বাংলাদেশ
আল-আকসায় আবারও হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল
পূর্ব জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আজ শুক্রবার ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। এতে অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরা জানিয়েছে, জুম্মার নামাজের পর ফিলিস্তিনিরা আল আকসা মসজিদ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন। মঙ্গলবার কট্টরপন্থী ইসরায়েলিদের মিছিলে মহানবী (সা.) কে অপমানের প্রতিবাদে শুক্রবার এই মিছিলের উদ্যোগ নেন ফিলিস্তিনিরা। এতেই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।
মিছিল করার জন্য ফিলিস্তিনিরা আল আকসা মসজিদের প্রাঙ্গনে জড়ো হয়েছিলেন। পুরনো শহরের দামেস্ক গেট থেকে মিছিল শুরু করার আগেই বাব আল-সিলসিলা নামক একটি প্রবেশপথে ইসরায়েলি পুলিশ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়।
পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে মসজিদের প্রাঙ্গন থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেয় করে।
মিছিলের জন্য শত শত ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিলেন। কট্টরপন্থী ইসরায়েলিদের মিছিলের প্রতিবাদেই এই মিছিলের আয়োজন করেন তারা। মঙ্গলবারের মিছিলে ইসরায়েলিরা ‘আরবদের মৃত্যু’, ‘তোমাদের গ্রাম পুড়ে যাক’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
ইসরায়েলি মিছিলের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে দেখা যায় তারা মহানবী (সা.) এর প্রতি অপমানসূচক আচরণ করছেন।
শুক্রবারের হামলায় লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই’র এক সাংবাদিককে আহত করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। লাতিফেহ আবদেলাতিফ নামের ওই সাংবাদিক পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন।
মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, তাদের এক কন্ট্রিবিউটরও ইসরায়েলি পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন।
এদিকে গত মাসে ১১ দিনের লড়াই শেষে মেনে নেয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার গাজা সিটির উত্তরপশ্চিম এবং বেইত লাহিয়ার উত্তরে বেশ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। তবে এসব হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শুভ মাহফুজ
দুর্ঘটনা
স্টিল মিলে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭
রাজধানী ডেমরায় বাশেরপুল জহির স্টিল মিলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ জন ব্যক্তি দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা আশংকামুক্ত।
শনিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া।
আহত মেকানিক্যাল শিফট ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, তিনিসহ তার টিম নিয়ে গিয়ার নামে ওই যন্ত্রটি খুলছিলেন। এ সময় যন্ত্রটি ওভারহিটের কারণে বিস্ফোরিত হয়। তখন খুব কাছাকাছি থাকায় তার এবং সুজন নামে আরেকজনের বুকে, হাতে আঘাত লাগে। আর কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা বাকিদের শরীরে বিস্ফোরণে গরম বাতাস গিয়ে লাগে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জানান, আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে এবং বাকি চারজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আই/এ
অপরাধ
ক্যাম্পে পুলিশের ওপর হামলা, ৫ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক পুলিশ সদস্যকে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ৫ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার (৩১ মে) রাত ৯টার দিকে শফিউল্যাহ কাটা পুলিশ ক্যাম্পে অভিযানে গেলে এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১ জুন) পৃথক অভিযানে উপর্যুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- নাজির হোসেন, মো. সাকের, নুর ইসলাম, সৈয়দ আলম ও আমেনা খাতুন। এরা সবাই উখিয়ার ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ ব্লকের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
শফি উল্লাহ কাটা পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আমির জাফর বলেন, পুলিশ ক্যাম্পের টহলদল বের হলে মাঠের উত্তর পাশে ৫ থেকে ৭ জন রোহিঙ্গা বসেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের হাতে একটি ওয়ান শুটারগান দেখতে পেয়ে তাকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করেন। একই সময় রোহিঙ্গারাও পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা উখিয়ার ১৬ নম্বর ক্যাম্পের বি/৫ ব্লকের বাসিন্দা সাবেক রোহিঙ্গা নেতা কালুর ছেলে মো. আমিন (২০) চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের শেড থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা দা-লাঠি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে।
কালুর স্ত্রী সেতারা বেগম তার হাতে থাকা দা দিয়ে টহল দলের এপিবিএন কনস্টেবল শাখাওয়াত হোসেনের মাথায় কোপ মারে। এতে মাথার বাম পাশে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হলে তাৎক্ষণিক আহত কনস্টেবল শাখাওয়াতকে উখিয়ার জামতলী এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এএম/
জাতীয়
‘মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোয় জটিলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’
মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এই সংকট তৈরির পেছনে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বললেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
শনিবার (১ জুন) দুপুরে সিলেটে এক মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় পাঁচ লাখের ওপরে কর্মী প্রেরণের জন্য দেশটির সরকার কোটা দিয়েছিল। সেই কোটা পূরণে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের ভিসা হয়নি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বায়রা সেই তালিকা দিতে পারেনি। ফলে ফ্লাইটের সমস্যা হয়েছে।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, পরবর্তী সময়ে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্যও চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো সেই চিঠির উত্তর আসেনি।
এর আগে ভিসা পেয়েও যারা মালয়েশিয়া আসতে পারছেন না, তাদের দ্রুত নেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
প্রসঙ্গত, জটিলতার জন্য ৩০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী ভিসা থাকার পরেও মালয়শিয়া যেতে পারেন নি।
-
বলিউড3 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
-
বাংলাদেশ5 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
ঢালিউড6 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
ঢালিউড3 days ago
উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌর করা যৌতুক মামলায় স্বামীর জামিন
-
বলিউড6 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
বলিউড6 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
-
আবহাওয়া5 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বলিউড3 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!