Connect with us

আইন-বিচার

জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার নেতৃত্ব দেয়া ব্যক্তি শনাক্ত

Published

on

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।

আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞানামা আসামি করা হয় আরও ৭-৮ জনকে।

কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে।

Advertisement

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়াও আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে ঢাকার আদালতে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেয়ার জন্য সিজেএম আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল ৮-এ নিয়ে যাওয়া হয়।

এ মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা ১৩ নম্বর আসামি মো. ঈদী আমিন (২৭) ও ১৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) আদালত থেকে বের হয়ে যায়।

এরপর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছানো মাত্র আগে থেকেই দুটি মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা আনসার আল ইসলামের ৫/৬ জন সদস্য, আদালতের আশপাশে অবস্থানরত আনসার আল ইসলামের আরও ১০/১২ জন সদস্য হামলা করে। তারা কনস্টেবল আজাদের হেফাজতে থাকা আসামি মইনুল হাসান শামিম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) মো. আরাফাত রহমান (২৪) ও মো. আ. সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে (২১) ছিনিয়ে নিতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।

কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে আসামিদের মধ্যে কোনো একজন তার হাতে থাকা লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে কনস্টেবল আজাদের মুখে আঘাত করে।

Advertisement

আইন-বিচার

ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে নারী-শিশু মামলার বাদী

Published

on

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় বাদী (ভিকটিম) তার পক্ষে মামলা পরিচালনা করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে। জানিয়েছেন হাইকোর্ট প্রশাসন।

ব্যক্তিগতভাবে ভিকটিম আইনজীবী নিয়োগ করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন উল্লেখ করে এ বিষয়ে স্পষ্ট করতে সম্প্রতি নোটিশ জারি করা হয়েছে।

সাধারণত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী)। তবে কোনো কোনো ভিকটিম ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এ নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। তাই এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে. এম. তোফায়েল হাসানের সই করা একটি নোটিশ জারি করা হয়।

‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী বা ভিকটিমের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগকরণ প্রসঙ্গে’ শীর্ষক নোটিশটি ৯ মে জারি করা হয়।

শনিবার (১১ মে) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে নোটিশটি প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

নোটিশের ভাষ্যমতে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী বা ভিকটিমের ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগকরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বিভিন্ন সমস্যা বা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

এ বিষয়ে উল্লেখ্য, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ২৫ ধারায় বর্ণিত বিধান অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হয় এবং ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলে গণ্য হন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ এবং ৪৯৫ ধারার বিধানাবলি অনুসরণ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী বা ভিকটিমের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করার সুযোগ আছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ এবং ৪৯৫ ধারার বিধানাবলি অনুসরণ করে ভিকটিম বা অভিযোগকারী তার পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন বলে বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করা হলো।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

আপিলেও ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

Published

on

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর এবার আপিলেও বাতিল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী। গত ৫ মে যাচাই-বাছাইয়ে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন রাখায় ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। তারপর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বরাবর আপিল করেন শাহদাত হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান একই কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আজ চারজন প্রার্থীর আপিল শুনানি ছিল। হলফনামায় তথ্য গোপন রাখায় তাদের সবার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তার মধ্যে কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে শাহাদাত হোসেনও রয়েছেন।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। আমি সকল মামলায় খালাস পেয়েছি। কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, জেলা প্রশাসক তা খেয়াল করেননি। আপিলে তিনি মনোনয়ন বাতিল করেছেন। আমি উচ্চ আদালতে যাব।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

রিমান্ড শেষে কারাগারে মিল্টন সমাদ্দার

Published

on

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি ও মানবপাচার আইনের পৃথক দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে মিল্টনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তকে  কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির মিরপুর জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস ছালাম শিকদার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গেলো ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এরপর গেলো ৫ মে তাকে মানব পাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানব পাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড দেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version