জাতীয়
সীমান্তে নিরাপত্তায় যৌথ টহল দেবে বিজিবি-বিজিপি

Published
2 months agoon
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা মেনে নেবে না বিজিবি ও বিজিপি। এজন্য যৌথ টহল শুরুর ব্যাপারে একমত হয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বললেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে গেলো ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৮ম সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ মেলেনি। তবে মাদক চোরাচালান বন্ধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার কথা হয়েছে সদ্য শেষ হওয়া সীমান্ত সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার কারণে সীমান্তে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। আমরা সীমান্ত সম্মলনে বিষয়টি নজরে এনেছি। সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা রোধে যৌথভাবে সীমান্তবর্তী স্থলপথ পর্যবেক্ষণ করবে বিজিবি-বিজিপি। যৌথ ও সমন্বিত টহলের বিষয়ে একমত হয়েছি আমরা। নৌ-পথে টহল অব্যাহত আছে। সীমান্তে যেসব অপরাধ আছে সেসব নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছে বিজিপি।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, রোহিঙ্গা ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের প্রত্যাবাসনে তারা ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছে। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। আশা করি, আমাদের মধ্যকার যোগাযোগ আরও জোরালো ও কার্যকর হবে। সেক্টর, ডিজি, সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে উভয়পক্ষই একমত হয়েছি। পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে বলে মনে করি।
ইতিবাচক মনোভাবের কথা অনেকবারই শুনেছি। কিন্তু কী কারণে জিরো লাইনে এখনো কয়েক হাজার মানুষ বসে আছে? তাহলে ইতিবাচক মনোভাব কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি ডিজি বলেন, আমি মিয়ানমারের তিন পর্যায়েই কথা বলেছি। প্রত্যেক পর্যায়েই তারা আমাদের কথা গুরুত্বের সঙ্গে শুনেছেন। এই শোনা, ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা, আশ্বস্ত করা, আমাদের কথা গ্রহণ করাকে আমরা ইতিবাচক সাড়া হিসেবে দেখছি। যদিও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘ মেয়াদি একটা প্রসেস। তারা এই জায়গায় কাজ করছেন বলেই মনে হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাউন্টার পার্ট হিসেবে তাদের নন রেসপন্সিভ মনে হয়েছে। ইতিবাচক মনোভাব কি শুধু টেবিলেই? এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি প্রধান বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের মিয়ানমারের জাতীয় পাঠ্য কারিকুলামে পড়াশুনা করানো হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। তাদের জাতীয় সঙ্গীতে পাঠদানের ভিডিও আমরা দেখিয়েছি। মানবিক কারণে মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এটা উপস্থাপন করা হয়েছে। কূটনৈতিক পর্যায়েও কাজ হচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।
তিনি বলেন, যেসব জায়গায় চোরাচালান, মানব-পাচারের ঘটনা বেশি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা বেশি সেখানে মাইন আছে বলে তারা জানিয়েছে। আমরা বলেছি, সেখানে আমরা যৌথভাবে কাজ করতে চাই। যেখানে ঝুঁকি কম সেখানে যেন মাইন সরিয়ে নেওয়া হয়। এসব বলার পর আমরা দেখব কতটুকু কাজ হচ্ছে। আমরা আপডেট জানব। এই তৎপরতা অব্যাহত থাকলে একটা ইতিবাচক ফল আসবে।
সীমান্তে ডিজিএফআইয়ের এক সদস্যকে খুন করা হয়েছে। বিজিবি-বিজিপি বিচ্ছিন্নতাবাদী কাকে বলছে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিজি বলেন, তাদের ভূখণ্ডে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপতৎপরতা চলছে। দুই দেশের বর্ডার বা এর নিকটতম জায়গায় ঘটছে। কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী যেন তাদের ও আমাদের ভূখণ্ডে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করব। আমাদের সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স নীতি। কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্থান, অবস্থান নিতে আমরা দেব না। রিয়েল টাইম তথ্য আদান-প্রদান করতে পারলেই কেবল যৌথ অভিযান সম্ভব।
পাহাড়ে স্পেশাল অপারেশন ও ডিজিএফআই সদস্য নিহতের ব্যাপারে তিনি বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে বা ঘটনার আকস্মিকতার কারণে অনেক তথ্য শেয়ার করা সম্ভব হয় না। যে কারণে একজন ডিজিএফআই সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। এটি আমাদের ভূখণ্ডের ভেতরে ঘটেছে। তদন্ত হচ্ছে। আমরা চাই ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে।
বাংলাদেশে ইয়াবার চোরাচালান, কারবার সবই হচ্ছে সীমান্ত পথে। যা আসে মিয়ানমার থেকে। সীমান্তে মাদক চোরাচালান রোধে বিজিবি কতটা সফল? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, বিজিবি মাদকের চোরাচালান বন্ধে সফল। তবে শতভাগ সফল তা বলব না। তবে জিরো টলারেন্স নীতি ধারণ করে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বিজিবি।

অন্যরা যা পড়ছেন
বাংলাদেশ পুলিশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে দুই দফায় হট্টগোল
বিএনপির সন্ত্রাসের কারণে নতুন প্রজন্ম রাজনীতি করতে চায় না: শেখ পরশ
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৬ জন হাসপাতালে
দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১০
মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধান বিচারপতি
জাতীয়


রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে চুরি, আটক দুই
বাগেরহাটে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রের তামার তার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই যুবককে আটক করেছে আনসার...


বাংলাদেশ পুলিশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ পুলিশ দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন,...


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে: আইনমন্ত্রী
প্রকৃত অপরাধী থেকে পুলিশ ও আইনপ্রণেতাদের দুই ধাপ এগিয়ে থাকতে হবে। কারণ আইনকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে অপরাধ করা যায় তারা...


বিএনপি-আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে দুই দফায় হট্টগোল
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্ধিত সভায় বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারি)...


দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১০
সবশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেলো ২৪ ঘণ্টায় একজন মারা গেছে। এ সময়ে নতুন করে ১০ জনের দেহে...


পাঁচ কোটি টাকার পণ্যসহ গ্রেফতার ৭ চোর
নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যা ব-৪। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি...


মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধান বিচারপতি
মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। বছরের পর বছর ধরে বিচারপ্রার্থীরা আদালতে ঘুরতে থাকলে বলবে- দেশে বিচার নাই। এর...


জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন ৪৬০ পুলিশ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে অংশ নিচ্ছেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে। পর্যায়ক্রমে বাড়ছে অংশগ্রহণ। পুলিশ সদস্যরা উজ্জ্বল...


ডেনমার্কে কোরআন অবমাননার ঘটনায় বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন অবমাননার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে...


ভারত গরু না দিলেই কৃতজ্ঞ থাকবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পোল্ট্রি নয়, আমরা গবাদিপশুতেও এগিয়ে আছি। আমি যত বারই ভারত সফর করি, সেখানকার সরকার বলে তোমাদের গরু দেবো না। আমি...
আর্কাইভ

চট্টগ্রামকে হারিয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রাখলো ম্যাশরা

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে চুরি, আটক দুই

আর্সেনালে দীর্ঘ চুক্তিতে যাচ্ছেন মার্টিনেল্লি

কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা

রাজশাহীতে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে: কাদের

উৎসব মুখর পরিবেশে সরস্বতী পুজার বিসর্জন

বাংলাদেশ পুলিশ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করেছে: প্রধানমন্ত্রী

ম্যাশদের বিপক্ষে চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে: আইনমন্ত্রী

বগুড়ায় হিরো আলমের প্রচারে নায়িকা মুনমুন

বিমানে খারাপ আচরণ, নামিয়ে দেয়া হলো ২ যাত্রীকে

শামীম-অহনার কোটি টাকার কাবিননামা

বানরেরাও এখন মগ্ন স্মার্টফোনে

ফ্লাইওভার থেকে টাকার বৃষ্টি!

হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

৯৩ বছরে বিয়ের পিড়িতে চাঁদে পা দেয়া দ্বিতীয় মানব

কাশিমপুর কারাগারে এক আসামির ফাঁসি কার্যকর

মুশফিককে টপকে সাকিবের বেতন

আপিল বিভাগে প্রবেশে লাগবে ডিজিটাল পাস

ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন ক্রিকেটার সোহরাওয়ার্দী-রাজীব-জাভেদ

বগুড়ায় হিরো আলমের প্রচারে নায়িকা মুনমুন

বিএনপির সন্ত্রাসের কারণে নতুন প্রজন্ম রাজনীতি করতে চায় না: শেখ পরশ

পদত্যাগ করুন, অন্যথায় পালানোর পথ পাবেন না : মির্জা ফখরুল

ভারত গরু না দিলেই কৃতজ্ঞ থাকবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

লাদেনের সঙ্গে ফখরুলের একাধিকবার দেখা হয়: ডিএমপি

স্বর্ণের প্রলেপে মিললো ৪৩০০ বছরের পুরোনো মমি

প্রতিদিনই কর্মসূচি থাকবে আওয়ামী লীগের : কাদের

আওয়ামী লীগকে রাজপথে দেখে ভীত বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

ফ্লাইওভার থেকে টাকার বৃষ্টি!

‘এখনই প্রয়োজন নেই, সেগুলোতে ব্যয় করবো না’
সর্বাধিক পঠিত
- এশিয়া4 days ago
বিমানে খারাপ আচরণ, নামিয়ে দেয়া হলো ২ যাত্রীকে
- বিনোদন4 days ago
শামীম-অহনার কোটি টাকার কাবিননামা
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
বানরেরাও এখন মগ্ন স্মার্টফোনে
- এশিয়া3 days ago
ফ্লাইওভার থেকে টাকার বৃষ্টি!
- আইন-বিচার6 days ago
হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
- আন্তর্জাতিক7 days ago
৯৩ বছরে বিয়ের পিড়িতে চাঁদে পা দেয়া দ্বিতীয় মানব
- অপরাধ6 days ago
কাশিমপুর কারাগারে এক আসামির ফাঁসি কার্যকর
- ক্রিকেট6 days ago
মুশফিককে টপকে সাকিবের বেতন