Connect with us

অর্থনীতি

গার্মেন্টর্সের অর্ডার কমেছে ৩০ শতাংশ: এফবিসিসিআই

Published

on

আমাদের ডলার সংকট এবং আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টরে আমাদের ৩০ শতাংশ অর্ডার কমে গেছে। এ ক্ষেত্রে একটা শঙ্কা আমাদের সামনে আসছে। বললেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের ডলার সংকট এবং আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এগুলো সমাধানে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সারা পৃথিবীতেই মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। আমেরিকা, ইউকে এবং ইউরোপেও মূল্যস্ফীতি বেশি। আমাদের মূল ক্রেতা যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। ওখানে মূল্যস্ফীতি হলে এর একটা প্রভাব আমাদের এখানে আসবেই। এটা প্রকৃত পক্ষে আমাদের একার সমস্যা না। এটা সারা পৃথিবীরই সমস্যা। সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বিজনেস বাড়াতে হবে। সামনে আমরা এনডিসি গ্রাজুয়েশনে যাচ্ছি। এটি একটি চ্যালেঞ্জ, তবে এটি একটি সুযোগও। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য গর্বের। এ ক্ষেত্রে টেক্সটাইলের উপর একটা বড় বিনিয়োগ দরকার। উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের এখন ভ্যালু অ্যাডেট আইটেমের দিকে যেতে হবে। যে আইটেমগুলো আমাদের ইম্পোর্ট করতে হয় সেগুলো যদি আমরা কিছুটা প্রডাকশন করি তাহলে আমাদের ডলারের যে সংকট হয়েছে সেটা মিনিমাইজ করা যাবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের দুটি সোর্স রয়েছে এক্সপোর্ট এবং হিউম্যান রিসোর্স। হিউম্যান রিসোর্সের ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে ফ্রিজ উৎপাদন হবে এটা কেউ কল্পনাও করেনি। এখন বাংলাদেশ থেকে টিভি রপ্তানি হচ্ছে। অগ্নিনির্বাপণ খাতের সম্ভাবনাও কাজে লাগাতে হবে।

Advertisement

ব্যাংকিং ও বীমা

ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণ গায়েব!

Published

on

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণ চুরি যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বর্ণ চুরির ঘটনায় ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারাই জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারী।

ওই শাখার গ্রাহক রোকেয়া আক্তার বারী গণমাধ্যমকে জানান, ‘গেলো ১৭ বছর ধরে আমি ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় লকার ব্যবহার এবং অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে আসছি। গেলো ২৯ মে দুপুর দেড়টায় ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় কিছু স্বর্ণালংকার আনার জন্য যাই। লকারের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে আমার লকার খুলে দেয়ার জন্য অনুরোধ করি। তিনি চাবি দিয়ে লকার কক্ষের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ওই অফিসার আমার বরাদ্দকৃত লকারটি খোলা দেখতে পান। এমন ঘটনা দেখে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি।’

রোকেয়া বলেন, ‘লকারে চুড়ি, জড়োয়া সেট, গলার সেট, গলার চেইন, আংটি, কানের দুলসহ ১৪৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল। লকার খোলার পর দেখা যায়, সেখানে মাত্র ১০ থেকে ১১ ভরি স্বর্ণ অবশিষ্ট আছে। খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারের দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা।’

রোকেয়া বারী আরও বলেন, ‘ব্যাংক থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় তারা তদন্ত করবে। এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পরে জানাবে।’

রোকেয়া বলেন, ‘পরবর্তীতে তারা এই ঘটনায় চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।

Advertisement

চুরির বিষয়ে জানতে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক শফিউল মাওলার ব্যক্তিগত মুঠোফোন এবং হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে একাধিকবার কল ও মেসেজ করার পরও তিনি সাড়া দেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ‘চকবাজার শাখার ঘটনাটি চুরি, মিসিং বা অন্য কোনো ঘটনা কি না, তা তদন্ত চলছে। ব্যংকের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা রোববার (২ জুন) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টির তদন্ত করবেন।’

এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুকের দাবি, ব্যাংক কর্মকর্তারা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে ঘটনা তদন্তে তারা একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করবেন। এ ছাড়া অভিযোগ দায়ের না করলেও ঘটনাটি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

চিকিৎসক রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, ‘তার মা ২০০৭ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় তার স্বর্ণের গহনা রাখার জন্য লকার ব্যবহার করে আসছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে লকার রুমের ইনচার্জকে তার লকার দেখার অনুরোধ করেন। মায়ের কাছে লকারের মূল চাবি আছে এবং আরেকটি ডুপ্লিকেট চাবি ইনচার্জের কাছে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘তারা দুজন লকার রুমে প্রবেশ করেন। তখন ইনচার্জ প্রথমে দেখেন যে মায়ের লকারটি খোলা। পরে আমার মা লকারটি পরীক্ষা করে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে স্বর্ণালঙ্কার বিষয়টি জানান।’

Advertisement

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। গ্রাহকের কাছে মূল চাবি আছে, কিন্তু আমাদের কাছে নেই। তিনি এক মাস আগে ব্যাংকে এসে লকারটি পরীক্ষা করেছিলেন। আমাদের কাছে কোনো গ্রাহকের লকারের সঞ্চয় সম্পর্কে তথ্য থাকে না। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভিকটিম ও তার ছেলে থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বলেছি।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

আজ থেকে টিসিবিতে মিলবে ৭০ টাকায় চিনি, ১০০ তে তেল

Published

on

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আজ রোববার (২ জুন) থেকে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)।

শনিবার (১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় টিসিবি।

এতে বলা হয়, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের বিক্রির কার্যক্রম রোববার (২ জুন) থেকে সারাদেশে শুরু হবে। এই কার্যক্রম দোকান/নির্ধারিত স্থায়ী জায়গা থেকে সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিচালনা করবে ডিলাররা।

উপকারভোগীরা সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা ও চাল ৩০ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের পল্লবীর ৩নং ওয়ার্ডের শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু উদ্বোধন করবেন।

Advertisement

টিসিবি জানিয়েছে, সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সারাদেশে ডিলাররা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আমদানি-রপ্তানি

হিলিতে শুরু হলো আলু আমদানি

Published

on

দেশের আলুর বাজার স্বাভাবিক রাখতে ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় ভারতীয় আলু বোঝাই একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে এ আমদানি শুরু হয়।

ব্যাবসায়ীরা গণমাধ্যমে জানান, এর আগে দেশের বাজারে দাম কমায় এবং ভারত নিন্মমানের আলু রপ্তানি করায় আলু আমদানির পর লোকশান গুনতে হতো। তাই গত মে মাসের ১২ তারিখ থেকে আলু আমদানি বন্ধ রাখা হয়। তবে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের বাজারে আলুর দাম সহনীয় রাখতে আমদানি শুরু করেছেন তারা।

পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব গণমাধ্যমে জানান, শনিবার বিকেলে ভারতীয় একটি ট্রাকে ২৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আলু একটি পচনশীল পণ্য। কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে আলুগুলো দেশের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন আমদানিকারকরা।

এদিন মেসার্স রকি এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী রকি মুন্সি গণমাধ্যমে জানান, ২৩০ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি টন আলু আমদানি করা হচ্ছে। শুল্কায়ন, পরিবহন খরচ, পোর্ট খরচসহ এসব আলু আমদানিতে খরচ পড়ছে কেজিতে ৩৫ টাকা। তাই খুচরা পর্যায়ে ৪০ টাকার মধ্যে ক্রেতাসাধারণ এগুলো কিনতে পারবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version