Connect with us

ফিচার

মাথা কেটে বের করে নেয়া হত ঘিলু!

Avatar of author

Published

on

মাথা

৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ১০ হাজার মানসিক রোগীর দেহ থেকে মস্তিষ্ক হাতিয়ে নিয়েছেন ডেনমার্কের চিকিৎসকেরা। এমনকি, এ বিষয়ে ওই রোগীদের পরিবারের অনুমতি পর্যন্ত নেয়া হয়নি।

ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে মস্তিষ্কগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গোপন গুদামে সেগুলি বাক্সবন্দি করে রাখা হয়েছিল।

গত ১২-১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন-এ ‘ওয়ার্ল্ড’স আনটোল্ড স্টোরিজ: দ্য ব্রেন কালেক্টরস’ নামে একটি তথ্যচিত্র  দেখানো হয়েছে। যার বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে।

মাথা

দীর্ঘ দিন ধরেই মস্তিষ্ক সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষো চলছিল। তবে তা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। সিএনএন-এ প্রচারিত তথ্যচিত্রে গোটা বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের দাবি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ৩৭ বছর ধরে গোপনে এ হেন সংগ্রহে লিপ্ত ছিলেন ড্যানিশ চিকিৎসকেরা। মূলত সিজোফ্রেনিয়া, মানসিক অবসাদে ভোগা রোগীদের হাসপাতালে মৃত্যুর পর সেখান থেকে তাদের মস্তিষ্ক সরানো হত।

Advertisement

সিএনএন জানিয়েছে, ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে কার্স্টেন আবিলট্রাপ নামে এক কমবয়সি রোগীর মস্তিষ্কও। কার্স্টেনের জন্ম হয়েছিল ১৯২৭ সালে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।

চিকিৎসার জন্য কার্স্টেনকে নেদারল্যান্ডসের একটি নবনির্মিত মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। অভিযোগ করা হয়েছে, মানসিক হাসপাতালে ভর্তির পরে তার মৃত্যু হলে কার্স্টেনের মস্তিষ্ক বিনা অনুমতিতে সরানো হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে মানসিক রোগ বা সমস্যা নিয়ে বিশেষ ওয়াকিবহাল ছিল না চিকিৎসক মহল। অভিযোগ আছে, সে সময় এরিক স্টর্মগ্রেন এবং লারুস আইনারসন নামে দু’জন তরুণ চিকিৎসক মানসিক রোগীদের মস্তিষ্ক হাতানোর ছক কষেছিলেন। ময়নাতদন্তের সময় তাদের মস্তিষ্ক সরিয়ে নিতেন তারা। এরপর তা গোপন জায়গায় জমা করে রাখতেন। যদিও কী উদ্দেশ্যে দুই চিকিৎসক এমন করতেন, তা জানা যায়নি।

ডেনমার্কের আর্থাস ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল সায়েন্সের ইতিহাসবিদ তথা পরামর্শদাতা টমাস আর্স্লেভ মনে করেন, ১৯৪৫ থেকে ’৮২ সাল পর্যন্ত সে দেশে যত মানসিক রোগী হাসপাতালে মারা গিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মস্তিষ্ক হাতিয়ে নেয়া হয়েছিল। এবং গোটা বিষয়টি অন্ধকারে রাখা হয়েছিল ওই রোগীদের পরিবারের সদস্যদের থেকে।

সিএনএন-এর দাবি, ডেনমার্কের ইনস্টিটিউট অফ ব্রেন প্যাথোলজিতে এই কাণ্ডকারখানা চলত। ওই ইনস্টিটিউটটি আর্থাস শহরের রিসকভ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

Advertisement

প্রায় ৫ বছর ধরে ও্ই তরুণ দুই চিকিৎসক এই ‘কুকীর্তি’ চালিয়ে যাওয়ার পর নাড এ লোরেনৎজেন নামে এক প্যাথোলজিস্ট ওই ইনস্টিউটের দায়িত্ব নেন। এর পরের ৩ দশক ধরে ওই চিকিৎসকদের অসমাপ্ত কাজ চালিয়ে যান নাড।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে ৯,৪৭৬টি মস্তিষ্ক গোপনে সংগ্রহ করা হয়েছিল। বিশ্বের কোথাও নাকি মস্তিষ্কের এত বড় সংগ্রহ নেই। এই কাজের জন্য অর্থ সাহায্যও পেতেন চিকিৎসকেরা। তবে তাতে ড্যানিশ প্রশাসন জড়িত কি না, তা জানা যায়নি।

২০১৮ সালে অর্থাভাবে ওই সংগ্রহটি অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।  সে সময় ওই ইনস্টিটিউটের প্যাথোলজিস্ট মার্টিন ডব্লিউ নিয়েলসন গোটা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। অনেকের কাছেই মার্টিনের পরিচিতি হয়ে যায় ‘ব্রেন কালেক্টর’ নামে।

মস্তিষ্কগুলি অন্যত্র সরানোর সময় একটি নতুন পাত্রে সেগুলি ফর্মালডিহাইডে চুবিয়ে নিয়ে যাওয়া হত, যাতে তা অক্ষত থাকে। প্রতিটি পাত্রে গায়ে কালো কালিতে একটি নম্বর লিখে রাখা হত, যাতে ওই মস্তিষ্কগুলির কার, তা বোঝা যায়। এভাবেই ওই মস্তিষ্কগুলি কোন কোন রোগীর, তা জানা গিয়েছে। যদিও ১ নম্বর মস্তিষ্কটি কার, সে সম্পর্কে এখনও অন্ধকারে চিকিৎসক মহল।

ইনস্টিটিউট থেকে দক্ষিণ ডেনমার্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই মস্তিষ্কগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ্যে আনেনি আমেরিকার সংবাদমাধ্যমটি।

Advertisement

মাথা

সিএনএন জানিয়েছে, ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ হাজার পাত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে অন্তত সাড়ে ৫ হাজার ডিমেনশিয়া রোগীর মস্তিষ্ক ছিল। এ ছাড়া, বাকিগুলির মধ্যে বাই-পোলার রোগীর ৪০০টি এবং অবসাদে ভোগা ৩০০ জনের মস্তিষ্কও মিলেছে।

মস্তিষ্ক সংগ্রহের কাণ্ডকারখানা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই বিশ্ব জুড়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। এ হেন কর্মকাণ্ডের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অনেকের দাবি, ওই মস্তিষ্কগুলি রোগীর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। এমনকি, মৃতদের পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও তুলেছেন অনেকে। যদিও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

ডেনিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেন্টাল হেল্‌থ-এর ডিরেক্টর নাড কার্স্টেনসেন বলেন, ‘‘এই বিপুল সংখ্যক মস্তিষ্ক নিয়ে কী করা হবে, সে বিষয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। অনেকের দাবি, মস্তিষ্কগুলি হয় কবর দেওয়া হোক বা অন্য কোনও নৈতিক উপায়ে এই সংগ্রহকে নষ্ট করে দেওয়া হোক।’’

কার্স্টেনসেন আরও বলেন, ‘‘অনেকের দাবি, ইতিমধ্যেই বহু রোগীর ক্ষতি করা হয়ে গিয়েছে। ওই মস্তিষ্কগুলি যাতে গবেষণার কাজে লাগানো যেতে পারে, এবার অন্তত তা দেখা উচিত!’’

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

ফিচার

প্রিয় মানুষের আলিঙ্গনে বাড়ে আত্মবিশ্বাস

Avatar of author

Published

on

আলিঙ্গন

বলিউডের ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে কি? যেখানে জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ বলে জড়িয়ে ধরেন সামনের মানুষটিকে। মুন্না ভাই বিশ্বাস করেন এই আলিঙ্গন এনে দেয় প্রশান্তি, বাড়িয়ে দেয় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস।

এ তো গেলো চলচ্চিত্রের কথা। বিভিন্ন গবেষণাতেও দেখা গেছে,  প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। শুধু তাই নয় আন্তরিক আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে দূর করে নানা শারীরিক ব্যথাও।

আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদযাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না।

আলিঙ্গন

আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গনেও বাড়ে আন্তরিকতা। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।

তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু। আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করেও ঠেকানো যায়নি যে নির্বাচন (ভিডিও)

Avatar of author

Published

on

৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। এই হিসেবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। আন্তর্জাতিক মহলেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এতে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পায়। অন্যদিকে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও ছিল বিশাল ব্যবধান। আওয়ামী লীগ পায় ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ভাগ ভোট এবং বিএনপি ৩২ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ ভোট।

নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ৩৯টি আসনে লড়াই করে মাত্র দুটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরীক এই দলটি।

নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পায় ৩টি আসন ।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ২টি করে আসন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি একটি করে আসন পায়।০৪টি আসন পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বিতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।

নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার।আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল-নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য বিএনপি এটি করেছে। তাই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।

Advertisement

এই আন্দোলনের মাঝেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।কূটনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পেট্রেসিয়া বিউটেনিস।

তবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।যেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত।জারি করা হয় জরুরী অবস্থা।এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকার।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।অভিযোগ রয়েছে,মাইনাস-টু ফর্মূলা কার্যকর করতে অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও ওই চেষ্টা সফল হয়নি।

এরপর মূল নেতৃত্বের বাইরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরেকটি অংশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।যারা ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সফল হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়।অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তখন উল্লাস আর উচ্ছ্বাস।

Advertisement

ওই সংসদ নির্বাচনকে বেশ দ্রুততার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট -এনডিআই।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মালিহা ফাইরুজের বিশ্ব রেকর্ড

Avatar of author

Published

on

মালিহা-ফাইরুজ

একে তো বিশ্বর সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, তার উপর তিনি আবার নারী। সঙ্গে গায়ের রঙও ছিলো একটি বড় বিষয়। ইমিগ্রেশন অফিসার , পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছেন তার সঙ্গে। কিন্তু এ বিষয়গুলো রুখতে পারেনি তাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ইতোমধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।

যার কথা এতক্ষণ বলছিলাম, নাম তার মালিহা ফাইরুজ।

জানেন কি সেই দুর্বল পাসপোর্টটি কোন দেশের?

এটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের দুর্বলতম পাসপোর্ট র‍্যাংকিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।

এই পাসপোর্ট নিয়েই এতগুলো দেশ ভ্রমণ করায় গত অক্টোবরে মালিহা ফাইরুজকে ‘নোমাডম্যানিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়। মূলত ভ্রমণে ব্যতিক্রম কোনো কিছু করে দেখানোর কৃতিত্বস্বরূপ প্রতিবছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবার নানা কারণে ১১ জনকে এ পুরস্কারটি দেয়া হলেও মালিহাকে দেয়া হয়েছে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য।

Advertisement

বাংলাদেশি পাসপোর্টকে পৃথিবীর সপ্তম ‘বাজে’ পাসপোর্ট আখ্যা দিয়ে নোম্যাডমেনিয়া কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘এই পাসপোর্ট নিয়ে দেশে দেশে ঘুরতে গিয়ে এমনও হয়েছে যে মালিহাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কখনো আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।  অভিবাসন কারাগারে রাখা হয়েছে, তল্লাশি করা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই তার ভ্রমণের চেতনাকে ম্লান করেনি।’

মালিহা-ফাইরুজ

সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ৪০টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। অন্যদিকে পাসপোর্টের র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে থাকা সিঙ্গাপুরিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে প্রবেশ করা যায়।

ভ্রমণে গায়ের রং একটি বড় ইস্যু। মালিহার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন দেশের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে—তারা অবৈধ অভিবাসী।

আফ্রিকার দেশ ক্যাপ ভার্দ, যেটি মূলত একটি ছোট দ্বীপ মাত্র। সেখানে ভ্রমণ করতে গেলে মালিহাকে দেশটির বিমানবন্দরে আটকে রাথা হয়েছিল ১৭ ঘন্টা। প্রয়োজনীয় ভিসা এবং কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধু পাসপোর্টের জন্য তাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় দেশটিতে। শুধু তা-ই নয়, যে দেশ থেকে তিনি উড়োজাহাজে উঠেছিলেন সেই সেনেগালে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি ছিল, মাত্র তিন-চার দিনের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কেউ ক্যাপ ভার্দে ভ্রমণ করে না। ১৭ ঘণ্টা আটক রাখার পর শেষ পর্যন্ত মালিহাকে ঢুকতে দিয়েছিল তারা। কারণ, জাতিসংঘে কর্মরত তার মা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

কিরগিজস্তানে ফাইরুজের ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে ঐ দেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আর ঐ আমন্ত্রণপত্রটি পেতে, তাকে আগে প্রথমে বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ কিনতে হয়। এর পরে আরো পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ তাকে অপেক্ষা করতে হয়– ভিসার অনুমোদন পেতে।

Advertisement

মালিহা-ফাইরুজ

ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফাইরুজের প্রধান বাঁধা ছিলো বাংলাদেশি হওয়ায় বিভিন্ন গৎবাঁধা আচরণ এর সম্মুখীন হওয়া। অন্যান্য দেশের শক্তিশালী পাসপোর্টধারী নাগরিকদেরকে ধনী পর্যটক মনে করার বিপরীতে বাংলাদেশিদের ধরে নেয়া হয় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। এ ছাড়া, নারী ভ্রমণকারী হিসেবেও তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ফাইরুজ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তার মায়ের সাথে পূর্ব আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বার্লিনে বাস করছেন। সেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।

দূর্বল পাসপোর্টের নানা প্রতিবন্ধকতার কাছে অদম্য মালিহা বিশ্বাস করেন, তার ভ্রমণে নেতিবাচক বিষয়গুলোর চেয়ে ইতিবাচকের পাল্লাই ভারী।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জিজ্ঞাসাবাদের-জন্য-ডিবি-কার্যালয়ে-কারিগরি-বোর্ডের-সাবেক-চেয়ারম্যান জিজ্ঞাসাবাদের-জন্য-ডিবি-কার্যালয়ে-কারিগরি-বোর্ডের-সাবেক-চেয়ারম্যান
জাতীয়56 seconds ago

ডিবি কার্যালয়ে কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক...

গ্যাসের-চুলা গ্যাসের-চুলা
জনদুর্ভোগ1 hour ago

বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি মেরামত কাজের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাভারের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক...

জাতীয়2 hours ago

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন কাতারের আমির, চুক্তি-সমঝোতা সই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি...

জাতীয়2 hours ago

রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়

বৃষ্টির প্রার্থনায় রাজধানীতে সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়েছে। নামাজে ইমামতি করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে...

তীব্র-তাপ-প্রবাহ,-পুলিশ-সদস্যদের-প্রতি-১১-নির্দেশনা তীব্র-তাপ-প্রবাহ,-পুলিশ-সদস্যদের-প্রতি-১১-নির্দেশনা
জাতীয়3 hours ago

তীব্র তাপপ্রবাহে পুলিশ সদস্যদের প্রতি ১১ নির্দেশনা

সারা দেশে সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি রয়েছে। তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোক...

ট্রেন ট্রেন
জাতীয়3 hours ago

১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়লো

গেলো ৩২ বছর ধরে ট্রেনের যাত্রীদের রেয়াত সুবিধা দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে এবার আর থাকছে না সেই রেয়াত সুবিধা।...

জাতীয়4 hours ago

১৫০ উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ আজ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে প্রতীক বরাদ্দ হবে আজ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রতীক পেয়েই প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা।...

জাতীয়4 hours ago

কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আজ

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সফরের দ্বিতীয় দিন...

অর্থনীতি11 hours ago

আরও বেশি মার্কিন বিনিয়োগ পেতে ১১টি শর্ত মানতে হবে, বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও বেশি বিনিয়োগ পেতে হলে বাংলাদেশকে ১১টি শর্ত মেনে চলতে হবে। রোববার (২১ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট...

জাতীয়11 hours ago

দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

বর্তমানে সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ভাল খবর দিলো বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের...

Advertisement
ব্যারিস্টার-সুমন
আইন-বিচার2 days ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়4 weeks ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল4 weeks ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 month ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি1 month ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ1 month ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড1 month ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

অর্থনীতি2 months ago

গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!

সর্বাধিক পঠিত