এশিয়া
যে শহরে শুধু একজন বান্ধবী থাকা লজ্জাজনক!
এই শহরে কোনও পুরুষের একজন বান্ধবী থাকা রীতিমতো লজ্জাজনক। অন্তত দুজন বান্ধবী না থাকলে মান থাকে না। এমনকি এই বিষয়টিতে আপত্তি থাকে না তাদের বান্ধবীদেরও। বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও এই পৃথিবীতেই রয়েছে এমন এক শহর।
চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ডনগুয়ান শহরে এমনটাই রীতি। এক জন পুরুষের অন্তত দুজন বান্ধবী সেখানে।
অনেকেই এই শহরের পুরুষদের ‘বহুগামী’ বলে ভুরু কুঁচকে থাকেন। যদিও শহরের পুরুষরা তাতে কান দেন না। সমাজের স্বার্থেই নাকি তাদের প্রত্যেকের দুই থেকে তিন জন করে বান্ধবী রয়েছে। না থাকলে তা ‘লজ্জাজনক’।
ডনগুয়ান শহরে পুরুষদের বহুগামিতার জন্য দায়ী কে? সুন্দরী নারী, না কি পুরুষদের চরিত্র! আসলে এর মধ্যে কোনওটিই নয়। দায়ী মহিলা ও পুরুষদের অনুপাত। এই শহরে প্রতি ১০০ জন মহিলাপিছু পুরুষের সংখ্যা ৮৫।
এই শহরে মহিলাকর্মীর খোঁজে আসে বিভিন্ন সংস্থা। কর্মী হিসেবে এখানকার মহিলাদের দক্ষতাও অনেক বেশি।
লি বিন নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘এই শহরে কাজের থেকে বান্ধবী খুঁজে পাওয়া অনেক সহজ। আমার তিন জন বান্ধবী রয়েছে। একে অপরের সঙ্গে পরিচিত তাঁরা।’
ডনগুয়ানে বহু পুরুষই কাজ পান না। নয়তো সামান্য রোজগার করেন। তাঁদের খরচ চালান বান্ধবীরাই। অনেক চেষ্টার পরেও চাকরি পাননি এয়ি। সেই বেকার যুবক বলেন, ‘ডনগুয়ানে প্রচুর মহিলা রয়েছেন, যাঁদের চাকরি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তারা শুধু এক জন পুরুষ চান।’
গুয়াংডং প্রদেশের নারী অধিকার রক্ষা সংগঠনের দাবি, পুরুষদের বহুগামিতা নিয়ে অভিযোগ করেন না এখানকার মহিলারা। কারণ একা থাকার থেকে অন্তত এক জন পুরুষসঙ্গী থাকা ভালো।
তরুণ বয়সে পুরুষদের একাধিক সঙ্গী নিয়ে মাথাই ঘামান না মহিলারা। খুব কম ক্ষেত্রে হয়তো প্রেমিকের অন্য সঙ্গীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তারা। এ কথা জানিয়েছেন শহরের এক সমাজকর্মী।
এশিয়া
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় গর্ভবতী নারীসহ নিহত ১৮
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে এক গর্ভবতী নারী ও তার অনাগত শিশুও রয়েছে। এছাড়া গাজা সিটিতে পৃথক হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২২ মে) আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্য গাজায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় এক গর্ভবতী নারী এবং তার অনাগত সন্তানসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-জাওয়াইদা এলাকায় বাস্তুচ্যুত লোকদের ভিড়ে বোমা হামলা করা হলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা আরও জানিয়েছে, গাজা শহরে ইসরায়েলের চলমান হামলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমপক্ষে আরও আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে, শহরের তুফাহ পাড়ায় আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই নারী ও এক নাবালক শিশুসহ আরও চারজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে গেলো ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৬৪৭ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ইসরাইলি হামলায় ৭৯ হাজার ৮৫২ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
টিআর/
এশিয়া
লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় রাইসির শেষ বিদায়
লাখো মানুষের ঢল নেমেছে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। সদ্য প্রয়াত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটিতে জড়ো হয়েছেন তারা। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।
পরদিন সোমবার রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের বলে জানানো হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে। ১৯৬০ সালে একটি মার্কিন কোম্পানি দুই ব্লেডের এই মডেলটি তৈরি করেছিল কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য।
আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।
একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে।
তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে মনে করা হয়েছিল একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন ইব্রাহিম রাইসি।
ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।
টিআর/
এশিয়া
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো ইরান
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পরপরই আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ইরান। আগামী জুন মাসের শেষের দিকে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরান সোমবার ঘোষণা করেছে, আগামী ২৮ জুন দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইরানের রাষ্ট্রচালিত বার্তাসংস্থা আইআরএনএ-এর মতে, বিচার বিভাগীয়, নির্বাহী ও আইনসভা কর্তৃপক্ষের প্রধানদের মধ্যে বৈঠকের পর দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে এবং আগামী ১২ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।
সোমবার (২০ মে) পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, গেলো রোববার ইরান-আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রেসিডেন্ট রাইসির ফেরার সময় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
পরে সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।
এই দুর্ঘটনার ফলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, সেইসাথে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমেতি এবং তাবরিজ প্রদেশের ইমাম আয়াতুল্লাহ আলী হাশিমের মৃত্যু হয়েছে।
রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।
টিআর/
-
ক্রিকেট7 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
বলিউড5 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
বলিউড4 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
-
আইন-বিচার6 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
-
আইন-বিচার6 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন
-
ঢাকা4 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
-
অপরাধ3 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন