টলিউড
ইন্দ্রাণীর সঙ্গে হোটেলে যে ‘অসভ্য আচরণ’ করেছিলেন প্রযোজক
বহু নায়ক-নায়িকা লালসার শিকার হয়েছেন প্রযোজক-পরিচালকদের। এই গল্প কিন্তু নতুন নয়। ‘কাস্টিং কাউচ’ এই শব্দটা লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতে ভীষণই চর্চিত।
কানাঘুষো এই সব গল্প শুনলেও প্রকাশ্যে খুব কম নায়িকারা এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারকেও।
পঞ্চাশের গণ্ডি পেরিয়েও দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। শুধু বাংলাতেই নয়, হিন্দি টেলিভিশনেও সফল ইন্দ্রাণী হালদার। বেশ কিছু হিন্দি চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন তিনি। এবার গায়ে কাঁটা দেওয়া অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন সবার প্রিয় মামণিদি।
টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিতে তার হয়ে গেল প্রায় ৩৪ বছর। অভিজ্ঞতার ঝুলি পরিপূর্ণ। সেই ঝুলি থেকেই বার হলো এমনই এক তিক্ত স্মৃতি।
মুম্বাই যাওয়ার স্বপ্ন কার থাকে না? তেমনই ক্যারিয়ারের শুরুতে মুম্বাইয়ে কাজের সুযোগ এসেছিল তারও। সেই ছবির প্রযোজক কী করেছিলেন, সেই ভয়াবহ ঘটনা এখনও তার স্মৃতিতে টাটকা। সেই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এখনও হাত-পা কেঁপে ওঠে তার।
ইন্দ্রাণী জানান, তখন আমার বয়স ২০। আমার সঙ্গে শুটিংয়ে মা-বাবাও যেতেন। শুটিংয়ে প্রথম শিডিউলে আমার মা গিয়েছিলেন। দুজনকে ভালো হোটেলে রাখা হয়। কিন্তু সমস্যাটা হয় দ্বিতীয় শিডিউলে। সেই সময় আমার সঙ্গে বাবার যাওয়ার কথা। আমার টিকিটটা সকালে কাটা হল। আর বাবারটা বিকেলে। শুধু তাই নয়, এ বারে যে হোটেলে আমাদের থাকতে দেয়া হয়েছিল সেটা দেখেই মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। এই কথা বলতে বলতেই হাত-পা রীতিমতো কাঁপতে শুরু করে ইন্দ্রাণীর।
তিনি আরও বলেন, যে দিন আমরা মুম্বাই পৌঁছই, সে দিন আমার কোনও কাজই ছিল না। আচমকাই দুপুরে প্রযোজক ফোন করে বলেন দুপুরে আমার সঙ্গে কথা বলতে আসবেন। তা শুনেই আমি ঘাবড়ে যাই। বুঝতে পারছিলাম না, কেন উনি আসছেন। তার পর সময় গড়াতেই সবটা স্পষ্ট হল। উনি রুমে ঢুকেই আমার সঙ্গে অসভ্যতা করার চেষ্টা করেন। নিজের জামাকাপড় খোলার চেষ্টা করেন। আমার হাত ধরেও টানাটানি শুরু করেন।
ইন্দ্রাণী হালদার জানান, ‘আমি বারবার করে বলেছিলাম এটা করবেন না প্লিজ। আমি এভাবে কখনও কাজ পাই নি পেতে চাইও না।’ প্রযোজক পালটা বলেন, ‘তুম বাঙালি লড়কি তুমকো হাম বড়া হিরোইন বানাগেয়া, বড়া বড়া হিরোইন হামারে কদমোমে রহতা হ্যায়’। (তুমি বাঙালি হিরোইন,তোমাকে আমি অনেক বড় অভিনেত্রী তৈরি করব বলিউডের, অনেক নামীদামী হিরোইনরা আমার পায়ের তলায় থাকে)। দৃঢ় কন্ঠে নায়িকা বলেন, ‘হতে পারে বড় বড় হিরোইন আপনার পায়ের তলায়। কিন্তু আমি এভাবে কাজ করিনি, আমাকে কলকাতা থেকে ডেকে এনে কাজ দিয়েছেন কোনও সমঝোতা বা কম্প্রোমাইজ আমি করব না।’
এরপর মনে মনে ঈশ্বরকে ডাকতে থাকেন ইন্দ্রাণী, আর বলেন, ‘ভগবান, আজ কি আমি ধর্ষণের শিকার হব!’ প্রযোজক তখন নিজের জামাকাপড় খুলতে শুরু করেছেন, ওমনি তাঁর ফোন বেজে উঠে। ফোনটি করেছিলেন ওই প্রযোজকের স্ত্রী। ইশারায় ইন্দ্রাণীকে চুপ করে থাকতে বলছিলেন প্রযোজক, দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেন নায়িকা।
এরপর হোটেল রুম থেকে চলে যান প্রযোজক, শুধু বলে যান- ‘তুমহারা কুছ নেহি হোগা, তুম বেকার হো একদম’।
এই ঘটনার পরও কিন্তু পরবর্তী কালে মুম্বাইয়ের ধারাবাহিকে দর্শক দেখেছেন ইন্দ্রাণীকে। কয়েক যুগ পেরিয়ে এখন তিনি সফল।
টলিউড
‘প্রথম কামড়েই ভালোবাসা!’ কিসের প্রেমে মজলেন নুসরত
“প্রথম কামড়েই ভালোবাসা।” লিখে ইন্সটাগ্রাম দুষ্টু মিষ্টি ছবি পোস্ট করে রোববার বিকেলে নেটপাড়াকে ঘায়েল করলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
সেখানে দেখা গেল আমের প্লেট হাতে নুসরত। নিজেই আম-প্রেমের কথা শেয়ার করে লিখলেন, “প্রথম কামড়েই ভালোবাসা।” ‘আমপর্বে’র মাঝে আবার অনুরাগীদের উদ্দেশেও নুসরত প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, “আপনারা কতটা আম ভালোবাসেন?” ব্যস অমনি পোস্টের কমেন্ট বক্সে ভক্তদের ভালোবাসার জোয়ার!
ডায়েটের কথা মনে করালে নুসরত পালটা বললেন, “আজ তো রবিবার।” পরনে মভ রঙের ঢিলেঢালা শার্ট। হাতে ধরা প্লেটে আমের টুকরো। আসলে গ্রীষ্মকাল মানেই তো ‘আম রাজত্ব’। নুসরতও সেই প্রেম থেকে বাদ গেলেন না। অন্যদিকে ছুটির দিনে সঙ্গী যশও চিট ডে কাটাচ্ছেন। পেস্ট্রি হাতে ছবি দিয়েছেন তিনিও।
রাজনীতির ‘গ্ল্যামার গার্ল’ এখন নিজস্ব দুনিয়ায় ব্যস্ত। বসিরহাটের বিদায়ী সাংসদ গত পাঁচ বছরে বারবার নিজস্ব সংসদীয় কেন্দ্রের জমা বিতর্কের আগুনে ‘ঠান্ডা’ পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনায় জড়িয়েছেন। ফ্ল্যাট দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছিল তার। বিতর্ক যেন চিরসঙ্গী নুসরত জাহানের। তবুও তিনি ডোন্ট কেয়ার! বরাবর নিজের শর্তে চলেছেন।
চলতি লোকসভা ভোটে অভিনেত্রীর নির্লিপ্ত থাকা নিয়েও গোড়ার দিকে কম কটাক্ষ করেনি বিরোধী শিবিরগুলো। একপ্রকার নুসরতের টিকিট না পাওয়ার বিষয়টা যেন আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তবে সেসবে ভ্রুক্ষেপ নেই তার। নিজের মতো করে জীবন কাটাচ্ছেন নুসরত জাহান। আদ্যোপান্ত সংসার-কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বর্তমানে তিনি।
এসি//
টলিউড
অনন্যাকে ছেড়ে মধ্যরাতে শ্রদ্ধার বাড়িতে আদিত্য, তবে কি পুরনো প্রেমে মজলেন
২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘আশিকি ২’। ২০১২ সালে শুরু হয়েছিল সেই ছবির কাজ। শোনা যায়, ছবির সেটে একসঙ্গে কাজ করার সময় নাকি একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন আদিত্য ও শ্রদ্ধা। ছবিতে ধরা পড়েছিল তাদের সম্পর্কের রসায়ন। ছবির প্রচারেও একে অপরের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা যেত সেই সময়ের চর্চিত যুগলকে। তবে সেই সম্পর্কের মেয়াদ ছিল মাত্র বছর দুয়েক। এরপরই পথে হাঁটেন আদিত্য ও শ্রদ্ধা।
এর পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক দশক। এখন বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডের প্রেমে মজেছেন আদিত্য। অন্য দিকে, সহকারী পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার রাহুল মোদির সঙ্গে শ্রদ্ধার প্রেমের কানাঘুষো শোনা গেছে বলিপাড়ায়।
তবে এখনও নাকি ‘বন্ধু’ শ্রদ্ধাকে নিয়ে যে বেশ ‘পজ়েসিভ’ আদিত্য! এবার মধ্যরাতে আদিত্যের আগমন ফের উস্কে দিলো সেই জল্পনা।
বিচ্ছেদ পরও বন্ধু হিসাবেও এখনও শ্রদ্ধাকে রীতিমতো আগলে রাখেন আদিত্য। অন্য দিকে দিন কয়েক আগে সম্পর্কে ভাঙন নিয়ে হেঁয়ালিভরা পোস্ট দেন অনন্যা। এবার শ্রদ্ধার বাড়ি থেকে আদিত্যের গাড়ি বেরোতে দেখেই শুরু জল্পনা। তবে শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর বর্তমান প্রেমিক রাহুল নিজে চিত্রনাট্যকার। সম্ভবত তিনি শ্রদ্ধা ও আদিত্যকে নিয়ে নতুন কোনও ছবির পরিকল্পনা করছেন, তার কথাবার্তা বলতেই হয়তো এসেছিলেন আদিত্য।
জেএইচ
টলিউড
৫০তম সিনেমা নিয়ে পর্দায় ফিরছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা
বছরের পর বছর ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা ও প্রসেনজিৎ। এতক্ষণে নিশ্চয়ই আঁচ করতে পেরেছেন কাদের নিয়ে বলছি। এই জুটি হলো সর্বস্তরের মানুষের জনপ্রিয় ‘দাদা-দিদি’—প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
টানা ১৪ বছর তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। একসঙ্গে দাঁড়াননি লাইট-ক্যামেরার সামনে, কাজ করেনি দীর্ঘ সময় মনোমালিন্য, মতের অমিল বা অভিমান নিয়ে। অথচ একসময় টলিউড সিনেমার জগতে এই জুটি ছাড়া সিনেমার কথা ভাবাই যেত না।
নেটিজনদের মুখে শোনা যায় , ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক নায়ক–নায়িকার জনপ্রিয় না হওয়ার পেছনেও এই জুটিই দায়ী ছিলো । কারণ, হিট জুটিকে ছাড়া অন্য কারও দিকে নজরও পড়ত না পরিচালকদের। আবার তাঁদের সুসম্পর্কই দীর্ঘদিন ধরে টলিউডে রাজ করার অন্যতম কারণও বটে।
আফসোসে পড়ে যান দর্শক-পরিচালকেরা। কিন্তু এই জুটির বরফ গলেছিল আরও আগেই। পুরোনো সিনেমার মাধ্যমে তাঁরা আবার পর্দা ভাগ করেছেন। ১৪ বছর পর ‘কামব্যাক’চলচ্চিত্রে আবারও হিট প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাজুটি।
এরপর জুটিবদ্ধ হয়ে আরেকটি সফল সিনেমা ‘দৃষ্টিকোণ’।লুফে নিয়েছিলেন ভক্তরা।যেন আবারও প্রাণ সঞ্চার হলো ভক্তদের
এবার নিজেদের ৫০তম সিনেমায় জুটি বাঁধছেন তাঁরা।সিনেমার ফাস্ট লুকও প্রকাশিত হয়েছে। অভিমান ভাংগনের পর বাংলা সিনেমার দুই মেগাস্টারের হ্যাটট্রিক সিনেমার নাম ‘অযোগ্য’।পরিচালনায় কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গল্পটা চেনা আটপৌরে বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের, ব্যাংক কর্মী রক্তিম মজুমদার এবং তাঁর স্ত্রী পর্ণার।
সংসারের বাঁকবদল ঘটে রক্তিমের চাকরি চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। বাড়িতে থাকার পাশাপাশি সংসারে সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্বও নিতে হয় তাঁকে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক অবস্থা ফেরাতে পর্ণাকেও ইনভেস্টমেন্ট ফার্মে কাজ নিতে হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারাটি আবার উঠে দাঁড়াতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে সিনেমায়।
জেড/এস
-
এশিয়া19 hours ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি22 hours ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
জাতীয়6 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড7 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
ঢাকা6 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
ঢালিউড3 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
-
চট্টগ্রাম3 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন