Connect with us

জাতীয়

নোরা ফাতেহীর অনুষ্ঠান বন্ধের এখতিয়ার এনবিআর`র নেই : তথ্যমন্ত্রী

Published

on

নোরা ফাতেহী

বলিউড ‘হার্টথ্রোব’ তারকা নোরা ফাতেহীকে নিয়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠান করার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ট্যাক্স বা ভ্যাট আদায়ের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারলেও অনুষ্ঠান বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার রাখে না। বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নোরা ফাতেহী একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী। কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন বিশ্বকাপে আইটেম সংয়ে (গান) তিনিই পারফর্ম করবেন, যেটি অন্যান্য বিশ্বকাপেও হয়েছে; যেমন শাকিরা করেছেন, আরও বেশ কয়েকজন বিশ্ববরেণ্য তারকা করেছেন। নোরা ফাতেহীকে একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি ডকুমেন্টারি করতে চায়। সেজন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ট্যাক্স বা ভ্যাট আদায়-সেগুলোর জন্য এনবিআর অবশ্যই তাদেরকে নোটিশ দিতে পারে। কিন্তু এনবিআর অনুষ্ঠান বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার রাখে না। যেখানে সরকার অর্থাৎ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছে সেখানে অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার এনবিআর রাখে না। এনবিআর অবশ্যই ট্যাক্স/ভ্যাট আদায় করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে।

উইমেন লিডারশিপ কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকার একটি সম্মেলন কেন্দ্রে ‘গ্লোবাল এক্সিভার্স অ্যাওয়ার্ড-২০২২ উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারির শুটিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহীর বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।

নোরা ফাতেহীসহ অন্যান্য বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে বাংলাদেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট/কর) ফাঁকির অভিযোগ তুলেছে এনবিআর। ভ্যাট বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মদ আবদুস সাদেক সই করা একটি চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর পৃথক চিঠিতে একই বিষয়ে উৎসে আয়কর পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা বিধান পালন না করায় আপত্তি জানিয়েছিল এনবিআরের আয়কর বিভাগ।

Advertisement

ঢাকা উত্তরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ওমেন্স লিডারশিপ করপোরেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিদেশি শিল্পী নোরা ফাতেহীসহ অন্যান্য শিল্পীরা অংশ্রগ্রহণ করবে বলে ভ্যাট বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মূসক আইন অনুযায়ী বিদেশি শিল্পীর অংশগ্রহণে বিনোদনমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ঘোষণা অনুযায়ী ব্যাংক গ্যারান্টি জমা ও অনুমতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট ও বিভাগীয় দপ্তরে এ বিষয়ে যোগাযোগ করে জানা যায়, আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা ও ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিলসহ অনুমতি গ্রহণ করা হয়নি। আয়োজক প্রতিষ্ঠান আগামী ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠানের জন্য এরইমধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। যা ২০১২ সালের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন সংশ্লিষ্ট বিধিমালার পরিপন্থি।

এ অবস্থায় মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অবহিতকরণ এবং বিদ্যমান আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে এ জাতীয় বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানের আয়োজন কোনো আয়োজক যাতে না করতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে এনবিআর পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, মূসক আইন অনুযায়ী বিদেশি শিল্পীর অংশগ্রহণে বিনোদনমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা ও অনুমতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু আয়োজক প্রতিষ্ঠান এ সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা ও ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিলসহ অনুমতি গ্রহণ করেনি। এ কারণে ভ্যাট বিভাগ থেকে প্রযোজ্য ভ্যাট আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে বিদেশি শিল্পীদের বাংলাদেশের যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তিপত্রে উল্লিখিত পারিশ্রমিক ছাড়াও অভিনেতা/অভিনেত্রী ও কলা-কুশলীর জন্য পরিশোধিত অন্যান্য খরচ যেমন, বিমান বা অন্যান্য পরিবহনের মাধ্যমে পরিশোধযোগ্য যাতায়াত খরচ, তাদের থাকা খাওয়ার খরচ ইত্যাদি সব ধরনের খরচের ওপর পরিশোধিত এবং পরিশোধযোগ্য মোট অর্থের ওপর আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৫৬ ধারার বিধান অনুযায়ী ৩০ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা বিধানের কথা জানিয়ে আয়কর বিভাগ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল।

Advertisement

জাতীয়

সিইসি, ইসিদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ, আইনের খসড়ার অনুমোদন

Published

on

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে প্রতিমাসে এক লাখ ৫ হাজার টাকা এবং  নির্বাচন কমিশনারদের  ৯৫ হাজার টাকা বেতন ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে ‌‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

রোববার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগে যে আইনটি ছিল সেখানে বলা ছিলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন এবং নির্বাচন কমিশনার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন। বর্তমান আইনে, ওই রকম না লিখে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

মাহবুব হোসেন জানান, বিশেষ ভাতা হিসেবে সিইসি ও ইসি উভয়ে তাদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হিসেবে পাবেন। এছাড়া উৎসব ভাতা পাবেন, বাংলা নববর্ষের ভাতা পাবেন, আবাসন সুবিধা পাবেন, যানবাহন সুবিধা পাবেন, টেলিফোন সুবিধা, কুক ভাতা, সিকিউরিটি ভাতা পাবেন। নিয়ামক ভাতা পাবেন ৮ হাজার টাকা করে। চিকিৎসা সুবিধা আগে যেভাবে আছে সেটাই থাকবে।

সিইসি ও ইসিদের পদমর্যাদার বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেটি মূল আইনে রয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতিরাও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পান। বেতন আগের মতোই রয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এতদিন ১৯৮৩ সালের আইনে বেতন ভাতাসহ অন্য সুবিধা পেয়ে আসছিলেন সিইসি ও ইসিরা। কিন্তু  উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সামরিক শাসনামলের যেসব আইন ছিলো সেগুলো পরিবর্তনের যে নির্দেশনা আছে তার আলোকে এই আইনটি করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুখবর

Published

on

অ্যাপোস্টাইল কনভেনশনে যুক্ত হলে কাগজপত্র সত্যায়িত করতে ভোগান্তি কমবে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের। বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অ্যাপোস্টাইল কনভেনশনে যুক্ত হলে, বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস থেকে আর কাগজপত্র সত্যায়িত করা লাগবে না। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৬১ সালে স্বাক্ষরিত হেগ অ্যাপোস্টাইল কনভেনশন চুক্তি হয়। এই চুক্তির অধীনে থাকা দেশগুলোর একটিতে জারি করা নথি, অন্য দেশগুলোতে আইনি উদ্দেশ্যে প্রত্যয়িত হয়।

বাংলাদেশ এই চুক্তির অধীনে না থাকায় এতদিন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস থেকে আর কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হতো।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অটোরিকশা চলাচলে নীতিমালা করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

Published

on

আন্দোলনরত চালকদের জীবিকার কথা চিন্তা করে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এর একটি নীতিমালা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রাজধানীসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানতেন না। বিকল্প ব্যবস্থা না করে তাদের জীবিকায় হাত দেয়া উচিত হয়নি বলেও মনে করেন সরকারপ্রধান।

মন্ত্রিপরিষদ সভায় অটোরিকশা চালকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বিধিমালার মাধ্যমে অটোরিকশা চালকদের নিয়মের মধ্যে আনা হবে। নির্দিষ্ট রাস্তায় চলতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। কী গতিতে চলবে তা নির্দিষ্ট করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উল্লেখ করে সচিব আরও বলেন, অটোরিকশা চলাচলে একটি নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা (রেগুলেটরি বডি) গঠন করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেই সঙ্গে চালকদের প্রশিক্ষণ ও অটোরিকশার ডিজাইন করে দিতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

উল্লেখ্য, সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা। দাবি আদায়ে গতকাল রোববার মিরপুরে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। আজও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version