Connect with us

ব্যাংকিং ও বীমা

খেলাপিদের অর্থায়নে নিষেধাজ্ঞা

Published

on

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, খেলাপি গ্রাহককে ‘আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন’ করা যাবে না বলে। এছাড়া একই গ্রুপভুক্ত বা স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেনা বেচার ক্ষেত্রসহ স্থানীয় ঋণপত্রের বিপরীতে আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন (পিআইএফ) সুবিধা দেওয়া যাবে না। একইসঙ্গে পিআইএফের সুবিধা নিয়ে ওভারডিউ বা কিস্তি মেয়াদোত্তীর্ণ হলে নতুন করে সুবিধা পাওয়া যাবে না।

আজ রোববার (১৩ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ পিআইএফ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে।

নতুন নীতিমালায় পিআইএফের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে বলা হয়, নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য বা ট্রেডিং পণ্য, শিল্পের কাঁচামালসহ ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে আমদানি দায় পরিশোধের নিমিত্তে প্রদত্ত সকল প্রকার ঋণ সুবিধা যেমন এলটিআর, এলএটিআর, এমটিআর ও এমপিআই যে নামেই বলা হোক না কেন এসব ঋণ এখন থেকে বাংলায় ‘আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন’ এবং ইংরেজিতে ‘পোস্ট ইমপোর্ট ফাইন্যান্সিং (পিআইএফ)’ নামে অভিহিত হবে।

এতে আরও বলা হয়, গ্রাহকের চাহিদা, সংশ্লিষ্ট পণ্যের প্রকৃতি এবং উৎপাদন ও বিপণন চক্রের সঙ্গে সংগতি রেখে পিআইএফের মেয়াদ ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে, তবে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০ দিন এবং শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের বেশি হবে না।

এ নীতিমালায় বর্ণিত নির্দেশনাসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন, ক্রেডিট রেটিং সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে ঋণপত্র (এলসি) স্থাপন এবং পিআইএফ সুবিধার অনুমোদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে।

Advertisement

নীতিমালায় ঋণপত্র এবং পিআইএফ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য জামানতের বিষয়টি সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। ঋণপত্র এবং পিআইএফের অনুমোদনের সীমা নির্ধারিত থাকতে হবে। কোনোভাবেই অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না।

পিআইএফের ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ হয়ে মেয়াদি ঋণে রূপান্তরিত হলে ওই ঋণকেও পিআইএফ হিসেবে গণ্য করতে হবে। আমদানি দায় পরিশোধের নিমিত্তে ঋণগ্রহীতার অনুকূলে কোনো কারণে ফোর্সড ঋণ সৃষ্টি হলে ওই ফোর্সড ঋণকেও (যে নামেই থাকুক না কেন) পিআইএফ ঋণপত্রের সীমার আওতায় প্রদত্ত সুবিধা হিসেবে গণ্য করতে হবে।

কোনো গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত পিআইএফ সুবিধা ওভারডিউ হলে ওই গ্রাহককে নতুন করে পিআইএফ সুবিধা দেওয়া যাবে না। তবে নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোনো কারণে পিআইএফ সুবিধা ওভারডিউ হলে খেলাপি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ওই গ্রাহককে পিআইএফ সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন হলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে।

একই গ্রুপভুক্ত বা স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রসহ স্থানীয় ঋণপত্রের বিপরীতে পিআইএফ সুবিধা প্রদান করা যাবে না।

এতে আরও বলা হয়, নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোনো কারণে পিআইএফ সুবিধা পুনর্গঠন ও পুনঃতফসিলিকরণ প্রয়োজন হলে বা মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিটি পিআইএফের জন্য সর্বোচ্চ একবারের সময় বাড়ানো যাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন এবং শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ দিন সময় বাড়ানো যাবে।

Advertisement

ঋণ প্রদান, ঋণ আদায় ও তদারকি করার জন্য পিআইএফ মনিটরিং ইউনিট নামে আলাদাভাবে একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করতে হবে। এই ইউনিট পিআইএফ ঋণ অনুমোদন ও বিতরণে বিদ্যমান বিধি-বিধান যথাযথভাবে পরিপালিত হচ্ছে কি না তা নিয়মিতভাবে তদারকি করবে।

শুভ মাহফুজ

অর্থনীতি

২৬ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৬৮ কোটি ডলার

Published

on

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় বা  রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। গত মার্চের একই সময়ে যা ছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গেল মার্চ মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

১৯ দিনে প্রবাসী আয় ১৪ হাজার কো‌টি টাকা

Published

on

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি  ডলার ১১০ টাকা ) যার পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি

রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে  রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।

গত মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

প্রসঙ্গত, বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে এসেছে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ব্যাংকিং ও বীমা

এবার ব্যাংক এশিয়ার নামে পরিবর্তন

Published

on

বেসরকা‌রি ‘ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড’ এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে এটির নাম হবে ‘ব্যাংক এশিয়া পিএলসি।’ সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে নামের শেষে পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি বা পিএলসি লেখা বাধ্যতামূলক।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ডারে বলা হয়, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের ১২৭ নম্বর আদেশ) এর ৩৭ (দুই) (সি) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) থেকে ‘ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড’ এর নাম ‘ব্যাংক এশিয়া পিএলসি’ করা হয়েছে।

সংশোধিত কোম্পানি আইন ২০২০-এ সীমিতদায় কোম্পানি শনাক্তকরণ সংক্রান্ত ১১ ক ধারা নতুন করে যুক্ত করা হয়। নতুন ধারায় ‘সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে নামের শেষে পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানি বা পিএলসি লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

পাঁচ ব্যাংকের বাইরে অন্য কোনো ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়নি। ব্যাংক কোম্পানিগুলোর নামের শেষেও পিএলসি যুক্ত করতে কোম্পানির নাম ও সংঘস্মারক পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য ব্যাংক এশিয়ার নাম পরিবর্তিত করে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি করা হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এর আগে আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে পিএলসি যুক্ত করা হয়েছে।

 

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version