অর্থনীতি
রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে
সংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কমছে রিজার্ভের অঙ্ক। বুধবার (৩০ নভেম্বর) দেশের রিজার্ভ ৩ হাজার ৩৮৬ কোটি (৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন) ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য সূত্র অনুযায়ী, দেশে চলমান ডলার সংকটের মধ্যেই অর্থনীতির অন্যতম সূচক রেমিট্যান্সের গতি নেতিবাচক ধারায় এসেছে। যদিও চলতি অর্থবছরের শুরুর মাস জুলাই ও এর পরের মাস আগস্টে দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। তবে এর পরের দুই মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসে রেমিট্যান্স। চলতি মাস নভেম্বরেও রেমিট্যান্স দুই বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছাতে পারবে না। এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থায় আসেনি রেমিট্যান্সের গতি ধারা। চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে ৫ দশমিক ৮ কোটি ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছে। যদিও বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার।
এদিকে চলমান ডলার সংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নভেম্বর মাসের শুরুতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (ডলার) ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন। তবে বুধবার (৩০ নভেম্বর) রিজার্ভ থেকে ৭১ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এতে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারে। এ রিজার্ভ দিয়ে চার মাসের (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন হিসাবে) আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব করলে দেশের এ রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হবে ২৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে রেমিট্যান্স আসার গতিও শ্লথ হয়েছে। চলতি মাসে (নভেম্বর) প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের (নভেম্বর) ১ তারিখ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মজুত ছিল ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ নভেম্বর আরও কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। এরপর নভেম্বরের ৭ তারিখে রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয় রিজার্ভ থেকে। ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে প্রায় ৩৪ দশমিক ২৮ বিলিয়নের নেমে আসে।
গত ৯ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন, ১৪ নভেম্বর বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে। এরপর ১৫ নভেম্বর রিজার্ভ থেকে ১১৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করায় তা নেমে আসে ৩৪ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। ১৬ নভেম্বর ৬৯ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হলে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। পরে ১৭ নভেম্বর আবারও বেড়ে ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার হয়।
এরপর তা কমে ২১ নভেম্বর রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে। গত ২২ নভেম্বর ৩৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলারে। সবশেষ ২৩ নভেম্বর রিজার্ভ মজুত আরও কমে দাঁড়ায় ৩৪ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলারে। এরপর বুধবার (৩০ নভেম্বর) সরকারি ক্রয়বাবদ ৭৭ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয় রিজার্ভ থেকে। এতে বৈদেশিক মজুত আরও কমে তা দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলে আসছে, রিজার্ভ থেকে অর্থ নিয়ে আলাদাভাবে বিভিন্ন তহবিল গঠন ও সেখান থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আবার সেসব অর্থ রিজার্ভে দেখানো হচ্ছে। এতে রিজার্ভ বেশি দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশর, যা বিভ্রান্তি তৈরি করছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন এবং শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার দেশের রিজার্ভে দেখাচ্ছে।
তাছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছে। আইএমএফ’র মতে, সবমিলিয়ে বর্তমানে রিজার্ভে যে অর্থ দেখানো হচ্ছে, সেখান থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। সে হিসাবে এখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতিনিয়ত ওঠা-নামা করে। এখান থেকে সরকারি ক্রয়ে ডলার ছাড় করা হয়। আবার প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতিনিয়ত রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বলা যায় প্রতিদিনই রিজার্ভ কম-বেশি হয়। তবে আমাদের যে রিজার্ভ পজিশন সেটিতে ভয়ের কিছু নেই।
অন্যদিকে বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা, অনাবাসি বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়াসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। তাছাড়া রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি প্রতিরোধের নতুন কৌশলে নিয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোয় জড়িতের অভিযোগে ২৩০ জন বেনিফিশিয়ারির হিসাব সাময়িকভাবে উত্তোলন স্থগিত করে আর্থিক খাতের এ সংস্থাটি। পরে বৈধপথের প্রতিশ্রুতিতে এসব হিসাব পুনরায় খুলে দেওয়ার কথা জানানো হয়।
কৃষি
আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেবো না : কৃষিমন্ত্রী
রাজশাহীতে আমের ফলন এবার কম হয়েছে, সে কারণে দাম বাড়বে। তাই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমরা কোনোভাবেই সিন্ডিকেট করতে দেব না। বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আমের বাগান পরিদর্শন ও আমচাষিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয় সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাংলাদেশের আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আমরা চেষ্টা করছি বেশি পরিমাণ আম রপ্তানি করার। এজন্য চীনের একটি প্রতিনিধিদল শিগগিরই রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আর এ দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণের জন্য কিছু কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কৃষককে এরই মধ্যে সহায়তা করা হয়েছে। আর আম রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হচ্ছে।
এ সময় সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর আম নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আম পচনশীল পণ্য। তাই মৌসুমে একটা পার্সেন্টেজ আম নষ্ট হবেই। আমরা আম কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাই, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যও সংরক্ষণ করতে চাই। সেজন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করবো। তবে এর জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এ প্রজেক্টের জন্য অনেক টাকার দরকার। আমরা দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় এটা করতে চাই।
এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফারমিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করেন।
এএম/
অর্থনীতি
হাফ সেঞ্চুরি ডিমের, সবজিতে নেই স্বস্তি
বাজারে ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। গেলো সপ্তাহেই ডিমের হালি ছিলো ৪৫ টাকা। এদিকে কমেনি সবজির দামও।
শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানী ও এর আশপাশের বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।
ক্রেতারা জানান, বাজারে সরবরাহ কম এমন নানান অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরে ডিমের দাম বেড়েই চলছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, সারাদেশে মেসেজের মাধ্যমে তেজগাঁওয়ের আড়তমালিকরা ডিমের দাম নির্ধারণ করে। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে এ সিন্ডিকেট মুনাফা লুটছে।
এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ঢাকার আড়তগুলোতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি হলেও তারা সারাদেশে বিক্রিত ৪ কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে। প্রতিদিন তারা মেসেজ দিয়ে বাজারদর জানিয়ে দেয় সারাদেশে থাকা আড়তদারদের। তারা এখন ডিমের বাজারে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট।
মালিবাগ বাজারে ডিম কিনতে আসা আফজাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভাবা যায় এক ডজন ডিম কিনলাম ১৬০ টাকায়! যা কিছুদিন আগেই ছিল ১২০ টাকা। হঠাৎ করে ডজনে ৪০ টাকা বেড়ে গেল অথচ সংশ্লিষ্ট কারও কোনো উদ্যোগ নেই বাজার নিয়ন্ত্রণের।
এদিকে কমেনি মুরগির দামও, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছে সপ্তহহের ব্যবধানে কেজি প্রতি সবজির দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে , প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৯০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচা মরিচ ১০০-১২০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এছাড়া আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ইলিশ সাইজ ভেদে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকায়।
প্রসঙ্গত, বাজার নিয়ন্ত্রণে জোরদার তদারকির দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আই/এ
অর্থনীতি
ব্যাংকঋণের সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না : বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সুদহার বাজারভিত্তিক ও ডলারের দরে নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সুদহার বাজারের ওপর ছাড়া হলেও এখনকার বাস্তবতায় তা ১৪ শতাংশের ওপরে উঠবে না। এখন আর এসব নীতির পরিবর্তন হবে না। বললেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সভাকক্ষে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে অংশ নেয়া ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর।
ব্যবসায়ী নেতারা বৈঠকে জানান, ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে প্রকল্প করে এখন ১৪ শতাংশ দিতে গিয়ে ব্যবসায়িক হিসাব মেলানো কঠিন হচ্ছে অনেকের পক্ষে। হঠাৎ ডলারের দর বাড়ার কারণে কোনো কোনো ব্যবসায়ীর তিন-চারশ’ কোটি টাকারও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মেয়াদি ঋণ শ্রেণিকরণের শিথিলতা হঠাৎ তুলে নিলে খেলাপি ঋণ বাড়বে। এভাবে বারবার নীতির পরিবর্তন না করে ধারাবাহিকতা দরকার।
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, গভর্নর তাদের সব বক্তব্য শুনেছেন। এখন কী ব্যবস্থা নেন দেখা যাক। হঠাৎ করে ডলারের দর বাড়ানোর কারণে কোনো কোনো বড় গ্রুপ ৩০০- ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব গ্রুপ লোকসানে পড়েছে দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধ সূচির মাধ্যমে যেন এটা সমাধান করা হয় সে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ডলারের বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলে বৈঠকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আই/এ
-
আইন-বিচার4 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
এশিয়া7 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি7 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
বলিউড7 days ago
আরবাজ-সোহেলের পর বিয়ে ভাঙছে সালমানের বোন অর্পিতার?
-
ক্রিকেট2 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
অপরাধ4 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
খুলনা4 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
টুকিটাকি4 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন