পরামর্শ
ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ-সর্দি-কাশি, যা করবেন
ঋতু বদলাচ্ছে। শীত দরজায় কড়া নাড়ছে। এই সময়ে এসে হাজির হয়েছে নানা ভাইরাস। এবার সেই কারণে অনেকের ঠাণ্ডা লাগছে। এমনকী নাক দিয়ে গড়াচ্ছে পানি। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থেকে ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখুন যা আপনাকে কাশি, সর্দি থেকে বাঁচাবে।
আসলে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশের বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সজাগ হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যে কমন কোল্ড বা ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা এই সময় বাড়বে। সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার সমস্যার পেছনে থাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
তবে সকলে এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হন না। যাদের শরীরে ইমিউনিটি কম রয়েছে তাদের ঠাণ্ডা লাগে, জ্বর হয়, নাক দিয়ে পানি গড়ায়, মাথা ব্যথা করে, নাক বন্ধ হয়ে যায়, কাশি হয়। এবার এই সকল লক্ষণ দেখা দিলেই প্রতিটি মানুষকে সতর্ক হতে হবে।
আসুন জানা যাক সেই প্রসঙ্গে-
১. গরম চা খান
চা খেতে প্রতিটি মানুষ ভালোবাসেন। আসলে চা হল গরম পানীয়। এই পানীয় মুখে তুললে শরীর সুস্থ থাকতে পারে। এমনকী বুকের চাপ ভাব কমে। শ্বাস নিতে সুবিধে হয়। এবার চায়ের মধ্যে আপনি আদা মেশাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আদায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লমেটরি গুণ। এই কারণে ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা, গলা ব্যথা, কাশি, সাইনাস কমাতে পারে এই পানীয়।
২. গরম পানি পান করতে পারেন
গরম পানির অনেক গুণ রয়েছে। এই পানি আপনি পান করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কাশির সমস্যা কমে। এছাড়া এই পানিতে লবণ দিয়ে গার্গল করুন। দেখবেন কমেছে গলা ব্যথা। এছাড়া গরম পানিতে লেবু ফেলে দিন। দেখবেন সেই জল হয়েছে আরও উপকারী। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই ঠান্ডা লাগলে বা কাশি হলে খেতে হবে এই পানীয়।
৩. লেবু খান
এখনকার মানুষ অনেকেই লেবুর গুণ জেনে গেছেন। লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন দ্রুত ইমিউনিটি বাড়ায়। এমনকী মানুষকে রোগের সঙ্গে লড়ার সুবিধা দেয়। এবার ঠাণ্ডা লাগার পেছনে থাকা ভাইরাসকে হারাতে হলে আপনাকে খেতে হবে লেবু। তবেই শরীর সুস্থ থাকতে পারে। তাই শীতে প্রতিদিন লেবু খাওয়ার চেষ্টা করুন। যে কোনও লেবু খান।
৪. সবজি খান
শীতকালে দেশে সবজি পাওয়া যায়। এই সময়টায় বাজার নানা সবজিতে ভরে যাবে। সেক্ষেত্রে যে কোনও সবজি খেতে পারেন। সবথেকে ভালো হয়, শাক পাতা খেতে পারলে। আপনি যদি শাক বা অন্যান্য সবজি খান তবে শরীরে প্রবেশ করবে নানা ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সকল জিনিসগুলি রোগ মুক্তিতে সাহায্য করবে।
৫. প্রোটিন জরুরি
প্রতিটি মানুষের শরীরে প্রোটিন যথেষ্ঠ পরিমাণে দরকার। ইমিউনিটি গঠনে শুধু ভিটামিন সি নয়, পাশাপাশি প্রোটিন প্রয়োজন। এবার প্রোটিন নিয়মিত তাই খেতে হবে। এক্ষেত্রে পেশিও সুস্থ থাকবে। এবার মাথায় রাখতে হবে যে প্রোটিন ঠাণ্ডা লাগা, কাশির সময় একটু খাওয়া বাড়ানো উচিত। এর মাধ্যমে সমস্যা কমবে। সেক্ষেত্রে চিকেন, ডিমের সাদা, মাছ খান। আশা করছি ভালো থাকবেন।
পরামর্শ
দইয়ে রয়েছে যেসব উপকার, তবে…
প্রচণ্ড তাপদাহে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত। তবে আরো একটি খাবার আছে, যাকে আপনি প্রত্যেক দিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন সেটি হল দই। দইয়ে রয়েছে নানান উপকার।
দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম :
গরম দই কখনও খাবেন না। দই সবসময় ঠাণ্ডা খাবেন, না হলে দইয়ের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দইয়ের মধ্যে পানি মেশানো হলে একটি শীতল ভাব যোগ হয় যার ফলে আপনার শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে আপনার যদি স্থূলতার সমস্যা থাকে তাহলে দই খাবেন না।
দই খেলে হয় কী কী উপকার
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে: গরমকালে শরীর ডিহাইড্রেশন হয়ে যাওয়া কোনও নতুন কথা নয়। শুধুমাত্র প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে শরীরের জলের চাহিদা মিটবে না তাই অবশ্যই প্রতিদিন খেতে হবে দই। দই খেলে শুধুমাত্র শরীর হাইড্রেটেড থাকবে তা নয়, শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্যও দইয়ের জুড়ি মেলা ভার।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: দইয়ের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক উপাদান, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই অসহ্য গরমে যে কোনও সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাই দই খেতে হবে রোজ।
হজম ক্ষমতার উন্নতি করে: দইয়ের মধ্যে থাকে এমন কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা উন্নত করে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকে দূরে রাখে আপনাকে।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে: দইয়ের মধ্যে থাকা উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম আপনার স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতি ঘটায়। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি12 লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
মানসিক অবসাদ দূর করে: প্রতিদিন দই খেলে মানসিক অবসাদ দূর হয় এবং মুড ভালো থাকে। এছাড়া দই শরীর থেকে বাজে কোলেস্ট্রল দূর করে দেয় এবং হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে।
জেএইচ
পরামর্শ
শরীরে যে ৭ উপসর্গ দেখলে বুঝবেন, প্রোটিনের অভাব রয়েছে
মানবদেহে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন, খনিজের মতো আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো প্রোটিন। প্রতিদিনের সুষম আহারের মাধ্যমে প্রোটিন আমাদের শরীরে যায়। কোনও ভাবে যদি আমাদের শরীরে প্রোটিনের অভাব হয় তাহলে দেখা দিতে পারে এই ৭ টি উপসর্গ।
দুর্বলতা: প্রোটিন মানুষের এনার্জি লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। সঠিকভাবে প্রোটিন গ্রহণ করলে আপনি কখনও ক্লান্তি অনুভব করবেন না। কিন্তু আপনার শরীরে যদি থাকে প্রোটিনের অভাব, তাহলে ঘনঘন দুর্বল হয়ে পড়বেন আপনি। কাজ করতে গেলে এনার্জি পাবেন না একেবারে। এমন কোনও ঘটনা যদি আপনার সাথে ঘটে তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে রয়েছে প্রোটিনের অভাব।
চুল পড়ে যাওয়া: চুলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কখনও যদি আপনার চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা হঠাৎ করে বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে রয়েছে প্রোটিনের অভাব। শুধু চুল পড়ে যাওয়া নয়, চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যাওয়াও প্রোটিনের অনুপস্থিতির প্রমাণ দেয়।
রুগ্ন হয়ে যাওয়া: প্রোটিনের অভাব হলে পেশী শিথিল হয়ে যায় এবং আপনাকে দেখতে লাগে রুগ্ন। যদি কোনও ভাবে আপনার ওজন কমে যায় অথবা আপনাকে দেখতে লাগে রুগ্ন তাহলে বুঝতে হবে হয়তো আপনার শরীরে প্রোটিনের অভাব রয়েছে।
স্মৃতিভ্রম: বারবার ভুলে যাওয়া অথবা কোনও কাজে মন না বসার মত সমস্যার সম্মুখীন যদি আপনাকে হতে হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে রয়েছে প্রোটিনের অভাব। এমন ঘটনা যদি অহরহ ঘটতে থাকে তাহলে শরণাপন্ন হতে হবে চিকিৎসকের।
নখ সাদা হয়ে যাওয়া: ত্বক রুক্ষ বা শুষ্ক হয়ে যাওয়া, নখ সাদা হয়ে যাওয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন যদি আপনি হন তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে রয়েছে প্রোটিনের অভাব। প্রোটিনের অভাব হলে তবেই এমন ঘটনা ঘটে।
সর্বক্ষণ খিদে খিদে ভাব: কোনও কারণ ছাড়াই যদি আপনার সব সময় খিদে পায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীর প্রোটিন নিতে চাইছে। সচরাচর গর্ভাবস্থায় সবসময় খিদে পায়, তবে কোনও কারণ ছাড়া যদি আপনি সবসময় ক্ষুধার্ত থাকেন তাহলে আপনার শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজন আছে।
ক্ষত শুকোতে না চাওয়া: শরীরের কোনও অংশে কেটে গেলে যদি সঙ্গে সঙ্গে সেটি ঠিক না হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে প্রোটিনের অভাব রয়েছে। যদিও অনেক সময় ডায়াবিটিস থাকলেও এমন ঘটনা ঘটে।
জেএইচ
পরামর্শ
লেবুতে রস আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে
সারাদেশেই বইছে তীব্র দাবদাহ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ঘরে বা ঘরে বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। বার বার পানি পান করেও তৃপ্ত হচ্ছে না দেহ। শরীর চাঙ্গা রাখতে লেবুর শরবতে জোঁকছে অনেকে। বাইরে থেকে ঘেমেনেয়ে ফেরার পর কেউ যদি এক গ্লাস লেবুর শরবত এগিয়ে দেন, উল্টো দিকের মানুষটির মুখে হাসি ফুটতে বাধ্য। এই গরমে চাঙ্গা এবং চনমনে থাকতে লেবু জলের জুড়ি মেলা ভার।
তবে তার জন্য বাড়িতে পাতিলেবু থাকা চাই। শুধু পাতিলেবু থাকলে চলবে না, তাতে রসও থাকতে হবে। পাতিলেবু চিপে রস বেরোবে কিনা, তা আগে থেকে বলা যায় না। বাইরে থেকে দেখে তরতাজা মনে হলেও, বাড়ি নিয়ে আসার পর ভুল ভাঙে। তবে রসে টইটুম্বর লেবু চেনার কিছু টোটকা রয়েছে। জেনে রাখলে ঠকতে হবে না।
১. লেবুর খোসার অংশটিতে হাত বুলিয়ে পরখ করে নিন মসৃণ কিনা। যদি মসৃণ না হয়, তা হলে সেটা না নেওয়াই শ্রেয়। কারণ অমসৃণ খোসাযুক্ত লেবুতে রসের পরিমাণ কম থাকে। চকচকে, মসৃণ ত্বক দেখেই লেবু কিনে আনুন।
২. রসালো লেবু চেনার ক্ষেত্রে রং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে লেবুগুলিক পাক ধরেছে, হলুদ রং এসেছে সেগুলি নিশ্চিন্তে নিতে পারেন। সবুজ লেবু কচি হলেও, তাতে রস বেশি নয়। গন্ধই আছে শুধুমাত্র।
৩. রসের ভারে লেবুর ওজনও বেশি হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই হাতে নিয়ে দেখুন ভারী লাগছে কিনা। যদি ওজনদার মনে হয়, তা হলে নিতে পারেন। ছোট, হালকা ওজনের লেবুতে রসের পরিমাণ কম।
৪. হাড়িতে চাল টিপে যেমন বোঝা যায় ভাত হয়েছে কিনা, তেমনই লেবুর গায়ে চাপ দিয়ে বোঝা যায় সেটা শুকনো না রসালো। রস থাকলে লেবু নরম হয়। কিন্তু শুকনো লেবু বেশ শক্ত হয়। হাতে নিয়ে পরখ করে দেখলেই দু’টো অবস্থার ফারাক বোঝা যাবে।
জেএইচ
-
তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক1 day ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
খুলনা6 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন