এশিয়া
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় পিয়ংইয়ংয়ের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক বেইজিং
বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক বেইজিং। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনকে এ কথা বলেছেন।
স্থনীয় সময় শনিবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
শি তৃতীয় মেয়াদে নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর কিমের পাঠানো অভিনন্দনের জবাবে এসব কথা বলেন।
শি আরও বলেন, বিশ্ব, সময় ও ইতিহাসের অভূতপূর্ব এই পরিবর্তনের সময়ে বেইজিং পিয়ংইয়ংয়ের সহযোগী হতে ইচ্ছুক।
উত্তর কোরিয়ার আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েকদিনের মধ্যে শি এ কথা বলন। উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে এটি ছিল অন্যতম শক্তিশালী।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দেয়, তারা তাদের নিজস্ব অস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু হুমকি মোকাবেলা করবে।
পিয়ংইয়ংএর সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়েছে, কিমকে পাঠানো এক বার্তায় শি বলেছেন, বিশ্ব এবং এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য চীন উত্তর কোরিয়ার সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
এদিকে চলতি মাসের প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্র নতুন শাস্তি থেকে পিয়ংইয়ংকে রক্ষার জন্যে বেইজিং ও মস্কোকে অভিযুক্ত করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে যুক্তরাষ্ট্র মে মাসে উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তাতে চীন ও রাশিয়া ভেটো দিয়েছিল।
উত্তর কোরিয়ার ওপর ইতোমধ্যে বেশকিছু অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশটির ৯০ শতাংশেরও বেশি ব্যবসা চীনের সাথে রয়েছে।
এশিয়া
ভারতের ৪ রাজ্যে হিটস্ট্রোকে ৩৩ মৃত্যু
প্রচণ্ড গরম-তাপপ্রবাহের জেরে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভারতের চার রাজ্য বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িষা এবং ঝাড়খণ্ডে কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মারা গেছেন এই ৩৩ জন। শনিবারও (১ জুন) তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)।
মে মাসের শুরু থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাপপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে রাজধানী নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রা উঠেছিল ৫২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ভারতের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
আইএমডির শুক্রবারের পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, সামনের দিনগুলোতে উত্তরপশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তাপপ্রবাহ নামতে পারে, তবে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তা আরও দু’দিন অব্যাহত থাকবে। আবহাওয়া দপ্তর আরও বলেছে, গ্রীষ্মকালে ভারত যে গড় তাপমাত্রা থাকে—তার তুলনায় চলতি গ্রীষ্মে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ৪ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম পড়েছে।
আগের দিন বৃহস্পতিবার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে গরম-হিটস্ট্রোকে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই মৃতদের মধ্যে ১০ জনই চলমান লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। ভারতের নির্বাচন আয়োজোনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মীদের সারাদিন কাজের মধ্যে থাকতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় বাইরেও কাটাতে হয়।
বিহারের অনেক এলাকায় এখনও ভোটগ্রহণ চলছে। সম্পূর্ণ বিহার রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হবে শনিবার।
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে শুক্রবার হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মীর। মৃতদের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীও রয়েছেন। এছাড়া গরমজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অন্তত ২৩ জন।
তাদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক আর বি কমল রয়টার্সকে বলেন, ‘যখন তাদের হাসপাতালে আনা হলো, প্রত্যেকেই ব্যাপক জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাই এজন্য দায়ী। এই মুহূর্তে আমরা অন্তত ২৩ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিকিৎসা দিচ্ছি।
গত দু’দিনে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়ে ওড়িষার মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। ওড়িষার রাজ্য সরকার বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত জনগণকে বাড়ির বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে, কারণ ওই সময়ই তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।
এছাড়া বিহারের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে গত দু’দিনে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও তিন জন।
অসহনীয় গরম-তাপপ্রবাহের মানুষের পাশাপাশি কষ্টে আছে পশু-পাখিরাও। নয়াদিল্লি চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গরমের জেরে পাখি, বুনো বানর ও অন্যান্য প্রাণীরা অজ্ঞান হয়ে পড়ছে। এই প্রাণীদের সুস্থ রাখতে খাঁচাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি,বরফ ও পানিসমৃদ্ধ বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
টিআর/
এশিয়া
লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ চলছে
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার (১ জুলাই) এর মাধ্যমে ভারতের ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট নেয়া সম্পন্ন হবে। ভোটগ্রহণ চলছে দেশটির আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ৫৭ টি লোকসভা আসনে।
এ দফায় মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৬ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫.২৪ কোটি, নারী ভোটার ৪.৮২ কোটি। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিন হাজার ৫৭৪ জন। এতে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। ভোটদানের জন্য এ দফায় গোটা দেশজুড়ে ১.০৯ লাখ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফেও একাধিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭ টায়, যা চলবে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
শেষ দফায় ভোটগ্রহণ হবে উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবে ১৩ টি করে আসন, পশ্চিমবঙ্গে ৯টি, বিহারে ৮ টি, ওড়িশায় ছয়টি, হিমাচল প্রদেশে চারটি, ঝাড়খন্ডে তিনটি এবং চন্ডিগড়ে একটি আসনে। এ দফায় দেশ জুড়ে ৯০৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এর মধ্যে অন্যতম বিজেপির শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন মোদি। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের অজয় রাই।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপি প্রার্থী অনুরাগ ঠাকুর (হামিরপুর), রবি শংকর প্রসাদ (পাটনা সাহিব), বিজেপি প্রার্থী ভোজপুরি অভিনেতা রবি কিষান (গোরখপুর), বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালপ্রসাদ যাদবের কন্যা আরজেডি প্রার্থী মিসা ভারতী (পাটলিপুত্র), সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা (কাংড়া), বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (মান্ডি), তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও মমতা ব্যানার্জির ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি (ডায়মন্ড হারবার), টলিউড অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (যাদবপুর), বিজেপির রেখা পাত্র (সন্দেশখালি), শিরোমণি আকালি দলের প্রার্থী হরসিমরাত কৌর বাদল (ভাতিণ্ডা)।
টিআর/
এশিয়া
মার্কিন শিক্ষার্থীদের প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার চিঠি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত ফিলস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের অবস্থান সঠিক বলে উল্ল্যেখ করে একটি চিঠি লিখেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি । গাজায় নির্যাতিত নারী ও শিশুদের রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্যই এ চিঠি লিখেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ছাত্রদের উদ্দেশ্যে নিজের টুইটার (এক্স) একাউন্টে এ চিঠি লিখেন খামেনি।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা চিঠিতে বলেন,
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আমি এই চিঠিটি সেই তরুণদের উদ্দেশে লিখছি যাদের জাগ্রত বিবেক তাদেরকে গাজার নির্যাতিত নারী ও শিশুদের রক্ষায় এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয় তরুণ শিক্ষার্থীরা! এটি তোমাদের প্রতি আমার সহানুভূতি এবং সংহতির বার্তা। বর্তমানে যে ইতিহাস রচিত হচ্ছে তাতে তোমরা সঠিক পক্ষে অবস্থান নিয়েছ।
তোমরা প্রতিরোধ ফ্রন্টের একটা অংশ গড়ে তুলেছ এবং দখলদার ও নির্দয় ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রকাশ্য সমর্থক মার্কিন সরকারের নিষ্ঠুর চাপের মধ্যে থেকেও একটা সম্মানজনক সংগ্রাম শুরু করেছ।
তোমরা যে উপলব্ধি ও অনুভূতি নিয়ে সংগ্রাম করছ ঠিক সেই উপলব্ধি ও অনুভূতি নিয়েই তোমাদের থেকে অনেক দূরবর্তী অঞ্চলে বিশাল এক প্রতিরোধ ফ্রন্ট বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করছে। এই সংগ্রামের লক্ষ্য হলো- প্রকাশ্য জুলুম বন্ধ করা যা ‘জায়নবাদী’ (ইহুদিবাদী) নামক সন্ত্রাসী ও নির্দয় নেটওয়ার্ক ফিলিস্তিনি জাতির উপর বহু বছর ধরে চালিয়ে আসছে এবং তাদের দেশ দখল করার পর তাদের ওপরই চরম নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে। বর্ণবাদী ইসরাইল আজ যে গণহত্যা চালাচ্ছে তা গত কয়েক দশক ধরে চলমান চরম জুলুম ও নিষ্ঠুরতারই ধারাবাহিকতা।
মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের নিয়ে গঠিত একটি জাতির স্বাধীন ভূখণ্ড হলো ফিলিস্তিন এবং এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিশ্বযুদ্ধের পর জায়নবাদী নেটওয়ার্কের পুঁজিপতিরা ব্রিটিশ সরকারের সহায়তায় ধীরে ধীরে কয়েক হাজার সন্ত্রাসীকে এই ভূখণ্ডে নিয়ে আসে; তারা শহর ও গ্রামে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা অথবা তাদেরকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যেতে বাধ্য করে। তারা সেখানকার মানুষের কাছ থেকে তাদের বাড়িঘর, বাজার ও ক্ষেত-খামার কেড়ে নেয় এবং দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘ইসরাইল’ নামে একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করে।
প্রথম ব্রিটিশ সাহায্যের পরে এই দখলদার সরকারের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যারা দখলদারদেরকে নিরবচ্ছিন্নভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে, এমনকি ক্ষমার অযোগ্য অসাবধানতার সাথে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ খুলে দিয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সাহায্য করে যাচ্ছে।
প্রথম দিন থেকেই জায়নবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনের অসহায় জনগণের বিরুদ্ধে ‘লৌহ মুষ্টি’ নীতি অবলম্বন করেছে। তারা সব ধরণের বিবেক-বিবেচনা এবং মানবীয় ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে দিন দিন বর্বরতা, সন্ত্রাস ও নিপীড়ন বৃদ্ধি করেছে। মার্কিন সরকার ও অন্য সহযোগীরা এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও জুলুমের বিরুদ্ধে ন্যূনতম ভ্রুকুটিও প্রদর্শন করেনি। এখনও গাজায় চলমান ভয়াবহ অপরাধ সম্পর্কে মার্কিন সরকারের কিছু বক্তব্য অবাস্তব এবং ভণ্ডামিপূর্ণ।
এমনি এক অন্ধকারাচ্ছন্ন ও হতাশাজনক পরিবেশ থেকে প্রতিরোধ ফ্রন্টের উদ্ভব হয় এবং ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র গঠিত হওয়ার পর তা এই ফ্রন্টকে বিস্তৃত ও শক্তিশালী করে তোলে। আন্তর্জাতিক জায়নবাদের নেতারা এই মানবিক ও সাহসী প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ বলে ঘোষণা করেছে। আর এই জায়নবাদী নেতারাই আমেরিকা ও ইউরোপের বেশিরভাগ মিডিয়া কোম্পানির মালিক অথবা এসব কোম্পানিতে তাদের অর্থ ও ঘুষের প্রভাব রয়েছে। যে জাতি ইহুদিবাদী হানাদারদের অপরাধের মোকাবেলায় নিজ ভূমিতে আত্মরক্ষা করে সে কি সন্ত্রাসী?! আর এমন জাতিকে মানবিক সাহায্য দেওয়া এবং তাদের হাতকে শক্তিশালী করা কি সন্ত্রাসবাদের প্রতি সাহায্য বলে বিবেচিত হতে পারে?
বিশ্ব আধিপত্যবাদের বিদ্বেষী নেতারা সবচেয়ে মৌলিক মানবিক ধারণাগুলোকেও বিকৃত করছে। তারা এমন ভান করে যে, নিষ্ঠুর ও সন্ত্রাসী ইসরাইল আত্মরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে; আর স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলা ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাস করছে। তাদেরকে সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে। আমি তোমাদেরকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। পশ্চিম এশিয়ার সংবেদনশীল অঞ্চলের জন্য ভিন্ন রকমের ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বিশ্বব্যাপী অনেক বিবেক জাগ্রত হয়েছে এবং সত্য প্রকাশ পাচ্ছে।প্রতিরোধ ফ্রন্ট শক্তিশালী হয়েছে এবং আরও শক্তিশালী হবে। নতুন ইতিহাস রচিত হচ্ছে।
তোমরা অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও জনগণ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। তোমাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সহযোগিতা ও সমর্থন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ঘটনা যা সরকারের পুলিশি পদক্ষেপের তীব্রতা ও চাপের মোকাবেলায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক। আমি তোমাদের প্রতি অর্থাৎ তরুণদের প্রতি সহানুভূতি জানাই এবং তোমাদের দৃঢ়তাকে সম্মান করি। আমাদের অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য এবং বিশ্বের সকল মানুষের জন্য কুরআনের শিক্ষা হলো সত্যের পথে অবিচল থাকা: ‘কাজেই আপনি যেভাবে আদিষ্ট হয়েছেন তাতে অবিচল থাকুন’ (সূরা হুদ, আয়াত ১১২ একাংশ)। আর মানব সম্পর্কের বিষয়ে কোরানের শিক্ষা হলো-‘অত্যাচার করো না এবং অত্যাচারিত হয়ো না’ (সূরা বাকারা, আয়াত ২৭৯ একাংশ)। এই আদেশসহ এ ধরণের আরও শত শত আদেশ রপ্ত করার পাশাপাশি সেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে প্রতিরোধ ফ্রন্ট এগিয়ে যাচ্ছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় বিজয় অর্জন করবে।
আমি তোমাদেরকে কুরআনের সাথে পরিচিত হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি
-
বাংলাদেশ4 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
বলিউড2 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
-
ঢালিউড5 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
বলিউড5 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
বলিউড5 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
-
অপরাধ7 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
আবহাওয়া4 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বলিউড2 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন