রূপচর্চা
মজবুত ও লম্বা চুলের জন্য সহায়ক পাঁচ তেল
সৌন্দর্যের অন্যতম প্রধান একটি বিষয় হচ্ছে ঘন, কালো উজ্জ্বল, লম্বা চুল। কাঁধ ছাপানো রেশমের মতো নরম আর মসৃণ চুল অনেকেরই স্বপ্ন। কিন্তু চুল কিছুতেই যেন বাড়তে চায় না! তার মধ্যেই রুক্ষভাব, খুসকির কারণে চুল ভেঙে ঝরে যায়, ডগা ফাটার কারণে বা শেপ নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই কেটে ফেলতে হয় চুল। তাই ভীষণ ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও চুল আর লম্বা করা হয় না! তা ছাড়া চুল মনের মতো দৈর্ঘ্যে পৌঁছোতে যে সময় লাগে, ততদিন ধৈর্য ধরাও মুশকিল হয়ে পড়ে অনেকের কাছে।
তাহলে লম্বা চুলের স্বপ্ন কি অধরাই থেকে যাবে? মোটেই না! চুলের গোড়ায় সঠিক পুষ্টি পৌঁছে দিতে পারলেই চুলের বৃদ্ধি হবে দ্রুত। একই সঙ্গে চুল সঠিক পুষ্টি পেলে মজবুত হবে ফলে ভেঙে ঝরে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যাবে।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা চুলে তেল ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে অনেকেরই চুল পড়ার প্রবণতা অনেক বেশি। তবে যারা লম্বা চুল পছন্দ করেন বা চুল বাড়াতে চান, তাদের অবশ্যই তেল ব্যবহার করতে হবে। কারণ তেল চুলের জন্য ভীষণ জরুরি। যত যত্নেই রাখুন না কেন, সপ্তাহে অন্তত দুইবার চুলের জন্য প্রয়োজন তেল।
চুলের বৃদ্ধির জন্য নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল তো রয়েছেই, পাশাপাশি আরও কিছু তেল ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক ধরনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় দ্রুত।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ঝলমলে মজবুত ও লম্বা চুলের জন্য কোন পাঁচ তেল ব্যবহার করবেন-
অনিয়ন অয়েল
অনিয়ন অয়েল বা পেঁয়াজের তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে। এছাড়া চুল হবে নরম ও মসৃণ। রাতে ঘুমানোর আগে অনিয়ন অয়েল, নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। পরদিন সকালে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন চুল।
মেথি অয়েল
মেথি অয়েলও চুল ঝলমলে করতে ভীষণ কার্যকর। কয়েক ধরনের তেলের সঙ্গে এই তেল মিশিয়ে সামান্য গরম করে চুলে লাগান। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল
চুল পড়া বন্ধ করে চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে এই তেলের জুড়ি নেই। রাতে ঘুমানোর আগে নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। চমৎকার সুগন্ধেও ভালো হয়ে উঠবে মন। পরদিন সকালে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
ক্যাস্টর অয়েল
চুল পড়া বন্ধ করার পাশাপাশি চুল ঘন করতে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন সপ্তাহে অন্তত একবার। নারকেল তেল ও অলিভ অয়েলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে সামান্য গরম করে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে। ঘণ্টাখানেক পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল
চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এই তেল। ফলে চুল বাড়ে দ্রুত। অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আপনি যত ভালোভাবে স্ক্যাল্পে অয়েল ম্যাসাজ করবেন তত আপনার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হবে, ডেডসেলসগুলো দূর হবে, আর নতুন চুল গজাবে। ফলে চুল লম্বা হবে।
এস
রূপচর্চা
তাল শাঁসের শরবত
কয়েদিনের বৃষ্টির পর আবার গরম পড়তে শুরু করেছে। এই সময় আপনি বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন তাল শাঁসের শরবত। যা খেতে খুবই সুস্বাদু। এই শরবত তৈরি করতে হলে আপনাকে বাজার থেকে কিনে আনতে হবে কচি তালের শাঁস। সেই কচি তালের দুটি শাঁসের সঙ্গে পানি মেশাতে হবে ৫ কাপ।
কিংবা কচি তালের শাঁসের খোসা ছাড়িয়ে টুকরা করে নিতে পারেন। এরপর ব্লেন্ডারে পানি ও তালের শাঁস ব্লেন্ড করে রস ছেকে নিতে পারেন।
এরপর মেশাতে হবে লেবুর রস ২ চা চামচ, চিনি, বরফ কুচি। এরপর সেগুলিকে মিক্সিং করতে হবে।
অপর একটি পাত্রে পানি, চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে। এরপর ছেঁকে রাখা তালের শাঁসের সঙ্গে মিশ্রণটিকে মেশাতে হবে।
শেষে বরফের টুকরা মেশালেই তৈরি শরবত। তাহলে আর অপেক্ষা কিসের, বাড়িতেই তৈরি করে ফেলুন এই শরবত।
রূপচর্চা
মেকআপ যেভাবে করলে ঘামেও নষ্ট হবে না সাজ
গরমে ঘামের চোটে ত্বক, চুল ঠিকঠাক রাখতেই হিমশিম খেতে হয়। এই সময় মেকআপ টিকিয়ে রাখাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ঘামে মেকআপ গলে গেলে দেখতে আরও ক্লান্ত লাগে। তাই কোনও পার্টি হোক কিংবা বিয়েবাড়ি, গরমে মেকআপ করতে হবে খুব সাবধানে। এই সময় চড়া মেকআপ ভুলেও করবেন না। হালকা রূপটানেই করুন বাজিমাত। জেনে নিন, গরমে মেকআপ কিটে কী কী বদল আনবেন।
রাতে গাঢ় লিপস্টিক, দিনে কালার লিপ বাম: রাতে কোনও অনুষ্ঠানের জন্য গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। দিনের বেলা কালার লিপ বাম লাগান। ঠোঁটে রঙিন আভাও থাকবে, আর ঠোঁট ময়শ্চারাইজডও থাকবে। পছন্দ মতো ফ্রুটি ফ্লেভারের লিপ বাম বেছে নিন। ওয়াটারমেলন, পিচ, চেরি, মিন্ট ফ্লেভারের লিপ বাম গরমে আপনাকে সতেজও রাখবে।
পাউডার ব্লাশ নয়, ক্রিম ব্লাশ: ঘামে পাউডার ব্লাশ ত্বকে ফুটে উঠলে খুব খারাপ দেখতে লাগে। তাই পাউডার ব্লাশের বদলে ব্যবহার করুন ক্রিম ব্লাশ। মুখে সারা দিনই থাকবে চকচকে ভাব, মনে হবে যেন জেল্লা ফুটে উঠেছে। যাঁরা বেশি ঘামেন, তারা হালকা টিস্যু দিয়ে ঘাম মুছে নিলেও ব্লাশ ঘাঁটবেও না।
ফাউন্ডেশনের বদলে বিবি ক্রিম: দিনে হোক বা রাতে, গরমে ফাউন্ডশন ব্যবহার না করাই ভাল। তার বদলে ব্যবহার করুন লাইট বিবি ক্রিম। ত্বক আর্দ্র রাখবে বিবি ক্রিম। সেই সঙ্গেই ত্বকের খুঁতও ঢাকবে। কিছু কিছু বিবি ক্রিম সানস্ক্রিন হিসাবেও কাজ করে। বিবি ক্রিম সহজেই মুখের ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়, তাই রূপটান করলেও মুখে তার ছাপ বোঝা যায় না।
স্মোকি আইজ়ের বদলে শিমারি টাচ্: স্মোকি আইজ় দেখতে দারুণ লাগে। কিন্তু গরমকালে ডার্ক স্মোকি আইজ়ের বদলে শিমারি আইজ় বেশি মানানসই। গোল্ড, রোজ় গোল্ড শিমার দিয়েই সেরে ফেলুন চোখের সাজ। পার্টিতে এই সাজেই করতে পারেন বাজিমাত।
জেএইচ
রূপচর্চা
তীব্র দাবদাহেও ত্বকে নায়িকাদের মতো জেল্লা পাবেন যেভাবে
সারাদেশে বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। এ অবস্থাতেই আরো ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আর এ আবহাওয়ায় শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি ত্বকেরও বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। তবে মৌসুম ভেদে ত্বকের পরিচর্যার চরিত্রও পরিবর্তিত হয়। গ্রীষ্মের কড়া রোদ, তাপ, দূষণ, ঘামের জেরে ত্বকের সমস্যা শীতকালের তুলনায় আরও বেশি হয়। অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতার কারণে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া, রোদে বেরোলেই শুরু হয় র্যাশ, ট্যান, অ্যালার্জি, সান বার্নের মতো সমস্যা। তাই এ সময় শরীরের মতো ত্বকেরও চাই বাড়তি যত্ন।
তীব্র দাবদাহেও ত্বকে নায়িকাদের মতো জেল্লা পেতে যা করবেন-
বাইরে থেকে ফিরেই মুখ ধুয়ে নিন
গরমে ঘাম হওয়ার কারণে ধুলোবালি ত্বকে জমে থাকে। সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুলে তা সব সময় যায় না। গরমে বাইরে থেকে ফিরে তাই প্রথমেই একটি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তবে বেশি ক্ষারযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার না করে এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন, যাতে ত্বকের কোমল ভাব বজায় থাকে।
টোনার ব্যবহার করুন
গ্রীষ্মকালে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে ব্যবহার করুন টোনার। ত্বক সতেজ রাখতে টোনার ব্যবহার করা প্রয়োজন। গ্রীষ্মকালে ত্বক বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়। তেল জমে ত্বকের ছিদ্রমুখে জমা হয়। জমে থাকা এই তৈলাক্ত উপাদান দূর করতে টোনার দারুণ কাজ করে। গোলাপ জল, জাফরান ও টোনার একসঙ্গে মিশিয়ে রাতে ঘু্মোনোর আগে ত্বকে মাখতে পারেন। ত্বক মসৃণ, নরম ও পরিষ্কার থাকবে।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখুন
গ্রীষ্মকালে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা প্রয়োজন। তাই একটি হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। মাস্ক লাগানোর আগে ত্বক ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। এছাড়াও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে বেশি করে পানি খাওয়া প্রয়োজন।
নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
গ্রীষ্মে বাইরে বেরোনোর আগে ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে নিতে ভুলবেন না। অল্প সময়ের জন্য বেরোলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। চড়া রোদে বেরোনোর আগে সব সময় বেশি এসপিএফের সানস্ক্রিন বেরোনোই ভাল। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে বেশি এসপিএফের সানস্ক্রিন মাখা জরুরি।
রাতে বাড়তি যত্ন
কেবল দিনের বেলায় ত্বকের খেয়াল রাখলে চলবে না, রাতে ঘুমোনোর আগেও ত্বক পরিচর্যার জন্য খানিকটা সময় বার করে নিতে হবে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে সবার আগে ক্লিনজিং অয়েল দিয়ে মেকআপ পরিষ্কার করুন। তারপর ত্বকে ফেস সিরাম ব্যবহার করুন। চোখের তলায় কালি থাকলে নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
-
আইন-বিচার4 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
এশিয়া7 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি7 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
বলিউড7 days ago
আরবাজ-সোহেলের পর বিয়ে ভাঙছে সালমানের বোন অর্পিতার?
-
ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
অপরাধ4 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
খুলনা5 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
টুকিটাকি4 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!