ব্যাংকিং ও বীমা
তারল্য সংকট কাটাতে ইসলামী ব্যাংকগুলো পাবে বিশেষ সুবিধা
শরীয়াহ্ ভিত্তিক বা ইসলামী ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট কাটাতে নিজস্ব তহবিল থেকে বিশেষ সুবিধা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুকুক বন্ডের বিপরীতে এ সুবিধার আওতায় প্রতিদিন চাহিদা অনুযায়ী ধার নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়তা নিতে হবে এক কোটি টাকা। তবে ১৪দিন মেয়াদ শেষে মুনাফাসহ ব্যাংকের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে সেই অর্থ সমন্বয় বা কেটে রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এই সার্কুলার শরীয়াহ্ ভিত্তিক সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, ইসলামিক আর্থিক ব্যবস্থাকে অধিকতর শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তারল্য সুবিধা দেয়া হবে। আজ (৫ ডিসেম্বর) থেকেই এটি কার্যকর হবে। শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকগুলো সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে নিয়মিতভাবে এই সুবিধা গ্রহণের জন্য একটি ফর্মে আবেদন করতে পারবে। সার্কুলারে সঙ্গে এ ধরনের আবেদন ফর্মও যুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শরীয়াহ্ ভিত্তিক একটি বৃহৎ ব্যাংকে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর আতঙ্ক বেড়েছে ব্যাংকটির আমানতকারীদের মধ্যে। এদের কেউ কেউ ব্যাংকটি থেকে তাদের আমানত তুলে নিচ্ছেন। আবার কেউ রাখছেন অন্য ব্যাংকে। এতে ব্যাংকটিতে আমানতের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। গেলো অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটির আমানত কমেছে দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ওই ব্যাংকে মনিটরিং বাড়ানোয় বেপরোয়া ঋণে কিছুটা লাগাম পড়বে বলে আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি শরীয়াহ্ ভিত্তিক বৃহৎ এ ব্যাংক থেকে চট্টগ্রামের একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। এর মধ্যে রাজশাহী কেন্দ্রিক ব্যবসা পরিচালনাকারী একটি গ্রুপের নতুন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামে পর্যাপ্ত জামানত ছাড়াই প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটি। এছাড়া পর্যাপ্ত জামানত না নিয়েই ইতিমধ্যে রাজশাহীর আরেকটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন হয়েছে। যেকোনো সময় ওই ঋণের অর্থ ছাড় হবে। এসব ক্ষেত্রে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালাও লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অর্থনীতি
২৬ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৬৮ কোটি ডলার
চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। গত মার্চের একই সময়ে যা ছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
প্রসঙ্গত, গেল মার্চ মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।
আই/এ
অর্থনীতি
১৯ দিনে প্রবাসী আয় ১৪ হাজার কোটি টাকা
চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ) যার পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি
রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।
গত মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রসঙ্গত, বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে এসেছে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
আই/এ
ব্যাংকিং ও বীমা
এবার ব্যাংক এশিয়ার নামে পরিবর্তন
বেসরকারি ‘ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড’ এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে এটির নাম হবে ‘ব্যাংক এশিয়া পিএলসি।’ সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে নামের শেষে পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি বা পিএলসি লেখা বাধ্যতামূলক।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ডারে বলা হয়, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের ১২৭ নম্বর আদেশ) এর ৩৭ (দুই) (সি) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) থেকে ‘ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড’ এর নাম ‘ব্যাংক এশিয়া পিএলসি’ করা হয়েছে।
সংশোধিত কোম্পানি আইন ২০২০-এ সীমিতদায় কোম্পানি শনাক্তকরণ সংক্রান্ত ১১ ক ধারা নতুন করে যুক্ত করা হয়। নতুন ধারায় ‘সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে নামের শেষে পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি বা পিএলসি লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পাঁচ ব্যাংকের বাইরে অন্য কোনো ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়নি। ব্যাংক কোম্পানিগুলোর নামের শেষেও পিএলসি যুক্ত করতে কোম্পানির নাম ও সংঘস্মারক পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য ব্যাংক এশিয়ার নাম পরিবর্তিত করে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে পিএলসি যুক্ত করা হয়েছে।
এএম/
-
তথ্য-প্রযুক্তি7 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
খুলনা6 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন