Connect with us

জাতীয়

দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যার চরম সংকট দেশের হাসপাতালে : বিবিএস

Published

on

বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে এক বছরের ব্যবধানে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। কর্মসংস্থান বাড়লেও দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যার চরম সংকটের চিত্র উঠে এসেছে। 

সোমবার (২১ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে ‘সার্ভিস অ্যান্ড স্টাডিজ রিলেটিং টু জিডিপি রিবেইজিং ২০১৫-১৬’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান জরিপ ২০১৯’র ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। 

২০১৭ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের জুনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক আবদুল খালেক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্রকল্প পরিচালক জানান, ২০১৭ সালের জুনে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ১২৬ জন। যা ২০১৮ সালের জুনে বেড়ে হয় ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৪১ জন। বছরের ব্যবধানে এই সেক্টরে কর্মসংস্থান বেড়েছে ২৬ হাজার ৮১৫টি। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তবে সরকারি হাসপাতালে প্রতি ১ হাজার মানুষের জন্য শয্যা সংখ্যা প্রায় ০.৩২টি। বেসরকারি হাসপাতালে প্রতি ১ হাজার মানুষের জন্য শয্যা সংখ্যা প্রায় ০.৬৪টি। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রতি ১ হাজার মানুষের জন্য হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা মাত্র ০.৯৬টি। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ অনুযায়ী প্রতি ১ হাজার মানুষের বিপরীতে সাড়ে ৩টি শয্যা থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় শয্যা সংখ্যা অনেক কম- এই চিত্র বিবিএস’র রিপোর্টে উঠে এসেছে। 

Advertisement

জরিপ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতি একজন চিকিৎসকের (ডেন্টাল সার্জন বাদে) বিপরীতে মাত্র ০.৮৫ জন সেবিকা রয়েছেন। ডেন্টাল সার্জনদের অন্তর্ভুক্ত করলে প্রতি একজন চিকিৎসকের বিপরীতে সেবিকার সংখ্যা দাঁড়ায় ০.৮৩ জন। প্রতি ৩.৪৭টি শয্যার জন্য একজন সেবিকা দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে, ২০১৯ সালের ২১ মে থেকে ২০২১ সালের ১৩ মে পর্যন্ত একটি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশজ মোট উৎপাদন প্রাক্কলনে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর হালনাগাদ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে ওই জরিপ করা হয়। জরিপের তথ্য বলছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে বাংলাদেশে মোট ১৬ হাজার ৯৭৯টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ছিল। তার মধ্যে রোগ নির্ণয় কেন্দ্র ১০ হাজার ২৯১টি (৬০.৬১ শতাংশ), হাসপাতাল ৪ হাজার ৪৫২টি (২৬.২২ শতাংশ) এবং মেডিকেল ক্লিনিক ১ হাজার ৩৯৭টি (৮.২৩ শতাংশ)। অন্যদিকে ডেন্টাল ক্লিনিকের সংখ্যা ৮৩৯টি (৪.৯৯ শতাংশ)।

বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান জরিপে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের আকার তুলে ধরে জরিপে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুনে ১৬ হাজার ৯৭৯টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে মোট ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮০ জন কর্মী নিয়োজিত ছিলেন। তার মধ্যে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৪১ জন (৮৫.৭২ শতাংশ) পূর্ণকালীন এবং ৫২ হাজার ৬৩৯ জন (১৪.২৮ শতাংশ) খণ্ডকালীন। মোট নিয়োজিত জনবলের মধ্যে হাসপাতালে ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ৩৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ক্লিনিকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ জনবল নিয়োজিত ছিলেন। ডেন্টাল ক্লিনিকে নিয়োজিত জনবল ১ দশমিক ১৯ শতাংশ।

বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণকালীন কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ, হাসপাতালের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ছিল ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ, মেডিকেল ক্লিনিকগুলোয় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল। এছাড়া রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং ডেন্টাল ক্লিনিকগুলোয় প্রবৃদ্ধি ০.৮২ শতাংশ ছিল।

বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় পূর্ণকালীন কর্মসংস্থান সৃষ্টির তথ্য তুলে ধরে জরিপে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের জুনে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় মোট ২ লাখ ৮৯ হাজার ১২৬ জন কাজ করতেন, বিপরীতে ২০১৮ সালের জুনে সেখানে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৪১ জন কাজ করতেন।

Advertisement

পূর্ণকালীন কর্মসংস্থানের মধ্যে হাসপাতালগুলোয় এককভাবে ২০ হাজার ৪৬৯টি (৭৭.৩৩ শতাংশ) নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। তারপর যথাক্রমে রোগ নির্ণয় কেন্দ্র (১৯.৮৫ শতাংশ) এবং ক্লিনিকগুলোয় (৩.৭০ শতাংশ) অবস্থান। নতুন পূর্ণকালীন কর্মসংস্থানের মধ্যে ডেন্টাল ক্লিনিকের আওতায় কর্মসংস্থানের প্রাক্কলিত হিসাব ছিল ০.১২ শতাংশ। মোট পূর্ণকালীন নতুন কর্মসংস্থানের মধ্যে চিকিৎসক পদ ৪ হাজার ৫৯০টি, সেবিকা পদে ৪ হাজার ৭২১টি এবং ডেন্টাল সার্জন পদে ৪৯টি পূর্ণকালীন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলেও জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতীয়

আজিমের খুনের ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে: শাহীন

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন। ছবি-সংগৃহীত

ভারতের কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।এ হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আক্তারুজ্জামান শাহীনের উঠে  এসেছে।  তবে  বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানিয়ছেন, আজিমের হত্যাকাণ্ডে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে শাহীন জানান, আনোয়ারুল আজিম আনার  হত্যার সময় তিনি ভঅরতে ছিলেন না, বাংলাদেশে ছিলেন।এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো ৫ কোটি টাকায় কিলিং মিশন চুক্তির খবরও অস্বীকার করেন তিনি।

বেসরকারি ওই টেলিভিশনকে আক্তারুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়ে। এই ঘটনার সময় আমি ভারতে ছিলাম না। আমার আইনজীবী বলেছে এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলতে। মানুষ দেশে অনেক কথাই বলে। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে দেখাক।’

ফ্লাটের ভাড়ার বিষয়ে উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে  শাহীন বলেন, ‘আমি যদি ফ্লাট ভাড়া নেই। আমি কি আমার ফ্লাটে এই ধরণের কাজ করব? আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এখন বলা হচ্ছে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কিভাবে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কোথার থেকে পেলাম আমি এত টাকা। এখন এগুলো মানুষ বললে আমার কি করার আছে। ঘটনা কবে ঘটেছে সেগুলো আমি পত্রিকায় দেখেছি। সে সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম।’

আক্তারুজ্জামান শাহীন আরও বলেন, ‘এছাড়া আমার ড্রাইভার তো কিছু করেনি। আমার গাড়ি, আমার সব কিছু নিয়ে চলে গেছে। এটা কোন ধরণের বিচার। আমি যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমাকে ধরুক। আমি তো এই দেশে বিচার পাব না। আমি আমেরিকার নাগরিক, এখানে চলে এসেছি। কি করব?’

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। সেখানে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।

মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হলেও আর ফিরে আসেননি।ওইদিনই ঘাতকরা তাকে হত্যা করে।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আপৎকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

মুদ্রাস্ফীতি সব দেশের মতো বাংলাদেশেও হচ্ছে। একই কথা রিজার্ভেও। রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেননা, আপৎকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে। এতবেশি আলোচনার কারণে আজ প্রায় সবাই রিজার্ভ নিয়ে কথা বলেন। এই সতর্কতা দেশের জন্য ভালো। বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনে কোনও সংকট নেই দেশে, তবে মুদ্রাস্ফীতি কমানোই এখন চ্যালেঞ্জ। বর্তমান পরিস্থিতে ভবিষ্যতের করণীয় ঠিক করতে আলোচনা হবে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।

শেখ হাসিনা বলেন, গ্যাস বিক্রির চুক্তিতে রাজি না হওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবে নেয়নি। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বসার মতো দৈনতায়  তিনি কখনো ছিলেন না। বাংলাদেশে এয়ার বেজ বানাতে দিলে, কারও কারও নির্বাচনে জিততে কোনো সমস্যা নেই– এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু তিনি  রাজি হননি।

তিনি বলেন, বে অব বেঙ্গলে যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটি বানাবে। ভারত মহাসগাগরের এই শান্তিপূর্ণ জায়গাটার ওপর তাদের নজর। এখানে বেজ বানিয়ে তারা কোথায় হামলা করতে চায়? তিনি এটা করতে দিচ্ছেন  না বলেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে খারাপ।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ধান-মাছ চাষ হচ্ছে। সেখানে ছয় বিঘা জমি দেয়া হয়েছে। সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছে এখন শরীয়তপুরের সবজি।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ঈদে বন্ধ থাকবে বাল্কহেড চলাচল

Published

on

ফাইল ছবি

ঈদ উল আযহা উপলক্ষে আগামী ১৩ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত এই ১১ দিন নৌপথে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ঈদের আগে ও পরের তিন দিন কোরবানির গরু ও পচনশীল ট্রাক ছাড়া অন্য ট্রাক ফেরি পারাপার হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে)  ঈদ উপলক্ষ্যে নৌপথে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত সংক্রান্ত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নৌপথে ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। ঈদের সময় ভাড়া যাতে বেশি নিতে না পারে সে জন্য থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। আবহাওয়ার দিকে সকলকে নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌপথে কিছু মানুষ আছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে। ঝুঁকিপূর্ণ, আবহাওয়া বার্তা সঠিকভাবে মেনে চলারও পরামর্শ দেন তিনি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version