Connect with us

চট্টগ্রাম

মৃত সাজিয়ে জমি নিয়েছে নাতি, আদালতে জীবিত দাদি

Avatar of author

Published

on

নিজের দাদি এবং বাবাকে মৃত সাজিয়ে প্রায় ৫১ শতক জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তারিফ হোসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দলিল জালিয়াতির একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

গেলো ২৬ অক্টোবর দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, ৭৫ বছর বয়সী শরীফা খাতুন মিরসরাই উপজেলার ৯ নম্বর সদর ইউনিয়নের ৫১ শতক জমির মালিক। শুরুতে তিনি মৃত বলে ওয়ারিশ সনদ বানানো হয়। সনদটিতে তার মেয়ের নাম বাদ দিয়ে একমাত্র ছেলে নিজাম উদ্দিনের নাম উল্লেখ করা হয়। এরপর ওই নিজাম উদ্দিনকেও মৃত ঘোষণা দিয়ে আরেকটি ওয়ারিশ সনদ বানানো হয়। ওই সনদে নিজাম উদ্দিনের দুই ছেলে এবং স্ত্রী উত্তরাধিকার বলে উল্লেখ করা হয়। যদিও নিজাম উদ্দিনের দুই মেয়ে রয়েছে। এরপর নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী এবং এক ছেলের সম্পত্তি বড় ছেলে তারিফ হোসেনকে হেবা (দান) করে দিয়েছেন বলে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বানানো সেই দলিল দিয়ে বৃদ্ধা শরীফা খাতুনের সম্পত্তি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় থেকে নামজারি করে নেয়া হয়।

এ ঘটনা জানতে পেরে কোনো উপায় না দেখে মৃত সাজানো বৃদ্ধা শরীফা খাতুন দ্বারস্থ হন আদালতের। বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে নিজে জীবিত আছেন বলে জানান। মামলায় নাতি তারিফ হোসেন (২৪), শরীফুল ইসলাম (১৯) এবং পুত্রবধূ কামরুন নাহারকে (৪৫) বিবাদী করেন শরীফা খাতুন।

এদিকে মামলার আবেদন শুনে ও নথি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এক মাসের সময় বেঁধে দেন আদালত। তবে চাঞ্চল্যকর এই মামলা দায়েরের দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনও দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। উল্টো বাদীকে ঘনঘন পিবিআই অফিসে না আসার জন্য বলেন তদন্ত কর্মকর্তা।

তবে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ অস্বীকার করে কার্যক্রম চলমান আছে বলে দাবি করেন।

Advertisement

স্থানীয়দের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে ও ভুক্তভোগী বৃদ্ধার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শরীফা খাতুনের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সদর ইউনিয়ন এলাকায়। ১৯৮৫ সালে তার স্বামী রেনু মিয়া নিজের পৈতৃক বাড়ি বিক্রির টাকার কিছু অংশ দিয়ে মোট ১৪৫ শতক জমি ক্রয় করেন। এসবের মধ্যে স্ত্রী শরীফা খাতুন ও ছেলে নিজামের নামে ৫১ শতক করে কেনেন। বাকী ৪৩ শতক রাখেন নিজের নামে। এরপর ২০২০ সালে নিজের অংশ মেয়ে নুরজাহান বেগমকে হেবা করে দেন তিনি। ৫১ শতক জমি নিজাম নিজে ভোগ করে আসছে। আর ৫১ শতাংশ মা শরীফা খাতুনের দখলে ছিল। এরপরই সেই জমিতে নজর পড়ে নিজাম উদ্দিনের ছেলে তারিফ হোসেন ও তার মা কামরুন নাহারের।

নথি পর্যালোচনা করে আরও দেখা যায়, ৫১ শতক জমি নিজের করতে শুরুতে শরীফা খাতুন মৃত বলে ওয়ারিশ সনদ বানান তারিফ। মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলতি বছরের ১৫ মে ইস্যু করা হয় ওই সনদ। ১০৪/২২ নম্বরের সনদটিতে শরীফা একমাত্র ছেলে নিজাম উদ্দিনকে উত্তরাধিকার রেখে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। সে হিসেবে ৫১ শতক জমির মালিক হন নিজাম। যদিও শরীফা খাতুনের নুরজাহান নামে এক মেয়ে রয়েছেন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে নিজাম উদ্দিনকে মৃত সাজিয়ে আরেকটি ওয়ারিশ সনদ বানানো হয়। ১৫ মে তারিখে সনদটিও মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইস্যু করা হয়। ১০৫/২২ নম্বরের সনদটিতে নিজাম উদ্দিন মৃত্যুকালে স্ত্রী কামরুন নাহার, ছেলে তারিফ হোসেন ও শরীফুল ইসলামকে উত্তরাধিকার রেখে গিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। যদিও নিজাম উদ্দিনের তাহমিনা আক্তার ও ফাহিমা আক্তার নামে দুই মেয়ে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

ওয়ারিশ সনদ দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম বলেন, সনদ দুটি কোনো দোকান থেকে স্ক্যান করে বানানো হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এরকম কোনো সনদ দেয়া হয়নি। পরিষদ থেকে দেয়া ১০৪/২২ নম্বর ওয়ারিশ সনদটি মৃত উজ্জ্বল মিয়ার। এছাড়া ১০৫/২২ নম্বর সনদটি মৃত বিবি সলিমার উত্তরাধিকারদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেয়া হয়েছে। এই দুটি সনদের ফটোকপি আমি শরীফা খাতুনকে দিয়েছি।

এদিকে, দুটি ওয়ারিশ সনদ বানিয়ে শরীফা খাতুনের সম্পত্তির মালিক বনে যান তারিফ হোসেন, তার ভাই শরীফ এবং মা কামরুন নাহার। এরপর ২২ মে স্থানীয় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে গিয়ে কামরুন নাহার ও তার ছেলে শরীফের অংশ তারিফকে দান করে দেন। ২৯০৬ নম্বর দান ঘোষণাপত্র অনুযায়ী- ৫১ শতক জমির মালিক হয় তারিফ। একপর্যায়ে তারিফ এসব জমি নিজের নামে খতিয়ান সৃজন করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে আবেদন করেন। কোনোপ্রকার তদন্ত ছাড়া আবেদন মঞ্জুর হলে তারিফ হোসেনের নামে ৩০৯৭ নম্বর খতিয়ান সৃজন হয়।

Advertisement

জানতে চাইলে হেবা দলিল লেখক খোরশেদ আলম বলেন, আমি আট বছর ধরে দলিল লিখি। এ ধরনের ওয়ারিশ সনদ জাল করার ঘটনা এবারই প্রথম। আমার কাছে তারিফ এবং তার মা কামরুন নাহার এসে দলিলটি লিখিয়েছেন। আমি কাগজপত্র অনুযায়ী লিখে দিয়েছি। ওয়ারিশ সনদ জাল ছিল আমি জানতাম না। পরে শুনি নিজাম উদ্দিন এবং শরীফা খাতুন দুজনেই জীবিত আছেন।

তদন্ত ছাড়া তারিফের নামজারি আবেদন অনুমোদনের বিষয়টি জানতে মিরসরাইয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান ও একই কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. তোফায়েল আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তারিফের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে তাদের পারিবারিক নম্বরে ফোন করলে অভিযুক্তর ছোট ভাই শরীফুল ইসলাম রিসিভ করেন। তিনি শুরুতে ঘটনার বিষয়টি অবহিত নয় বলে দাবি করেন। এমনকি পিবিআইয়ের কাছে তদন্তে থাকা মামলার বিষয়টিও অবহিত নন বলেও দাবি করেন।

তবে কথাবার্তার একপর্যায়ে তিনি জানান, এরকম নামজারি হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। এক প্রতিবেশী থেকে আমরা ১০ লাখ টাকা পাই। তিনি হয়তো আমাদের ফাঁসানোর জন্য জালিয়াতির কাজটা করতে পারেন। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে ভূমি অফিস থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আমরা তাদের বলেছি- জায়গাটি নিয়ে আমাদের কোনও দাবি নেই। এরপর শুনেছিলাম বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।

Advertisement

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শরীফা খাতুন বলেন, বৃদ্ধ স্বামীকে নিয়ে আমি মেয়ের বাড়িতে থাকি। ছেলের বউ ও নাতিরা মিলে জাল দলিল করে আমার সম্পত্তি লিখে নিয়েছে। এই বুড়ো বয়সে আমাকে আদালত ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। পিবিআই অফিসেও আমরা দুইবার গেছি। কিন্তু তেমন সাড়া পাচ্ছি না।

পিবিআইয়ের তদন্তে ধীরগতির বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে শরীফা খাতুনের আরেক নাতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালত পিবিআইকে একমাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দিয়েছেন। আমরা দুইবার তাদের অফিসে গিয়েছিলাম। তবে দ্বিতীয়বার যাওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের ঘনঘন অফিসে যেতে বারণ করেন। কেন করেছেন জানি না। আমরা চাই পিবিআই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন এবং আমরা ন্যায়বিচার পাব।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম দিদার উদ্দিন বলেন, আমার মৃত সাজানো মক্কেল শরীফা খাতুন জীবিত। তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে মামলাটি করেছেন। এই ধরনের চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্ত করতে পিবিআইকে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। আদালতের আদেশ মোতাবেক যথাসময়ের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন দাখিল করা উচিত ছিল। যাই হোক ন্যায়বিচারের স্বার্থে পিবিআই সুষ্ঠু প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে দাখিল করবে বলে আশা করছি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটে কর্মরত পরিদর্শক মো. আকতার হোসেন বলেন, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। বাদীপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বাদী যেহেতু বৃদ্ধা, তাই ঘনঘন অফিসে আসতে মানা করেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে চিঠির উত্তর এলে বিবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তাদের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে যাবতীয় প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, মনে হচ্ছে এ ধরনের জালিয়াতিতে স্থানীয় একটি চক্র জড়িত। ওই চক্রটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। যেহেতু জালিয়াতি মামলাটি দালিলিকভাবে প্রমাণ করতে হবে, সেজন্য বাদীপক্ষকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

চট্টগ্রাম

রিসোর্টে পর্যটক তরুণীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

Avatar of author

Published

on

রিসোর্টে

কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতের একটি রিসোর্টে গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে এক পযটক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি ঢাকা কাফরুলের ইব্রাহিমপুর এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মোহাম্মদ নিজামকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে। নিজাম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কদমতলীর শামসুল হকের পত্র।

জানা গেছে, গেল ১৫ এপ্রিল আরেক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণী ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন।

এ বিষয়ে জানতে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযুক্ত নিজামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে বুধবার বিকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি সন্ধ্যায় ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন।

এ ঘটনায় উখিয়া থানায় বুধবার নাজিমকে আসামি করে নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধিত ২০২০) এর ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী।

Advertisement

মামলার এজাহারে বলা হয়, এক বান্ধবীকে নিয়ে মামলার বাদী গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসেন। উঠেন উখিয়ার ইনানী সৈকতের লা বেলা রিসোর্টের ‘রোজ’ কটেজের নিচ তলার ৪০২ নং কক্ষে। তাঁদের সঙ্গে আসেন এক মাস আগে পরিচিত ব্যক্তি মোহাম্মদ  নিজাম। তিনি উঠেন পাশের ৪০১ নং কক্ষে। নিজাম মামলার বাদীর সাথে আসা বান্ধবির পূর্ব পরিচিতি ছিলেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বান্ধবী সৈকত ঘুরতে যান। মাথা ব্যাথা জনিত কারণে বাদী ৪০২ নং কক্ষে অবস্থান করছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নিজাম ওই কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন।

তার আত্মচিৎকারে হোটেলে লোকজন এগিয়ে এলে নিজাম পালিয়ে যান। পরে জরুরি সেবার ৯৯৯-নম্বরে কল দিলে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে  বাদীকে উদ্ধার করে। পুরে পুলিশ ইনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাজিমকে গ্রেপ্তার করে।

লা বেলা রিসোর্টের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, ১৫ এপ্রিল দুপুরে রিসোর্টে এসে নিজাম দুইটি এসি কক্ষ ভাড়া নেন। ৪০২ নং কক্ষে উঠেন ২ নারী। নিজাম উঠেন পাশের ৪০১ কক্ষে। নিজাম এসময় দুই তরুণীকে চাচাতো বোন পরিচয় দেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ধানের খলা দখল নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

Avatar of author

Published

on

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী, পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহতদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ আশেপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাঞ্চন গ্রুপ ও জিয়াউল আমিন গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে সকালে কাঞ্চন গ্রুপের মান্নান মিয়ার সঙ্গে জিয়াউল আমিন গ্রুপের রশিদ মিয়ার ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় একজন এসআই সহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

শায়েস্তা করতেই বন কর্মকর্তাকে হত্যা : র‍্যাব

Avatar of author

Published

on

পাহাড় কেটে মাটি পাচার রোধে কক্সবাজারের উখিয়ায় ধারাবাহিক অভিযান চালান বন বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে মাটি খেকোরা।  সর্বশেষ অভিযানের দিনই  পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে হত্যা করে মাটি খেকোরা। সাজ্জাদুল হতাকাণ্ডের ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১৫।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) কক্সবাজারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হরিণমারা বন অঞ্চলের দায়িত্বপূর্ণ বিট কর্মকর্তা ছিলেন। গত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান অনেকগুলো অভিযান পরিচালনা করে পাঁচটি মাটি কাটার ড্রেজারসহ কয়েকটি ডাম্পার আটক করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিরুদ্ধে বন আইনে কয়েকটি মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৯ মার্চ বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ তার নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বন বিভাগের আরও কয়েকজন সদস্য নিয়ে একটি অভিযান পরিচালনা করে পাহাড়ের মাটি বোঝাই করা অবস্থায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ড্রাইভার কামালের একটি ডাম্পার আটক করেন এবং এই ঘটনায় কামালসহ চারজনের বিরুদ্ধে বন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ফলে কামালসহ অন্যান্য আসামীরা বন কর্মকর্তা সাজ্জাদের উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন। এ চক্র আরও কয়েকজন বন কর্মকর্তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।’

এ র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩১ মার্চ রাতে চালক বাপ্পি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ড্রাইভার কামালসহ দুজন হেল্পারকে সঙ্গে করে সৈয়দ আলমের মালিকানাধীন একটি ডাম্পার নিয়ে পাহাড়ের মাটি কাটার উদ্দেশ্যে বের হন। ডাম্পারের মালিক সৈয়দ আলম বন কর্মকর্তাদের আগমনের উপর নজরদারি রাখার জন্য একটি বাজারে অপেক্ষা করতে থাকে। ইতোমধ্যে পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে সাহসী বন কর্মকর্তা সাজ্জাদ বন বিভাগের আরেক সদস্য মো. আলীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন। বাপ্পি ও কামাল মাটিবোঝাই ডাম্পার নিয়ে ফেরত আসার সময় স্থানীয় ফরিদ আহম্মদের দোকানের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে বন কর্মকর্তা সাজ্জাদকে আসতে দেখে। তখন ডাম্পারের ড্রাইভার বাপ্পির পাশে বসে থাকা কামাল পূর্ববর্তী ঘটনার আক্রোশের জেরে এবং পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক গাড়ি না থামিয়ে বন কর্মকর্তাকে গাড়িচাপা দেয়ার জন্য বাপ্পীকে নির্দেশ দেন। বাপ্পি গাড়ি না থামিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী সাজ্জাদ ও তার সহযোগীকে গাড়ি চাপা দেয়। ফলে ডাম্পারের চাপায় মাথায় গুরতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই সাজ্জাদ মৃত্যুবরণ করেন এবং সাথে থাকা সহযোগী মোহাম্মদ আলী আহত হন।

Advertisement

র‍্যাব জানায়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে  সাজ্জাদুজ্জামান হত্যার পরিকল্পনাকারী মো. কামাল উদ্দিনকে (৩৯) চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকা থেকে এবং সহযোগী হেলাল উদ্দিনকে (২৭) উখিয়ার কোটবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তারা সাজ্জাদুজ্জামানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং কীভাবে হত্যার পরিকল্পনা করে তাও জানান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, হরিণমারা এলাকায় স্থানীয় হেলাল, গফুর ও বাবুলের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে আসছে। চক্রের অধীনে প্রায় ১০ থেকে ১২টি ডাম্পার ও কয়েকটি মাটিকাটা ড্রেজার রয়েছে। তারা রাতের অন্ধকারে বন কর্মকর্তাদের অগোচরে পাহাড়ের মাটি কেটে এনে প্রতি ডাম্পার ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিভিন্ন লোকজনের নিকট জমি ভরাট করার জন্য বিক্রি করে থাকে।

প্রসঙ্গত, বন কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে  ১৫ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দুজনই এজাহারনামীয় আসামি এবং দুজনকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আইন-বিচার2 hours ago

শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সহকারী অধ্যাপক রিমান্ডে

যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষিকার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বেসরকারি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রশিদ কামালের (৪০) চারদিনের রিমান্ড...

জাতীয়3 hours ago

ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, হচ্ছে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। আসছে সোমবার( ২২ এপ্রিল) তিনি ঢাকায় পৌঁছবেন...

জাতীয়4 hours ago

আজ যারা বন্ধু, কাল তারা বন্ধু থাকবেন এমন নয়: সেনাপ্রধান

‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা করা প্রয়োজন, তা অবশ্যই করা হবে। তবে দেশটির সামরিক নেতাদের সঙ্গে সখ্য ঝুঁকিপূর্ণ।...

বাংলাদেশ6 hours ago

মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর: ‘চমক’ নেই, অভিমত বিশ্লেষকদের

বাংলাদেশে আবারও আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল।  গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দ্বিতীয় বারের মতো বাইডেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের...

জাতীয়7 hours ago

সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত বিআরটিএ’র

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সব মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও সড়কে...

জাতীয়8 hours ago

আসছেন না ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, যেকারণে স্থগিত হলো ঢাকা সফর

আসছে শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা সফরে আসছেন না ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা।  এক দিনের সফরে ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী...

জাতীয়9 hours ago

‘চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষায় আইন পাস করা হবে’

আমি যেমন চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবো তেমনি রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমার দায়িত্ব। আমি চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, রোগীদেরও মন্ত্রী। দুজনের সুরক্ষা...

অর্থনীতি10 hours ago

৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: রেহমান সোবহান

‘স্বাধীনতার পর ৫০ বছরে বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো।এই সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে আর্থ-সামাজিক উত্তরণ ঘটেছে।’ বললেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা...

বাংলাদেশ11 hours ago

নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন

নিজ বাহিনী বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এখনো মঈনের স্থলাভিষিক্ত...

আইন-বিচার11 hours ago

কুকি চিনের ৫৩ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি, টাকা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার করা মামলায় আটক কেএনএফের ৫৭ জনকে বান্দরবান চিফ...

Advertisement
আইন-বিচার2 hours ago

শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সহকারী অধ্যাপক রিমান্ডে

জাতীয়3 hours ago

ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, হচ্ছে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা

জাতীয়4 hours ago

আজ যারা বন্ধু, কাল তারা বন্ধু থাকবেন এমন নয়: সেনাপ্রধান

বাংলাদেশ6 hours ago

মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর: ‘চমক’ নেই, অভিমত বিশ্লেষকদের

প্রবাস6 hours ago

বাংলাদেশ-আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী

আন্তর্জাতিক7 hours ago

ভারতে ৫৪৩ আসনে ৭ দফায় ভোট, বিজেপির টার্গেট ৩৭০ আসন

ঢালিউড7 hours ago

পদপ্রার্থী নিপুণের অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস

জাতীয়7 hours ago

সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে নতুন সিদ্ধান্ত বিআরটিএ’র

ঢাকা8 hours ago

গাড়ির ফিটনেস ও লাইসেন্স ছাড়া ঢোকা যাবে না ফরিদপুরে

ক্যাম্পাস8 hours ago

ফের পরীক্ষা বর্জনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

সৌদি-পতাকা
আন্তর্জাতিক2 days ago

ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি

ডাকসুর-সাবেক-ভিপি-নুরুল-হক
আইন-বিচার3 days ago

নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আন্তর্জাতিক2 days ago

ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসলাম2 days ago

ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

টুকিটাকি4 days ago

অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করলেন শিক্ষিকা

বাংলাদেশ6 days ago

ইসরাইল থেকে সরাসরি ঢাকায় বিমানের অবতরণ- যা জানা গেলো

ফায়ার-সার্ভিস
জাতীয়7 days ago

নিয়ন্ত্রণে এসেছে বাড্ডার আগুন

বাংলাদেশ3 days ago

সন্যাসী হতে ২০০ কোটি রুপির সম্পত্তি দান করলেন দম্পতি

আন্তর্জাতিক5 days ago

ইসরাইলে ইরানের হামলা: ভূমধ্যসাগরে ঢুকলো রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

দেশজুড়ে5 days ago

যুবকের পায়ুপথ থেকে বের করা হলো ৬ ইঞ্চি ডাব

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়3 weeks ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল4 weeks ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি4 weeks ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি1 month ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ1 month ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড1 month ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল1 month ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

অর্থনীতি2 months ago

গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!

অপরাধ2 months ago

ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা

সর্বাধিক পঠিত