আমদানি-রপ্তানি
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫১ শতাংশ
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৭.৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের পোশাক আমদানি বেড়েছে ৫০.৯৮ শতাংশ।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মার্কিন অফিশিয়াল সোর্স ‘অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) তথ্য, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির সর্বশেষ (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২২) পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৭.৫৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের পোশাক আমদানি বেড়েছে ৫০.৯৮ শতাংশ। উল্লিখিত সময়ে বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ৩৪.৬১ শতাংশ বেড়েছে। ৮.৫৪ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পোশাক আমদানির ৩য় বৃহত্তম উৎস হিসাবে অবস্থান ধরে রেখেছে।
চীন ২২.৪৮ শতাংশ শেয়ার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সর্ব বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ। এরপরে ১৮.৫১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ভিয়েতনামের অবস্থান।
চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ২৮.৯৪ শতাংশ বেড়েছে এবং ১৭.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি ১৪.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে; এতে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪.৬৯ শতাংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারীদের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ৫৪.৬৬ শতাংশ, ভারত ৫৩.৩৯ শতাংশ, কম্বোডিয়া ৪৬.৫৮ শতাংশ, পাকিস্তান ৪০.১১ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩৯.৬১ শতাংশ।
আমদানি-রপ্তানি
অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি স্থগিত করলো ভারত
বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। ডিসেম্বরে পেঁয়াজের ওপর দেশটির আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যেই পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গেলো বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
শনিবার (২৩ মার্চ) কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী আদেশ দেয়ার আগ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি স্থগিত থাকবে।
মুম্বাইভিত্তিক একটি পেঁয়াজ রপ্তানি সংস্থার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে বলেন, ‘এই আদেশ হতবুদ্ধিকর এবং পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয়। এমনিতেই দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজ এখন পানির দামে বিক্রি হচ্ছে, তার ওপর আর কিছুদিন পর নতুন ফসল আসবে। তখন কী হবে?’
প্রসঙ্গত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
এএম/
আমদানি-রপ্তানি
৮৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
বেসরকারি পর্যায়ে ৩০ প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৮৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৪ হাজার মেট্রিক টন আতপ চালের আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানিকৃত চাল ২৫ এপ্রিলের মধ্যে বাজারজাতকরণের জন্য শর্ত বেঁধে দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এই চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।
তাছাড়া আমদানিকৃত চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
অর্থনীতি
লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে পেঁয়াজের দাম
বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। আমদানির খবরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তাদের অবৈধভাবে মজুত করা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। তিন দিন আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফরিদপুরের হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত ১/২ সপ্তাহ আগে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির লোভে কৃষকেরা নতুন হালি পেঁয়াজ পরিপক্ক হওয়ার আগেই প্রচুর পেঁয়াজ উঠিয়ে ফেলেছে। আর সেই পেঁয়াজ বাজারে আসতে থাকায় সরবরাহ বেড়ে গেছে। ফলে বাজারে পাইকেরিতে ৪৮ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে ৫০ টাকায় নতুন পেঁয়াজ বিক্রি করছে বিক্রেতারা।
দিনাজপুরের হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান, পাইকারি বাজার থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৮ টাকা দরে কিনে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে আগের তুলনায় বিক্রি কমে গেছে।
রাজধানীর নতুনবাজারের ব্যবসায়ী বিশারত আলি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো আছে। পাবনা ও ফরিদপুর থেকে পণ্যটি প্রচুর আসছে। তাই দর হ্রাস পেয়েছে। আগের সপ্তাহে সাধারণ মানের পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এই সপ্তাহে সেটা তাঁরা বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মাত্র ২/৩ টাকা লাভে তা বিক্রি করছেন তাঁরা।
মগবাজারে পেঁয়াজ কিনিতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে ১ কেজি পেঁয়াজ তিনি কিনেছেন ৯০ টাকায়। ১৯ মার্চ তিনি সেটি কিনেছেন ৫৫ টাকায়। দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়? কি এমন হলো যে দর হঠাৎ এত কমে এলো এমন প্রশ্ন এ ক্রেতার।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ মার্চ) ভারতের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) রপ্তানির জন্য দেশটির চাষীদের থেকে পেঁয়াজ কেনার তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম পড়বে ২৯ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এই সংবাদেই রান্নাঘরের মুখ্য এ পণ্যটির দরপতন ঘটছে।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আবহাওয়া7 days ago
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কবে জানালো নাসা, দিন হবে রাতের মতো
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন