Connect with us

জনদুর্ভোগ

লোকবল অভাবে রেলের ৫৪টি স্টেশন বন্ধ

Published

on

রেলের পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে ১৭৫টি স্টেশন। লোকবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে ৫৪টি। বাকি ১২১টি স্টেশন চালু রয়েছে। বন্ধ স্টেশনগুলোতে টিকিট বিক্রি হয় না। এতে ট্রেনে ওঠে টিটি ও যাত্রীদের টিকিট কাটা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এমন অবস্থায় অনেক যাত্রীই বিনা টিকিটে ভ্রমণ করছেন। ফলে প্রতিদিন রেলওয়ের হাজার হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।

জানা গেছে, ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথে ১০টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি স্টেশনে টিকিট বিক্রি বন্ধ হয় গেলো ১৭ অক্টোবর। সপ্তাহখানেক বন্ধ থাকে টিকিট বিক্রি। এই স্টেশনগুলোতে রেলওয়ের নিজস্ব কোনো লোকবল নেই। স্টেশনগুলো চলত দৈনিক মজুরিপ্রাপ্ত টিআরএল (টেম্পোরারি লেবার রিক্রুট) লোকবল দিয়ে। টিআরএল লোকবল ঢাকায় আন্দোলনে যোগ দেয়ায় স্টেশনগুলো ফাঁকা হয়ে পড়ে। এতে করে টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের জুনে ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথটি চালু হয়। ঢালারচর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে একটি ট্রেন চলাচল করছে। সকালে ট্রেনটি ঢালারচর থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিকেলে আবার ফিরে আসে।

নতুন রেলপথে ঢালারচর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত স্টেশন রয়েছে মোট ১০টি। কিন্তু স্টেশনগুলোর জন্য রেলওয়ে পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেয়নি। ১০টি স্টেশনের মধ্যে বাঁধের হাট, কাশিনাথপুর, সাঁথিয়া, রাজাপুর, তাঁতিবন্ধ, দুবলিয়া, রাঘবপুর এই ৭টি স্টেশনে রেলওয়ের নিজস্ব কোনো লোকবল নেই। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী লোকবল দিয়ে স্টেশনগুলো চালানো হয়। তবে গত ১৭ অক্টোবর ওই কর্মীরা তাঁদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনে নামে। তারা সবাই ঢাকা চলে যায়। এতে স্টেশনগুলোর সব কার্যক্রম ও টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।

মিথুন নামে টিআরএল এর একজন কর্মী জানান, পশ্চিম রেলওয়েতে পাকশী, লালমনিরহাট ডিভিশন (বিভাগ) এবং খুলনা রয়েছে। এগুলোতে দৈনিক মজুরিভিত্তিক লোকবল রয়েছে প্রায় ২ হাজার ১০০ জন। তাদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

Advertisement

পশ্চিম রেলওয়ের জিএম অসিম কুমার তালুকদার জানান, পাবনার ছয়টি স্টেশন লোকবলের কারণে বন্ধ ছিল। এই স্টেশনগুলোতে টিআরএল লোক কাজ করতেন। তাদের কাজের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ। তাই অনেকেই ঢাকায় আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে বাঁধের হাট স্টেশনের যাত্রী রাকিবুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহে তিন দিন রাজশাহীতে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। স্টেশনে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ট্রেনে উঠে টিকিট কিনেছি। অনেক যাত্রী ভাড়া নিয়ে টিটির সঙ্গে বাগবিতাণ্ডায় জড়ায়। বিষয়গুলো অনেক খারাপ লাগে।

বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, পশ্চিম রেলওয়ের ১৭৫টি স্টেশনের মধ্যে লোকবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে ৫৪টি। বাকি ১২১টি স্টেশন চালু রয়েছে। লোকবল সঙ্কট কত? এমন কথার উত্তরে তিনি বলেন, সময় লাগবে দেখতে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ৪২টি স্টেশনে নিজস্ব কোনো লোকবল নেই। দৈনিক মজুরি প্রাপ্ত লোকবল দিয়ে স্টেশনগুলো চালানো হচ্ছে।

Advertisement

চট্টগ্রাম

রুমা-থানচি সড়কে ৪ দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ

Published

on

বান্দরবানের রুমা-থানচি সড়কে একটি বেইলি সেতু দেবে যাওয়ায় ৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রুমা ও থানচি উপজেলার বাসিন্দারা। এদিকে বেইলি সেতু দেবে যাওয়ায় একপ্রান্তে যাত্রীরা নেমে হেঁটে মালামাল বহন করে আবার অন্যপ্রান্তে গিয়ে যানবাহনে উঠতে হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক না থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পাহাড়ে উৎপাদিত বিভিন্ন ফল সংগ্রহ করে তা দ্রুত বাজারজাত করতে না পারার পাশাপাশি রুমা ও থানচি উপজেলায় সবজি পরিবহনে দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।

শনিবার (১ জুন)  মিলনছড়ি নামকস্থানে দেবে যাওয়া ওই বেইলি সেতুটি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথের যাত্রীরা।

জানা যায়, গেলো (২৮ মে) সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবানের রুমা-থানচি উপজেলা যাওয়ার পথে মিলনছড়ির একটি বেইলি সেতু দেবে যায়। সেতুটি দেবে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের জন্য যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

স্থানীয় এক আনারস চাষি বলেন, আমরা বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড়ে আনারস ও আম বাগান করেছি। সেখানে ভালো ফলনও হয়েছে। তবে উৎপাদিত ফলন বাজারজাত করতে পারছি না। বিশেষ করে ব্রিজ ভাঙার কারণে ২-৩ বার গাড়ি পরিবর্তন করতে হচ্ছে।

রুমার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, একজন রোগীকে রুমা থেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। ব্রিজ দেবে যাওয়ায় রোগীকে নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত গাড়িও দুইটা পরিবর্তন করতে হয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে বান্দরবান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দীন চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় সংস্কারের কাজ শেষ। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইলি সেতুটি মেরামত করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারবো।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশনের আওতায় রয়েছে বান্দরবানের রুমা-থানচি সড়ক। দ্রুত সময়ে এই বেইলি সেতুটি মেরামত হলে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

নেটওয়ার্ক না থাকায় চরম ভোগান্তিতে হাজারও গ্রাহক

Published

on

দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার মফস্বল এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় হাজার হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় হালকা ও মাঝারি দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং থাকায় মফস্বল এলাকায় গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি ও টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাচ্ছে গ্রাহকরা। ফলে মফস্বল এলাকার ওই মোবাইল কোম্পানি টাওয়ারগুলো সোলার অথবা জেনারেটরের ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যুৎ যাওয়া মাত্রই মোবাইল নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে যায়। ফলে উপজেলার মফস্বল এলাকার হাজার হাজার গ্রাহকরা গত কয়েক দিন থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সেই সাথে মফস্বল এলাকায় শতশত বিকাশ, রকেট ও নগদের এজেন্ট ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো লেন দেনসহ গ্রাহকদের মোবাইলে রিচার্জ (টাকা) দিতে না পাড়ায় নিজেরাও ভোগান্তির পাশাপাশি আয়ও কমে যাওয়ায় দুর্দিন পাড় করছে। গ্রাহকরা মোবাইল কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিটি মোবাইল টাওয়ারে দ্রুত জেনারেটর অথবা সোলার প্যানেল স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন।

নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী এলাকার বিমল চন্দ্র সিংহ রায় ও ফুলবাড়ী উপজেলার কুরুষা ফেরুষা এলাকার রনবীর চন্দ্র রায় জানান, কারেন্ট থাকলে নেটওয়ার্ক থাকে। কারেন্ট না থাকলে নেটওয়ার্কের দেখা নেই। এই দুই মোবাইল গ্রাহক জানান গেলো বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকে শুক্রবার পনে ১ টা পর্যন্ত নেটওয়ার্ক ছিল না। কাল মোবাইলে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। শুক্রবার টানা ১৬ ঘণ্টা পর মফস্বল এলাকায় নেটওয়ার্কের দেখা পেলাম। তারা আরও জানান এখনতো ঝড় বৃষ্টির দিন কারেন্ট যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে মোবাইল কোম্পানির কর্তৃপক্ষ টাওয়ারগুলো সোলার অথবা জেনারেটরের ব্যবস্থা করলে আমাদের দুর্ভোগ কমতো।

ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট বাজারের নগদ-বিকাশের ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম ও অনাথ চন্দ্র রায় জানান, গত কয়েক দিন থেকে নেটওয়ার্ক না থাকায় আমাদের ব্যবসা অবস্থা করুন। সেই সাথে গ্রাহকরাও পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। এই দুই ব্যবসায়ী নেটওয়ার্ক দ্রুত সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

একই বাজারের কম্পিউটার ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, গত কয়েক দিন থেকে একদিকে নেটওয়ার্ক অন্য দিকে কারেন্ট না থাকায় একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনসহ বিভিন্ন অনলাইনের কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। তাই মফস্বল এলাকায় সব সময় গ্রামীণ টেলিটক, রবিসহ সকল প্রকার নেটওয়ার্ক থাকায় জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

Advertisement

এ ব্যাপারে গ্রামীণ ফোনের নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী জোনের এসি (মাঠকর্মী) সুখী নাথ সরকার জানান, কারেন্ট না থাকায় মফস্বল এলাকায় নেটওয়ার্ক থাকে না বিষয়টি শিকার করেন জানান ঝড় বৃষ্টির কারণে এখনো কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের ২৭ টি টাওয়ারের নেটওয়ার্ক নেই। এই দুই জেলা মিলে ৭ টি জেনারেটর আছে। সেগুলো দুই জেলার বিভিন্ন শহরে দেয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে কারেন্ট থাকলে কোথাও কোন নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে না।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যে জেলায়

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গেলো ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুর জেলায়। এসময়ে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো ৫৭ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ছিল।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়াইব।

তিনি বলেন, সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় ২৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গেলো সোমবার ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয় ১২৯ মিলিমিটার। এরপরও একটানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চাঁদপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবারহ বিচ্ছিন্ন ছিল প্রায় ৩০ ঘণ্টা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version