জাতীয়
জাতিসংঘে প্রথমবার সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’। এবারের রেজুলেশনটিতে ১০৯টি দেশ সহ-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ নভেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রেজুলেশনটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রেজুলেশনে প্রাথমিকভাবে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর যা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরও অবনতির শিকার হয়েছে। এতে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করা, রাখাইন রাজ্যে স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের সব মানবাধিকার ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করার বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশেষ করে সর্বসম্মতিক্রমে আসিয়ান গৃহীত ৫ দফা সুপারিশের দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরত্বারোপ করা হয়েছে এতে। চলমান বিচার ও দায়বদ্ধতা নিরূপণ প্রক্রিয়ার ওপর রেজুলেশনে সজাগ দৃষ্টি বজায় রাখার কথাও বলা হয়। এতে মিয়ানমারে নবনিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং মিয়ানমারকে সম্পৃক্ত করে তার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের কথাও বলা হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে মিয়ানমার, ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপি এর মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারকটি নবায়ন ও এর কার্যকর বাস্তবায়ন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে রেজুলেশনটিতে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
রেজুলেশনটি গৃহীত হওয়ার সময় প্রদত্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি পাওয়ার দাবি রাখে। এই মানবিক সাড়াদান প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত অর্থায়ন। গুরুত্বপূর্ণ এই মানবাধিকার ইস্যুতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতির অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা মানবিক বিবেচনায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম, ব্যস্তচ্যুত এ জনগোষ্ঠীর সবসময়ই মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। সে লক্ষ্যে আমরা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় ফ্রন্টে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি, যাতে মিয়ানমারে নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তন উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়’।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইং জানায়, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদান এবং জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ যে উদারতা ও মানবিকতা প্রদর্শন করেছে, রেজুলেশনটিতে তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
কক্সবাজারের অত্যন্ত জনাকীর্ণ আশ্রয় ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে ভাষানচরে স্থানান্তর এবং এ লক্ষ্যে এখানে অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার যে প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ করেছে তারও স্বীকৃতি দেওয়া হয় রেজুলেশনে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরকে স্বাগত জানানো হয়।
জাতিসংঘের এ রেজুলেশনটি রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি বিভিন্ন অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি প্রকাশের একটি অনন্য উদাহরণ। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে যার ফলে বিলম্বিত হচ্ছে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। এহেন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করতে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয়
কক্সবাজার এক্সপ্রেসের রেক থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন
খিলগাঁওয়ে কক্সবাজার থেকে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শুক্রবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে।
শনিবার (১৮ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসার পথে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৩) ট্রেনের রেক থেকে ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মূল হুক খুলে যাওয়ার কারণে এমন হয়েছে। তবে গতি কম থাকায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, পরে লোকোশেড থেকে অন্য একটি ইঞ্জিন পাঠিয়ে ওই রেককে ঢাকা স্টেশনে আনা হয়। এই ঘটনার এক ঘণ্টা পরে ট্রেনটি আবার কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৩) কক্সবাজার থেকে ছাড়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় এবং ঢাকায় এসে পৌঁছায় রাত ৯টা ১০ মিনিটে। ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৪) ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় রাত সাড়ে ১০টায়। এবং কক্সবাজার পৌঁছায় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার।
টিআর/
জাতীয়
চলতি মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে মো. আসাদুজ্জামান নামে বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা গেছেন। চলতি হজ মৌসুমে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। গেলো ১৫ মে তিনি মদিনায় মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।
শনিবার (১৮ মে) ভোররাত তিনটার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিদিনের বুলেটিনে আরও জানানো হয়, পবিত্র হজ পালন করতে এখন পর্যন্ত (১৭ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী। মোট ৬৮টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৩ হাজার ৩৬৪ জন।এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
গেলো ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন।
এ বছর হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসাবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জেএইচ
জাতীয়
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত
কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শুক্রবার (১৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল তারেক ১৯৮৯ সালে কমিশন লাভ করেন। সামরিক কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে স্টাফ ও কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডিরেক্টর স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সমগ্র কর্মজীবনে তার প্রধান কার্যাবলীর মধ্যে আছে বাংলাদেশ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কমান্ড্যান্ট, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, ৪৪ এবং ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার।
মেজর জেনারেল তারেক অ্যাঙ্গোলা এবং আইভরি কোস্টে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য স্বতন্ত্র সম্মানও পেয়েছিলেন। মেজর জেনারেল তারেক সারা বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সামরিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের অনন্য সুযোগ পেয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ভারতের ওয়েলিংটনে ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ এবং পেনসিলভেনিয়ায় ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজ।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিলকিস বেগম সিমির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুইটি কন্যা সন্তান আছে।
এএম/
-
আইন-বিচার4 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
এশিয়া7 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি7 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
অপরাধ4 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
টুকিটাকি4 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
খুলনা5 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
জাতীয়3 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন