Connect with us

সিলেট

স্ত্রী-সন্তান রেখে প্রেম করে বিয়ে, মেনে না নেয়ায় নবদম্পতির আত্মহত্যা

Published

on

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় প্রেমের বিয়ে মেনে না নেয়ায় একসঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান হৃদয় (৩০) ও স্ত্রী তানিয়া বেগম (১৮)।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে লাখাই থানায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া।

তিনি জানান,  হৃদয়ের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় তানিয়ার। এরপর তাদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। প্রায় ১৩ দিন আগে তানিয়াকে বিয়ে করেন হৃদয়। বিয়ের পর তানিয়া স্বামীকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। বাড়িতে তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে বলেও জানান হৃদয়।

রোববার (২০ নভেম্বর) হৃদয় একা বাড়িতে যেতে চাইলে তানিয়া তাকে যেতে বাধা দেন। এসময় তানিয়া তাকেও নিয়ে যেতে বলেন। তবে হৃদয় রাজি না হওয়ায় তিনি ঘরে রাখা বিষপান করেন। এসময় ক্ষোভে হৃদয় নিজেও বিষপান করেন।

ওসি মোহাম্মদ নুনু মিয়া জানান,  রোববার রাতে স্বামী-স্ত্রী বিষপান করলে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এসময় চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেন।

Advertisement

সিলেট

সিলেটে থৈ থৈ পানি

সিলেটে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নদনদীর পানি কিছুটা কমলেও প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট সিটি করপোরেশনসহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ছে।

নদনদীর পানি কিছুটা কমলেও সুরমা-কুশিয়ারার অন্তত ১৫টি স্থানে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে নদী তীরবর্তী পরিবারগুলো এখনো আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে পারছে না।

শনিবার (১ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর পানি আজ সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ৭ সেন্টমিটার ও ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (৩১ মে) এই নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৪ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার এই নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০৭ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কুশিয়ারার পানি গতকালের তুলনায় আজ অনেকটা কমেছে।

Advertisement

অন্যদিকে নদনদীতে পানি কমলেও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও জেলার কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বন্যায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জেলার ১৩টি উপজেলার ৬৮ ইউনিয়নের ৭৮১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখেরও বেশি মানুষ।

জেলা প্রশাসন আরও জানায়, বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে তিন হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট সিটি করপোরেশন, সদর, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

এখনও বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে সিলেটের দুই নদীর পানি

Published

on

সিলেটে বৃষ্টিপাত কমলেও প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট সিটি করপোরেশনসহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ছে।

শনিবার (১ জুন) সকালে বন্যা পরিস্থিতির সবশেষ অবস্থা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর পানি আজ সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ৭ সেন্টমিটার ও ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, উজান থেকে ভাটির দিকে পানি নামতে শুরু করায় সিলেট সিটি করপোরেশন,সদর,গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জেলার ১৩টি উপজেলার ৬৮ ইউনিয়নের ৭৮১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৬ লাখেরও বেশি মানুষ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ৫৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে তিন হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

সিলেটে আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি ৫ লাখের বেশি মানুষ

Published

on

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলাসহ মোট সাত উপজেলায় পানিবন্দি অবস্থায় আছেন প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন মানুষ। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সিলেটের কয়েকটি নদীর পানি।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে সিলেটের কানাইঘাট সুরমা পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার এবং জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়।

সিলেট জেলা প্রশাসনের জানায়, সিলেট জেলায় ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি উপজেলার ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাকবলিত এলাকার ৪ হাজার ৮০২ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। প্লাবিত উপজেলাগুলোর মধ্যে কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, শুকনো খাবার ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সিলেটের বন্যাকবলিত উপজেলাগুলো হলো- জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ।

এদিকে গতকাল জৈন্তাপুর উপজেলায় উদ্ধার ও ত্রান কার্যক্রম চালিয়েছে বিজিবি।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version