Connect with us

আন্তর্জাতিক

১৮ শিশুর মৃত্যুর নেপথ্যে ভারতের কাশির সিরাপ

Published

on

মৃত্যু

জাম্বিয়ার পর এবার উজবেকিস্তানে ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন শিশুর।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, ২১ শিশুর মধ্যে ১৮ জন যারা তীব্র শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় ডক-১ ম্যাক্স নামক সিরাপ গ্রহণ করেছিল এবং পরে মারা গেছে। সর্দি এবং ফ্লুর উপসর্গের চিকিৎসা হিসেবে ওষুধটি বাজারজাত করা হয় বলে কোম্পানির ওয়েবসাইটে তথ্য দেয়া হয়েছে।

সিরাপটির একটি ব্যাচে ইথিলিন গ্লাইকোল পাওয়া গেছে, যা একটি বিষাক্ত পদার্থ বলে জানিয়েছে উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরাপটি উজবেকিস্তানে কুরাম্যাক্স মেডিকেল এলএলসি আমদানি করেছিল। ওষুধটি শিশুদের দেওয়া হয়েছিল চিকিৎসকের কোনো ধরনের পরামর্শ ছাড়া।

Advertisement

এর আগে গত অক্টোবরে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় কিডনি বিকল হয়ে ৭০ শিশুর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হয়, ভারতীয় কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি সিরাপই পাঁচ বছরের কম বয়সী ওই শিশুদের কিডনি বিকল হওয়ার কারণ।

এদিকে সম্প্রতি ভারতের ১৬টি কোম্পানির ওষুধ আমদানি নিষিদ্ধ করেছে নেপাল। মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার।

আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় ভারতীয় কোম্পানির তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর অভিযোগে ডব্লিউএইচও-এর সতর্কতার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

ভয়াবহ বন্যায় ডুবেছে ব্রাজিল, নিহত বেড়ে ১০০

Published

on

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এখনো পর্যন্ত বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।

ব্রাজিলের রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের প্রায় ৪০০ পৌরসভা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যার কারণে কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। রাজ্যের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১২৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

ব্রাজিলের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা বিভাগ জানিয়েছে, রাজ্যের দক্ষিণাংশ আরও বন্যার উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। অনেক স্থানেই বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া বহু বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

বন্যার কারণে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া রাস্তাঘাট ভেসে গেছে এবং বেশ কিছু সেতু ভেঙে পড়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার বন্যাকবলিত অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা। এই বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন তিনি।

Advertisement

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সিসকো এলিসেউ অ্যাকুইনো বলেছেন, বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন এবং আবহাওয়ার এল নিনো পরিস্থিতির ‘বিপর্যয়কর মিশ্রণের’ ফলাফল ছিল ব্রাজিলে আঘাত হানা সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ঝড়।

দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশটি সম্প্রতি বেশ কয়েকবার প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

অ্যাকুইনো বলেছেন, ভৌগোলিক কারণে অঞ্চলটি প্রায়শই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং মেরু বায়ুর সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব ঘটনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বন্যাকবলিত বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫ হাজার সেনাসদস্য, দমকলকর্মী, পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

আল-শিফা হাসপাতালে মিলেছে তৃতীয় গণকবর, ৪৯ লাশ উদ্ধার

Published

on

টানা সাত মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার শিকার হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনবাসী। ইসরাইলের অব্যাহত এ হামলার মধ্যেই অবরুদ্ধ উপত্যকাটির আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান মিলেছে। এ পর্যন্ত সেখান থেকে ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের মেডিকেল দলগুলো গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবর আবিষ্কার করেছে বলে বুধবার (০৮ মে) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে।

মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৯ জনের লাশ গণকবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে এবং আরও লাশের খোঁজে অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা এখনো চলছে।’

আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে সাতটি গণকবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে গেলো সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

Advertisement

ইসরাইলি এই আক্রমণের ফলে গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ৩৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং আরও ৭৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে তিনটি গণকবর, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে তিনটি এবং উত্তর গাজার কামেল আদওয়ান হাসপাতালে একটি গণকবর পাওয়া গেছে।

এতে আরও বলা হয়, সাতটি গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডটিতে ইসরাইলের মারাত্মক আক্রমণ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে গাজা উপত্যকা শাসনকারী দল হামাস।

গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, নতুন গণকবরের আবিষ্কার ‘আমাদের জনগণ এবং চিকিৎসা খাতের বিরুদ্ধে অপরাধী দখলদার সেনাবাহিনীর বর্বরতার নতুন প্রমাণ’।

Advertisement

হামাস আরও বলেছে, ‘(ইসরায়েলি) দখলদারিত্ব তাদের নির্মূল ও বাস্তুচ্যুতির পরিকল্পনা অর্জনের জন্য (গাজায়) মানুষের জীবনের ভিত্তি ধ্বংস করতে চায়।’

ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি সমস্ত মানবাধিকার গোষ্ঠীকে ইসরাইলের ‘এই অপরাধ নথিভুক্ত করার পাশাপাশি দেশটির দুর্বৃত্ত সত্তা ও অপরাধী নেতাদের জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং অন্যান্য উপযুক্ত আদালতে সেগুলো পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।’

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় ৩৪৮৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত

Published

on

গাজায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার শিকার হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনবাসী। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। এবার রাফা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। ইতোমধ্যেই রাফা ক্রসিং নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৪ হাজার ৮৪৪ জনে।

এছাড়া গেলো অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

বুধবার (৮ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ হাজার ৮৪৪ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এছাড়া গেলো সাত মাস ধরে চলা হামলায় আরও অন্তত ৭৮ হাজার ৪০৪ জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Advertisement

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৫ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

এর আগে গেলো সোমবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের একাংশ খালি করে দিতে সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নির্দেশের পর রাফার পূর্বাঞ্চল থেকে বহু মানুষ সরে যেতে শুরু করেন।

পরে গাজার সঙ্গে মিসরের সীমান্তে অবস্থিত রাফা ক্রসিংয়ের দখল নেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। রাফা ক্রসিংয়ের একপাশে গাজা, অন্যপাশে মিসরের সিনাই উপদ্বীপ।

গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর আগ পর্যন্ত এই সীমান্তপথটিকে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘লাইফ লাইন’ বলে বিবেচনা করা হতো। এটি মূলত অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে মানবিক সহায়তা সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ।

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

Advertisement

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version