আফ্রিকা
করোনা মোকাবিলায় ৪২ দিনের লকডাউনে উগান্ডা
করোনার সংক্রমণ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডায়। পরিস্থিতি উত্তরণে ৪২ দিনের লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসাভেনি। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে এক ভাষণে বলেন, মৃত্যুর খবর শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব অ্যামেরিকা জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার করোনায় আরও ৪২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে উগান্ডার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সময়ে দেশটিতে এক হাজার ৫৬৪ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানানো হয়।
শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট মুসাভেনি বলেন, আগেকার আন্তঃশহর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে উগান্ডার জনগণ। এখন থেকে গ্রামে গ্রামে পরিবার ও তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য রেকর্ড করবে প্রতিটি গ্রামের সম্প্রদায়ভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীরা।
মুসাভেনি আরও বলেন, সব আন্তঃশহরে ৪২ দিন সরকারি ও ব্যক্তিগত পরিবহণ চলাচল বন্ধ রাখা হবে। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ৩০ জুলাই পর্যন্ত উগান্ডাবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে। এর আগেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে অবশ্য ভিন্ন কথা।
প্রেসিডেন্ট মুসাভেনির নির্দেশের সমালোচনা করেছেন সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল গভর্ন্যান্সের নির্বাহী পরিচালক সারাহ বিরেতে। তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ঘোষণা কেবলই আশ্বাস, এটি বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।
সারাহ বিরেতে আরও বলেন, একে একটি ভালো পদক্ষেপ মনে হলেও কোনো বাজেট নেই, কোনো সক্ষমতা নেই, কোনো ব্যবস্থা নেই। আমাদের ব্যবস্থাপনা যেরকম বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে, সে হিসেবে এই পদক্ষেপ মানুষের জীবন আরও ঝুঁকিতে ফেলবে। যখন আপনি দেখবেন, পরিবহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আপনি জানেন, মানুষ স্থানীয় প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোর সঙ্গে নিজেদের জড়াতে চায় না এবং মানুষের প্রতি তাদের আচরণগত বিষয়গুলোকে ভালো চোখেও দেখে না। অনেক মানুষ, এই বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যেতে চায় না, তাদের নীরবে মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসএন
আফ্রিকা
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবে ৫৮ জনের মৃত্যু
আফ্রিকার দেশ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে ৩০০ আরোহী নিয়ে ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। ধারণক্ষমতার অতিরিক্তি যাত্রী বহন করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরি ডুবে যাওয়ার পর কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নৌযানটিতে থাকা ৩০০ জনের বেশিরভাগই গেলো শুক্রবার একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়।
বিবিসি বলছে, রাজধানী বাঙ্গুইয়ের কাছে এমপোকো নদীতে ফেরিডুবি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ফেরিডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন।
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নৌকাডুবির জেরে এমন বিপর্যয়ের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।
টিআর/
আফ্রিকা
কলেরা থেকে বাঁচতে গিয়ে নৌকা ডুবে ৯০ জনের মৃত্যু
মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে ফেরি ডুবে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। দেশটির নামপুলা প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজে থাকা ১৩০ জনের মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে।
সেক্রেটারি অফ স্টেট জেইম নেটো জানান, তারা কলেরা প্রাদুর্ভাব থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। নামপুলা নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। বোটটি লুঙ্গা থেকে মোজাম্বিক দ্বীপে যাচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে দেখা যায় একটি সৈকতে বেশ কজনের লাশ পড়ে আছে। তবে ওই ভিডিওর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গেলো বছরের জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে নামপুলা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউনিসেফের হিসেবে, চলামন প্রাদুর্ভাব গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মোজাম্বিকে অন্তত ১৩ হাজার ৭০০ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ জন মারা গেছেন।
আফ্রিকা
সেতু থেকে ১৬৫ ফুট নিচে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫
যাত্রীবাহী একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) নিচে খাদে পড়ে যায় এবং মুর্হূতের মধ্যে এতে আগুন ধরে যায়। এতে চালকসহ বাসের ৪৫ যাত্রীই নিহত হন। তবে গুরুতর আহত অবস্থায় বেঁচে ফেরে ৮ বছর বয়সী একটি শিশু।
তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে শিশুটি। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিম্পোপো রাজ্যে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে সেতু থেকে নিচে পড়ে যায়। এরপর খাদে পড়ে গোটা বাসে আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে। জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘটনাস্থলটি। দুর্ঘটনার শিকার সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, বাসটি পথিমধ্যে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে অবস্থিত মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথের একটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ অবস্থায় সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। খাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনও ধরে যায় বাসটিতে।
দেশটির পরিবহনমন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় স্বজনহারা পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এই কঠিন সময়ে আপনাদের প্রতি আমাদের প্রার্থনা রয়েছে।
-
জাতীয়4 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড5 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ6 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা4 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়6 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
ঢালিউড1 day ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
-
চট্টগ্রাম1 day ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত