এশিয়া
পরিবর্তনের হাওয়া সৌদি আরবে
ধীরে ধীরে ওয়াহাবি মতবাদ থেকে সরে যাচ্ছে সৌদি আরব। গেল কয়েক বছর ধরে দেশটির নানা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। মসজিদে মাইকের আওয়াজ কমানো, নারীদের একা বসবাস ও গাড়ি চালানোর অনুমতি, ২৪ ঘণ্টা শপিং মল, রেস্তোরাঁ খোলা রাখার মতো সিদ্ধান্ত একসময় দেশটিতে কল্পনাও করা যেত না।
তবে কয়েক বছর ধরে সৌদি সরকার এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা দেখে বিস্মিত পুরো বিশ্ব। এক সময় কঠোর ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা রীতির দেশটি এখন অন্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মনোনিবেশ করেছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারে।
কয়েকদিন আগে ৯০ হাজারের বেশি মসজিদের দেশটিতে মসজিদে মাইকের আওয়াজ কম রাখা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে সৌদি আরব। কর্তৃপক্ষ জানায়, মাইকের ভলিউমে উচ্চমাত্রার শব্দ তৈরি হয়। এটি শিশু ও বয়স্কদের জন্য ক্ষতিকর। দেশটির এমন সরকারি নির্দেশনার প্রতিবাদে অনলাইনে হ্যাশট্যাগ আন্দোলনও হয়।
তবে এসব প্রতিবাদকে ছাপিয়ে প্রচলিত নিয়ম ভেঙে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার প্রত্যয়ে অনঢ় অবস্থানে সৌদি সরকার। এমন কিছু সংস্কার পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি যা আগে চিন্তাও করা যেত না। কয়েক বছর আগেও শক্তিশালী অবস্থানে ছিল ধর্মীয় পুলিশ। কিন্তু যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর ক্রমেই দুর্বল হতে থাকে এই বাহিনী।
শুধু তাই নয়। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেওয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই ভ্রমণ, বিয়ে এবং তালাক দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে আইন করা হয়েছে। এর আগে নারীদের গাড়ি চালানো ও সিনেমা হল স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। একসময় সৌদি আরবে নামাজের সময় শপিং মল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার রীতি ছিল। এখন ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা হয়। এমনকি রেস্তোরায় উচ্চ শব্দে গান বাজানোর অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
একসময় ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালন নিষিদ্ধ ছিল। এখন অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। একসময় যা কল্পনার বাইরে ছিল। পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে স্কুলের পাঠ্যবইতেও। অমুসিলমদের অবমাননা করা শব্দ তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে মদ্যপান ও বিক্রিতে।
২০১৬ সালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০ প্রকাশের পর থেকেই সৌদি আরবে নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়। যা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এসএন
এশিয়া
লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় রাইসির শেষ বিদায়
লাখো মানুষের ঢল নেমেছে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। সদ্য প্রয়াত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটিতে জড়ো হয়েছেন তারা। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।
পরদিন সোমবার রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের বলে জানানো হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে। ১৯৬০ সালে একটি মার্কিন কোম্পানি দুই ব্লেডের এই মডেলটি তৈরি করেছিল কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য।
আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।
একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে।
তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে মনে করা হয়েছিল একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন ইব্রাহিম রাইসি।
ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।
টিআর/
এশিয়া
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো ইরান
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পরপরই আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ইরান। আগামী জুন মাসের শেষের দিকে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরান সোমবার ঘোষণা করেছে, আগামী ২৮ জুন দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইরানের রাষ্ট্রচালিত বার্তাসংস্থা আইআরএনএ-এর মতে, বিচার বিভাগীয়, নির্বাহী ও আইনসভা কর্তৃপক্ষের প্রধানদের মধ্যে বৈঠকের পর দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে এবং আগামী ১২ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।
সোমবার (২০ মে) পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, গেলো রোববার ইরান-আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রেসিডেন্ট রাইসির ফেরার সময় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
পরে সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।
এই দুর্ঘটনার ফলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, সেইসাথে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমেতি এবং তাবরিজ প্রদেশের ইমাম আয়াতুল্লাহ আলী হাশিমের মৃত্যু হয়েছে।
রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।
টিআর/
এশিয়া
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নেতানিয়াহু-হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন
গাজায় যুদ্ধাপরাধের উসকানি,পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের প্রধান নির্বাহী ইসমাইল হানিয়াসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খান এ আবেদন করেন বলে এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
করিম খান জানান, গেলো ৭ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য নেতানিয়াহু-হানিয়াসহ মোট ৫ জন মূলত দায়ী। গত ৭ মাসে গাজায় যত যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, সেসবের জন্যও দায়ী এই ৫ জন। এ কারণেই এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
এই তালিকায় থাকা অন্যান্যরা হলেন, হামাসের অপর দুই শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মোহাম্মেদ আল মাসরি ওরফে দেইফ আল মাসরি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তা বাস্তবায়নের জন্য শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতা আদালতটির নেই। তবে মূল সমস্যা হলো, একবার যদি আইসিসি পরোয়ানা জারি করে— তাহলে তা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোতে সফর করা ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হবে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং তালিকার অপর তিন জনের জন্য।
আই/এ
-
ক্রিকেট6 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
জাতীয়7 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
বলিউড5 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
বলিউড4 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
-
আইন-বিচার6 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
-
আইন-বিচার6 days ago
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন
-
ঢাকা4 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
-
আইন-বিচার7 days ago
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন নির্বাচন দাবি করে নিপুণের রিট