকাপের পর আরেকটি বৈশ্বিক আসরে খেলার চেষ্টা তিনি করতেই পারেন। তবে ব্রাজিলিয়ান এ তারকার কথায় ইঙ্গিত, কাতারের আসরটিই হতে পারে তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। জীবনের তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন তিনি। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাকে হয়তো আর দেশের জার্সিতে নাও দেখা যেতে পারে। বিশ্ব মঞ্চে ট্রফি উঁচিয়ে ধরার লক্ষ্যে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।

গত বছর কোপা আমেরিকা ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হারার পর আর কোনো ম্যাচ হারেনি ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ২৫ নভেম্বর সার্বিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের অভিযানে নামছে।

Advertisement

ফুটবল

জামালকে প্রাপ্য অর্থ দিতে আর্জেন্টিনা ক্লাবকে নির্দেশ দিয়েছে ফিফা

Published

on

জামাল ভুঁইয়া খেলতে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দে মায়োতে। তৃতীয় বিভাগের এই ক্লাবটিতে ৭ মাস ছিলেন জামাল। যদিও চুক্তি ছিল দেড় বছরের। চুক্তির আগে চলে আসার যৌক্তিক কারণও আছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের। ক্লাবটি থেকে এই সময়কালে কোনো বেতন পাননি জামাল। যা নিয়ে ফিফার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে রায় জানিয়েছে ফিফা।

ফিফার দেওয়া রায় জামালের পক্ষে গিয়েছে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, সোল দে মায়ো থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার পাবেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে মোট ১ কোটি ৯০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। গত সাত মাস ধরে বেতন পাননি এই ফুটবলার। প্রতি মাসে ১২ হাজার ডলার দেওয়ার কথা ছিল এই আর্জেন্টাইন ক্লাবের। সাত মাসের বেতন তো ছিল, এর সাথে যোগ হয়েছে কিছু জরিমানা, কিছু সুদ। ক্লাবটিকে ৪৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, যে সময়কালের মধ্যে জামালের পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে।

জামালকে দেড় বছরের চুক্তিতে সোল দে মায়ো নিজেদের দলে নেয়। জাতীয় দলের এই অধিনায়ক যখন সেখানে যান, মাসের পর মাস অতিবাহিত হচ্ছে- কিন্তু কোনো বেতন প্রদান করা হচ্ছিল না। যা জামালকে বেশ আহত করে। ফলে সাত মাস শেষেই সেখান থেকে ফিরে এসে দেশে আবাহনী লিমিটেডের সাথে যোগ দেন।

সোল দে মায়োকে বলা হয়েছে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আপিল করতে। পরবর্তীতে নির্ধারিত অর্থ প্রদান করতে না পারলে, ফিফার আইন অনুযায়ী যেতে হবে ক্লাবটিকে। যেখানে ৩ মাস স্থানীয় ও বিদেশী খেলোয়াড় নিবন্ধনের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে আর্জেন্টিনার এই ক্লাবটির উপর।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

এবার অপরাজেয় লেভারকুসেন ইউরোপা লিগের ফাইনালে

Published

on

ইউরোপা লিগ সেমিফাইনালে রোমার বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিলো লেভারকুসেন। তবে দ্বিতীয় লেগে ম্যাচের ৬৬ মিনিটের মধ্যে সেই গোলের সমতা আনে রোমা। আর্জেন্টাইন মিড ফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদেস ৪৩ ও ৬৬ মিনিটে পেনাল্টি গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেয় রোমাকে।

কিন্তু ৮২ মিনিটে রোমার জিয়ানলুকা মানচিনির আত্মঘাতী গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লেভারকুসেন। এই স্কোরলাইন ধরে রাখলেই ইউরোপার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেত জার্মান ক্লাবটির। কিন্তু থেমে যেতো অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা।

তবে লেভারকুসেন যখন নেভারলুসেন তখন এই পথ কীভাবে বন্ধ হয়। ৯৭ মিনিটে জোসিফ স্তানিসিচ গোল করে আবারও লেভারকুসেনকে অপরাজেয় রাখলেন। এটি চলতি মৌসুমে যোগ করা সময়ে লেভারকুসেনের ১৭ তম গোল।

এই ড্রয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে টানা ৪৯ ম্যাচে অপরাজিত রইল জাবি আলোনসোর দল। লেভারকুসেন পেছনে ফেলেছে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার ৫৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড। ১৯৫৫ সালে ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত টানা ৪৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল বেনফিকা।

ক্লাবের ইতিহাসে এবারই প্রথম বুন্দেসলিগা জেতা লেভারকুসেন দাঁড়িয়ে ইউরোপা লিগ এবং জার্মান কাপ জয়ের সামনে। আগামী ২২ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাব আতালান্তার মুখোমুখি হবে তারা। ২৫ মে জার্মান কাপের ফাইনাল দ্বিতীয় স্তরের দল কাইজারস্লাটার্নের বিপক্ষে।

Advertisement

লেভারকুসেনকে অবিশ্বাস্য সাফল্য এনে দেওয়া জাভি আলোনসোর আশা, তাঁর দল দুটি ট্রফিই জিতবে।

এস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

মাদ্রিদ স্কোয়াডের প্রতিফলন হোসেলু, মন্তব্য আনচেলত্তির

Published

on

হোসেলুর কাছে স্বপ্নের মতো এক রাত কেটেছে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাঠে নেমেছেন ৮১ মিনিটে। তখন বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১ গোলে পিছিয়ে মাদ্রিদ। সেখান থেকে ৮৮ মিনিটে সমতা, এরপর আরও এক গোলে দলের জয়- হোসেলুর কাছে স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু মনে হওয়ার কথা। স্পেনের এই ফুটবলারকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

হোসেলুর জন্য একেবারেই সহজ ছিল না। যেখানে বেশিরভাগ সময় বেঞ্চেই বসে থাকতে হয়েছে তাকে। তবে এমন এক মুহূর্ত জানান দিতে যতটুকু প্রতিজ্ঞা থাকতে হয়, নিজের মধ্যে তা লালন করেন এই স্প্যানিশ ফরোওয়ার্ড।

চলতি মৌসুমে এস্পানিওল থেকে লোনে মাদ্রিদে এসেছেন। নানা ক্লাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তবে নিজের ভেতরে মাদ্রিদের জৌলুস ঠিকই অনুভব করেন তিনি। আর নিজেকে আরও বেশি প্রকাশ করতে এমন কিছু দরকার ছিল হোসেলুর জন্য।

মাদ্রিদের ইতালিয়ান কোচ আনচেলত্তি হোসেলু সম্পর্কে বলেন, “ সে একজন চমৎকার প্রতিফলন। কারণ এই মৌসুমে খেলোয়াড় হিসেবে অনেক বেশি অবদান রেখেছেন তিনি। যদিও খুব বেশি মিনিট তিনি খেলেননি।“

স্কোয়াডের প্রতিফলন হিসেবে হোসেলুকে উল্লেখ করেছেন আনচেলত্তি। বেঞ্চে থাকলে সাধারণত আত্মবিশ্বাসে ছেদ পড়ার কথা। তবে হোসেলুর ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি। মাদ্রিদ কোচ মনে করেন, এই স্প্যানিশের আরও অনেক কিছু দেওয়ার রয়েছে।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version