Connect with us

উত্তর আমেরিকা

তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে

Avatar of author

Published

on

১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের বলা হয় টিনএজার। ১৯৫০ এর দশকে বেশ জনপ্রিয় হয় টিনএজার শব্দটি। এই বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুতর পরিবর্তন ঘটে ও প্রভাবিত হয়। বিল ব্রাইসন তার স্মৃতিকথা দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অব থান্ডারবোল্ট কিড এ লিখেছেন, এই বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরা বাড়ির বাইরে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়ে। মাতাল হওয়া, গর্ভধারণ করা বা গাড়ি দুর্ঘটনা এসব আমেরিকান নাগরিকদের টিনএজারদের নিয়ে মূল আতঙ্কের বিষয়।

আজকাল, আমেরিকান কিশোর-কিশোরীরা যে ঝুঁকির সম্মুখীন হয় তা ভেতর থেকে আসে। ছেলেদের এখন দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার চেয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেশি। অপরিকল্পিত গর্ভাবস্থার মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। দেশটিতে দুর্ঘটনার পর এখন ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মৃত্যু হয় আত্মহত্যা করার কারণে। অর্থাৎ মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা।

কিশোর-কিশোরীদের মানসিক সমস্যা তরুণ বয়সে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধিতে প্রবল ভূমিকা রাখে। করোনা মহামারির আগে কম থাকলেও দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই প্রবণতা। ২০২১ সালে প্রায় অর্ধেক আমেরিকান মাধ্যমিক পড়ুয়া বলে তারা বিগত বছরে ক্রমাগত দুঃখ ও হতাশা অনুভব করেছে, যার পরিমাণ ২০০৯ সালের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেড়েছে।

পাঁচজনের মধ্যে একজনের আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা করে এবং এই হার প্রায় ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ৬ শতাংশের চেয়ে ৯ শতাংশের জীবন শেষ করে ফেলার প্রবণতা বেড়েছে। তবে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের জন্য এই প্রবণতা অভূতপূর্ব ঘটনা নয়। তবে দশ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের জন্য আত্মহত্যার প্রবণতার হার আগের চেয়ে অনেক বেশি।

তরুণদের কাছে তাদের অনুভূতি নিয়ে আলোচনা করা আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যদি তাদের মধ্যে হতাশা বেড়ে যায় তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সেই হতাশা কম হয়। এটি আরও বৃহ্ত্তর স্বার্থে ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু সতর্কবার্তা হচ্ছে, গেলো কয়েক দশকে আমেরিকান তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার হার, চেষ্টা, আহত ও মৃত্যু বেড়ে যাচ্ছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রাথমিক তথ্য বলছে, গেলো বছর, কোনো বয়সের বা গোষ্ঠীর মৃত্যু ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী পুরুষদের চেয়ে বৃদ্ধি পায়নি।

Advertisement

আত্মহত্যার প্রবণতার কারণগুলো স্পষ্ট বোঝার এটি শুরু মাত্র। স্বাভাবিকভাবে ধারণা করা হয়, শৈশবে দারিদ্র্য, পিতামাতার অসুলভ আচরণ বা পিতামাতার হতাশা এসবের কারণে কিশোর-কিশোরীদের আচরণে পরিবর্তন ঘটে। যদিও প্রকৃতপক্ষে, শৈশবের দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। কীভাবে তাদের জীবনমান বদলে যায় সেটি একটির সঙ্গে আরেকটির নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্ব মূলত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

কীভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ করা যায় এবং আরও ভালোভাবে টিনএজারদের রক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের যুক্তিসঙ্গত ধারণা রয়েছে। সব তরুণ-তরুণী সমান ঝুঁকির মধ্যে থাকে না। যদিও আমেরিকার মেয়েরা তাদের জীবন শেষ করার চিন্তা করে বা এটি করার চেষ্টা করার জন্য নিজেকে আহত করার শঙ্কা বেশি, তবে কিশোর ছেলেদের আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার প্রবণতা প্রায় তিনগুণ বেশি। বিশেষ করে যেসব তরুণ-তরুণী সমকামী তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা তিনগুণ বেশি। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন যে শিশুরা গুরুতর প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছিল, যেমন অপদস্ত বা অবহেলা, তাদের সুখী শৈশব থাকলেও আত্মহত্যার প্রবণতা ২৫ গুণ বেশি।

ভৌগোলিক কারণও দায়ী তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতার পেছনে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, গ্রামীণ পরিবেশে বসবাসকারী শিশুরা যত্নের অভাবে উচ্চতর ঝুঁকিতে থাকে আত্মহত্যার ক্ষেত্রে। উপজাতি সম্প্রদায়ের যুবকরা অন্য যে কোনো গোষ্ঠীর তুলনায় বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ হয়। আলাস্কায় প্রতি লাখে তরুণদের বার্ষিক আত্মহত্যার হার ৪২ শতাংশ। যে কোনও রাজ্যের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ এবং জাতীয় হিসাবে গড়ে চারগুণ বেশি।

শুধু আমেরিকাতে নয়। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও মেক্সিকোসহ আরও অনেক দেশেই গেলো কয়েক দশকে তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে নিয়ে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছয়জনের মধ্যে একজনের মানসিক-স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা আছে। যেখানে ২০১৭ সালে তা ছিল নয়জনের মধ্যে একজনের। বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কিত একটি জার্নালের তথ্য বলছে, ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কিশোরদের একাকীত্ব বেড়েছে ৩৭টি দেশের মধ্যে ৩৬টিতে।

দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলেও ব্যতিক্রমী ঘটনা হচ্ছে, আমেরিকায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। যদিও ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। ২০২১ সালে সেখানে প্রতি এক লাখ যুবকদের মধ্যে ৬ দশমিক ৪ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যেখানে আমেরিকান তরুণ ১১ দশমিক ২ শতাংশ এ ধরনের পথ বেছে নেয়।

Advertisement

আমেরিকায় বন্দুক হাতে পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আত্মহত্যার জন্য ছেলেদের একটি সাধারণ ব্যাপার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা। যে কারণে সহজে ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, কেন ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে বেশি বন্দুক হামলায় মারা যায়। সুইজারল্যান্ডে, ২০০৩ সালের পর সামরিক-সার্ভিসে পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার দ্রুত কমে যায় যখন দেশটি তার সেনাবাহিনীর আকার অর্ধেক করে দেয়। যেখানে প্রায়শই সৈন্যদের অস্ত্র বাড়িতে নিয়ে যেতে হতো। মহামারি চলাকালীন আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে। যার দরুণ ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ, যাদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু এবং বাড়িতে বন্দুক আছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি বিশ্লেষণ বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালে আমেরিকানদের আত্মহত্যা বৃদ্ধির জন্য বন্দুকই দায়ী।

তবে এই গল্পে শুধু বন্দুকই একমাত্র অংশ নয়। অন্যান্য কারণ যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব, জলবায়ু-পরিবর্তন নিয়ে হতাশাও প্রভাব ফেলে এতে। তাছাড়া আরও কিছু কারণ আছে, তরুণরা তাদের পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে কীভাবে সম্পৃক্ত সেটিও মুখ্য হয়ে ওঠে। সিডিসি বলছে, যে সব শিশু স্কুলে অবাধে মেলামেশা করে তাদের মানসিক জটিলতার মধ্যে পড়ার শঙ্কা ক্ষীণ এবং আত্মহত্যার প্রবণতাও ৫০ শতাংশের কম।

এই প্রতিরক্ষামূলক স্তর ভীতি তৈরি করতে পারে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাথরিন কেইস বলেন, কিশোরকালীন কার্যক্রমের ধরন যা সেই সামাজিক সংযোগের নির্দেশক হয়, বা আপনার সামাজিক বৃত্তে আশপাশের পরিবেশ ও অনুভূতি এমনভাবে তৈরি করবে যা কাঠামোগতভাবে পরিবর্তিত হয়।

আগে টিনএজাররা সনাতন পদ্ধতিতে যোগাযোগ বজায় রাখতো, যেমন খেলাধুলা, ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি। ১৯৭০ এর দশকে ১২তম ক্লাসের শিক্ষার্থী প্রতিদিনই বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতো। ডক্টর কেইস গবেষণায় নিম্ন স্তরের সামাজিক কার্যক্রম ও বিষণ্নতার রিপোর্টের মধ্যে একটি সম্পর্কও খুঁজে পেয়েছেন।

একটি বিতর্ক জিইয়ে আছে, তা হলো সোশ্যাল মিডিয়া তরুণদের বিচ্ছিন্ন করে নাকি সংযোগের জন্য একটি নতুন বিকল্প তৈরি করে। স্কুলের পরিবেশের মতোই, অনলাইন অভিজ্ঞতা শিশুদের সাহায্য বা ক্ষতিও করতে পারে। সিডিসির তথ্য বলছে, কোভিডের সময় সহকর্মী, পরিবার বা অন্যান্যদের সম্পৃক্ততা স্কুলে লোকদের সঙ্গে সংযুক্ত অনুভূতির মতোই প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলেছিল। সামাজিক মাধ্যমগুলো সে সময় তাদের কম একা বোধ করা থেকে বিরত রেখেছিল। তবে এটি আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, যেমন ১৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ মলি রাসেলের আত্মহত্যার সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে ভিন্ন তথ্য। সামাজিক-মিডিয়ার ক্ষতিকারক বিষয়বস্তু তার মৃত্যুর জন্য দায়ী, বলে উপসংহারে এসেছে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

উত্তর আমেরিকা

আদালতে ট্রাম্প, বাইরে নিজ দেহে আগুন দিলেন যুবক

Avatar of author

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাশ-মানি মামলার বিচার চলছে। নিউইয়র্কের অঙ্গরাজ্যে ম্যানহাটানের যে আদালতে এই বিচারকার্য চলছিলো তার বাইরের চত্বরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল আজারেল্লো নামের এক যুবক।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় দুপুর ১ টার পরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র দেয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

আজারেল্লো ফ্লোরিডার বাসিন্দা। এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কে এসেছিলেন। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে তার পূর্ব অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই। তবে আজারেল্লো যে নিউইয়র্কে এসেছেন, তা ফ্লোরিডায় বসবাসরত তার পরিবারের সদস্যরার জানতেন না।

মার্কিন পর্ন অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলের সঙ্গে একসময় ঘনিষ্টতা ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরুর সময় এ ইস্যুতে মুখ বন্ধ রাখতে স্টর্মি ড্যানিয়েলকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ প্রদান করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাটিই পরিচিতি পেয়েছে ‘হাশ-মানি’ মামলা হিসেবে।

গতকাল দুপুরে ম্যানহাটানের ওই আদালতে যখন হাশ-মানি মামলার শুনানি চলছিল, সে সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প। ওই ঘটনা ঘটার পর শুনানি স্থগিত করা হয়, ট্রাম্পও আদালত ত্যাগ করেন।

Advertisement

তবে আজারেল্লোর এই ঘটনায় আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঝামেলা সৃষ্টি হয়নি। কয়েক ঘণ্টা স্থগিত থাকার পর বিকেলের দিকে ফের মামলার শুনানি কার্যক্রম শুরু করেন আদালত।

প্রপ্ত্যক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের প্রধান জেফ্রি ম্যাডরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে একটি ব্যাগ এবং রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডামূলক পুস্তিকা-প্ল্যাকার্ড নিয়ে আদালত এবং সংলগ্ন পার্ক এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন ম্যাক্সওয়েল আজারেল্লো। তারপর দুপুর ১ টার পর দিকে আদালত চত্বরের বাইরে ব্যাগ থেকে তরল দাহ্য পদার্থের বোতল বের করে নিজ গায়ে ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

ম্যাডরে জানান, ট্রাম্পের বিচার চলার কারণে আদালতে যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ছিল। কর্তব্যরত পুলিশরা ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যে অগ্নি নির্বাপক দিয়ে আগুন নিভিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা নেন। বর্তমানে ম্যানহাটানের একটি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটি চিকিৎসাধীন আছেন আজারেল্লো। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ম্যাক্সওয়েল আজারেল্লোর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। আগুন দেয়ার আগে অন্য কারো সঙ্গে বা সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে কোনো কথা বলেননি আজারেল্লো। ফলে ঠিক কী কারণে তিনি এভাবে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।

তার ব্যাগ থেকে তরল দাহ্য পদার্থ এবং কিছু পুস্তিকা-প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব পুস্তিকার সবই ষড়যন্ত্র তত্ত্বনির্ভর এবং রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডামূলক এসব পুস্তিকা-প্রচারপত্রে মূল বক্তব্য— ট্রাম্প এবং বাইডেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করেছেন।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

‘ইরান হামলা বাড়াতে সফল হলেই যুদ্ধে জড়াবে যুক্তরাষ্ট্র’

Avatar of author

Published

on

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা বাড়িয়ে তাতে ইরান যদি সফল হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর চুপ থাকবে না। ইসরাইল-ইরান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।’ স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন।

প্রকাশিত `Moment of Truth on Ukraine and Israel’ নিবন্ধে জো বাইডেন মূলত ইসরায়েল এবং ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বিল পাশের বিষয়টির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের  সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আখ্যা দিয়ে বাইডেন বলেন,‘বন্ধুদের পরিত্যাগ করার সময় এখন নয়। ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য হাউসকে (মার্কিন কংগ্রেস) অবশ্যই জরুরি জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাশ করতে হবে। পাশাপাশি গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তারও ব্যাপক প্রয়োজন বলেও মত প্রকাশ করেন।

নিবন্ধে ইরান ও ইসরাইলের সংঘাত প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন ‘ইরান যদি ইসরাইলের ওপর তার আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে সফল হয়, তা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাতে জড়িয়ে যেতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়লে আমরা তার পাশে দাঁড়াবো না-এমনটি ভাবাই যায় না।’

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলায়  ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ মোট ১১ জন নিহত হন। হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইসরায়েলকে এর জন্য দায়ী করে আসছে ইরান। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল মধ্যরাতে ইসরায়েলে শত শত  ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় ইরান। হামলায় তেলআবিবের একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

উত্তর আমেরিকা

আজ বিরল সূর্যগ্রহণ, দিন হবে রাত

Avatar of author

Published

on

সূর্যগ্রহণ

চলতি বছরের আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) বিরল সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে। এদিনের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে। তার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে কোটি কোটি মানুষ। কারণ, এই গ্রহণের সময় চাঁদ সূর্যকে পুরোটাই ঢেকে দেবে। ফলে এদিন পৃথিবী দিনের বেলা কয়েক মিনিটের জন্য অন্ধকারে ঢেকে যাবে।

পূর্ণ সূর্যগ্রহণ কী?

সূর্যগ্রহণে সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এমন অবস্থানে আসে যে, চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। এ সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য (কখনো কখনো কয়েক মিনিটের জন্যও) আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে, মনে হয় সেটা রাতের আকাশ। একেই বলা হয় পূর্ণ সূর্যগ্রহণ।

দেখা যাবে যেসব দেশে

মহাজাগতিক বিরল এই দৃশ্যের সাক্ষী হবে মাত্র তিনটি দেশ। ওইদিন সূর্যকে ঢেকে ফেলবে চাঁদ।

Advertisement

জানা গেছে, বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কারণে সোমবার মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে ভরদুপুরে চাঁদের ছায়া সূর্যকে তিন মিনিট ৪০ সেকেন্ড ঢেকে ফেলায় এ তিন দেশের দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার।

৮ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ০৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। সেখান থেকে চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

জ্যোতির্বিদরা জানিয়েছেন, এ বছর পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সঙ্গে আরও একটি অন্যরকম বিরল দৃশ্যও দেখা যাবে। খালি চোখে সরাসরি দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহদের। এমন কিছু গ্রহ দেখা যাবে, যাদের দেখা মেলাটা খুবই বিরল।

সতর্কতা জারি

সূর্যগ্রহণ পৃথিবীর একটা বড় অংশে দেখা যাবে না। তবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ নিয়ে আমেরিকার বেশির ভাগ জায়গায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেন্টাকি, ওহিও, পেনসিলভানিয়া, নিউ ইয়র্ক, ভারমন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ারে দেখা যাবে এই পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। দেখা যাবে টেনেসি এবং মিশিগানের কিছু অংশ থেকেও।

Advertisement

এসব জায়গার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গ্রহণের সময় সরাসরি তাকানোর ফলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এমনকি গ্রহণের রশ্মি থেকে হতে পারে স্থায়ী অন্ধত্বও। ফলে সৌর ফিল্টার বা গ্রহণ চশমা ছাড়া গ্রহণ দেখতে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসব জায়গার বাসিন্দাদের খাবার কিনে রাখতে বলা হয়েছে। গ্রহণ দেখতে আসা পর্যটকদের ভিড়ের কারণে যাতে স্থানীয়দের খাবারে টান না পড়ে, সে কারণেই এই ব্যবস্থার নির্দেশ।

এদিকে, সূর্যগ্রহণের এই দৃশ্য যেসব স্থান থেকে ভালো দেখা যায়, তার মধ্যে নায়াগ্রা জলপ্রপাত অন্যতম। কিন্তু সেদিন ওই অঞ্চলে সূর্যগ্রহণ দেখতে উৎসুক দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কানাডা অংশের আশপাশের শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

গ্যাস, চুলা গ্যাস, চুলা
জনদুর্ভোগ21 mins ago

২ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায় ২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শুক্রবার (১৯...

দুর্ঘটনা1 hour ago

বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু

চট্টগ্রামের পটিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও সিএসজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। নিহতরা হলেন—...

জাতীয়11 hours ago

তীব্র দাবদাহে ট্রাফিক সদস্যদের স্বস্তি দিতে অনন্য উদ্যোগ

প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ। এই তীব্র গরমের মাঝেও খোলা আকাশের নিচে ঢাকা মেট্রোপিলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা যানজট নিরসনে...

জাতীয়12 hours ago

তীব্র দাবদাহের মধ্যে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি

টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমন একসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে যখন দেশের ওপর দিয়ে তীব্র...

জাতীয়13 hours ago

১৫০ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাসহ ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ জন সদস্যকে মিয়ানমারের জাহাজে নৌপথে ফেরত যাওয়ার ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়েছে।...

বাংলাদেশ13 hours ago

ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা

সারাদেশে চলছে তাপপ্রবাহ। জনজীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ। যশোর-চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন দিনের...

জনদুর্ভোগ15 hours ago

২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য শনিবার (২০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায় দুই ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়াও ওই...

চট্টগ্রাম15 hours ago

ট্রেনের ধাক্কায় স্ত্রী-সন্তানদের সামনেই প্রাণ গেলো স্বামীর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নোয়াখালী মেইল ট্রেনের ধাক্কায় স্ত্রী-সন্তানদের সামনেই প্রাণ হারিয়েছেন রায়হান মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক। ঈদের ছুটিতে স্ত্রী, দুই মেয়ে...

দুর্ঘটনা15 hours ago

হাসপাতালের আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু

রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এসি বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে বেড,...

বাংলাদেশ16 hours ago

ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়

দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়সহ শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহওয়া অফিসে। এর মধ্যে সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র ঝড় বয়ে যেতে পারে...

Advertisement
সৌদি-পতাকা
আন্তর্জাতিক3 days ago

ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি

আন্তর্জাতিক3 days ago

ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ডাকসুর-সাবেক-ভিপি-নুরুল-হক
আইন-বিচার5 days ago

নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ইসলাম4 days ago

ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

টুকিটাকি5 days ago

অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করলেন শিক্ষিকা

বাংলাদেশ7 days ago

ইসরাইল থেকে সরাসরি ঢাকায় বিমানের অবতরণ- যা জানা গেলো

বাংলাদেশ2 days ago

নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন

বাংলাদেশ5 days ago

সন্যাসী হতে ২০০ কোটি রুপির সম্পত্তি দান করলেন দম্পতি

সৌন্দর্য
লাইফস্টাইল3 days ago

চড়-থাপ্পড়েই বাড়বে নারীদের সৌন্দর্য!

আন্তর্জাতিক6 days ago

ইসরাইলে ইরানের হামলা: ভূমধ্যসাগরে ঢুকলো রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়3 weeks ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল4 weeks ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি4 weeks ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি1 month ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ1 month ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড1 month ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

অর্থনীতি2 months ago

গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!

অপরাধ2 months ago

ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা

সর্বাধিক পঠিত