জিরা পানির যত উপকারীতা

জিরা রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তরকারিতে স্বাদ আনতে অথবা ঘ্রাণে ভরাতে ব্যবহার করেন অনেকেই। জিরা পানি আবার একটি ভেষজ পানীয় বটে। ওজন কমিয়ে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে জিরা পানি অসাধারণ ভেষজ।

ওজন কিভাবে কমায়

জিরা পানি শরীরের চর্বি নিঃসরণে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ পানীয় দেহের ওজন কমিয়ে আনতে যথেষ্ট কার্যদিকর। দিনে দুবার খেলে এটি পেটের ক্ষুধা কমিয়ে দেয়।

রোগপ্রতিরোধ বাড়ায়

জিরায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন বিদ্যমান, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগপ্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর। জিরায় আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন-এ ও সি আছে। জিরায় আয়রন বিদ্যমান থাকায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে রক্তশূন্যতা দূর করে। জিরা পানি এসিডিটির সমস্যা দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি​ পেতে দিনে দুবার জিরা পানি পান করতে পারেন। জিরার পানি পান করুন ও গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্ত থাকুন। এ পানীয় বমি বমি ভাব দূরীকরণে বিশেষভাবে কাজ করে। গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় জিরা পানি পান করতে পারেন। জিরা পানি স্বাস্থ্যসম্মত, যা প্রাকৃতিকভাবে দেহের তাপমাত্রা কমায়। যারা দীর্ঘদিন অনিদ্রায় ভুগছেন, তারা নিয়মিত কিছুদিন জিরা পানি পান করুন। এতে ভালো ঘুম হবে। জিরা পানি ঘুমের জন্য খুবই উপকারী ভেষজ বীজ। জিরা পানি মস্তিষ্ক শক্তিশালী করতে বিশেষভাবে কাজ করে। নিয়মিত কিছুদিন জিরা পানি পান করলে উল্লেখযোগ্যভাবে স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিমত্তাকে বৃদ্ধি করে। যকৃতের ও পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী জিরা পানি এবং জিরায় বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের এবং ভেতরের অঙ্গের বিষাক্ততা দূর করে। গর্ভবতী ও স্তন্যদান মায়েদের বাড়তি পুষ্টিতে জিরা পানিতে পর্যাপ্ত আয়রন বিদ্যমান থাকায় গর্ভবতী ও স্তন্যদান মায়েদের জন্য খুবই উপকারী ভেষজ উপাদান। তাই গর্ভস্থ ভ্রূণের, বাচ্চার এবং মায়ের আয়রনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।

জিরা পানি সেবনে ত্বক সুস্থ ও টানটান রাখে। জিরা পানি দেহকে অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান করে। জিরায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-এ, সি, ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিএজিং বিদ্যমান। তাই জিরা পানি পান করলে অকাল বুড়িয়ে যাওয়াকে প্রতিরোধ করে।

ব্রণ নিরাময়েও পান করতে পানে জিরা পানি।  জিরা পানি ত্বকের ও দেহের জ্বালাপোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

বলুন তো কিখাবে তা খবেন? 

১ লিটার পানিতে জিরা দেড় চা চামচ, চুলায় একটি হাঁড়িতে পানি ফুটিয়ে জিরা দিয়ে আরও ৮-১০ মিনিট ফুটিয়ে পানি পৌনে ১ লিটার হলে নামিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করতে হবে। এটি চাইলে কুসুম গরম বা বরফ শীতল দুভাবেই খাওয়া যায়। আরও সুস্বাদু করার জন্য এর সঙ্গে সামান্য চিনি, বিট লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া, লেবুর রস ও ধনিয়াপাতা বা পুদিনাপাতা কুচি যোগ করতে পারেন।

Recommended For You

Exit mobile version