Connect with us

ক্রিকেট

হাসানুজ্জামানের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি সত্ত্বেও পারটেক্সের হার

Published

on

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) তিন নম্বর মাঠে আজ এক অদ্ভুত দিন পার করেছেন ৩০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পাওয়ার দিনে ভেঙেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের রেকর্ড। তবুও বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের রেলিগেশন লিগের ম্যাচে তার দল হেরেছে ২৩ রানের ব্যবধানে।
 
ওল্ড ডিওএইচএস বনাম পারটেক্সের ম্যাচে অবশ্য হাসানুজ্জামানের শতক তুলে নিতে পারতেন রাকিন আহমেদ। পারটেক্সের বিপক্ষে এই ওপেনার খেলেছেন ৫৮ বলে ৯২ রানের ইনিংস। মাত্র ৮ রানের আক্ষেপ থাকলেও তার এই ইনিংসে আগে ব্যাট করা ওল্ড ডিওএইচএস পেয়ে যায় ১৯৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ। 

২০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পারটেক্স অধিয়ানায়ক হাসানুজ্জামানের শতকের পরেও তার দল থেমেছে ১৭৬ রানে। সতীর্থদের ব্যর্থতায় দল হারলেও এক অনন্য মাইলফলকে নিজের নাম লিখিয়েছেন পারটেক্স অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে তিনিই এখন দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। পেছনে ফেলেছেন তামিমের গড়া ২ বছর আগের রেকর্ডকে। 

২০১৯ সালে বিপিএল ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে তামিম ৬১ বলে খেলেছিলেন ১৪১ রানের ইনিংস। সেখানে ৫০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সেটাই ছিলো দ্রুততম শতকের রেকর্ড। তবে গত বছর সেই রেকর্ড টপকে যান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য পারভেজ হোসেন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফরচুন বরিশালের হয়ে মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। 

হাসানুজ্জামানের সামনে সুযোগ ছিল পারভেজকেও টপকানোর। ৩৯ বলে ৮৯-এ পৌঁছে গিয়েছিলেন হাসানুজ্জামান। কিন্তু পরের ১১টি রান করতে তিনি খেলে ফেললেন আরও ৯টি বল। আর তাতেই দ্বিতীয় দ্রুততমতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে। ৫২ বলে ১১টি চার আর ৭ ছক্কায় ১০৫ রান করে শেষ পর্যন্ত থেমেছেন তিনি। এর আগে তিনি ফিফটি পূরণ করেছিলেন ২৫ বলে।

চলতি ডিপিএলে এটা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির নজির। এবারের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক মিজানুর রহমানের ব্যাট থেকে। দেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে শতকের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। 

Advertisement

হাসানুজ্জামান-মিজানুরের আগে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেন শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, তামিম ইকবাল, এনামুল হক, সাব্বির রহমান, নাজমুল হোসেন, পারভেজ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম। 

এএ

ক্রিকেট

মাইকেল ক্লার্কের কাছে বিশ্বকাপ ‘ফেভারিট’ ভারত

Published

on

ছবি; ক্রিকইনফো

ভারতকে ‘ফেভারিট’ মানতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। দর্শকেরা চাইলেই তা করতে পারেন। প্রায় প্রতিবারই দারুণ এক দল গঠন করে আইসিসির বৈশ্বিক আসরে প্রবেশ করে তারা। আকাশী-নীল জার্সি নিয়ে নানারকম বন্দনা চলতে থাকে চারদিকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এরমধ্যে কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক মুখ খুললেন ভারতকে নিয়ে। আসছে বিশ্বকাপে ভারতের পাল্লা ভারী মনে করেন তিনি। পাশপাশি নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভারত সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠবে বলেও মনে করেন তিনি।

ইএসপিএন ‘এরাউন্ড দ্য উইকেট’ এ কথা বলতে গিয়ে ক্লার্ক বলেন, ‘আপনি যদি বিশ্বকাপের ‘ফেভারিট’ নিয়ে বলেন, এটা ভারতের দিকেই যাবে। কারণ তারা যে পরিমাণ ক্রিকেট খেলে, তাদের প্রস্তুতি থাকে দুর্দান্ত। ক্যারিবিয়ান ও আমেরিকার কন্ডিশন আলাদা ভারতের জন্য। তবে অনেককিছু মিলও রয়েছে, তাদের খেলোয়াড়দের অভ্যাস হয়ে যাবে।‘

ভারতীয় দলে স্পিনারদের আধিক্য রয়েছে। ফলে বিশ্বকাপের কন্ডিশনে তাদের ভালো করার সুযোগ বেশি বলেও মনে করেন সাবেক অজি অধিনায়ক ক্লার্ক।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

‘ক্রিকেট আমাদের শক্তি, বেশি মনোযোগে দুর্বল হতে পারে’

Published

on

সংগৃহীত ছবি

ভারত সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতেছে ২০১৩ সালে। এরপর সুযোগ কাছে এলেও আর জেতা হয়নি কোনো শিরোপা। ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে নিজেদের ঘরের মাটিতেও ফাইনাল খেলেছে ভারত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হয়নি জেতা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা একবারই ঝুলিতে যায় দলটির, সেটা ২০০৭  সালে। আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আশা দেখছে ভারতের সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।

‘স্টার স্পোর্টস’ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিওতে অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ভিরাট কোহলি ও রিশাব পান্ট কথা বলেছেন। রোহিত জানিয়েছেন, ‘আমরা ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছিলাম। এরপর আমরা সব করেছি, কিন্তু এটা জিততে পারিনি। তো আমার মনে হয় আমাদের এবার দারুণ সুযোগ আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’

কোহলি বলেন, ‘যেখানেই ভারত খেলে, সেখানেই প্রত্যাশা থাকে। আমি বলছিনা আশা করা, লোকদের প্রত্যাশা থাকা, এসব বাস্তব নয় বা আমাদের থেকে একটা কিছু চাওয়া। আমাদের দেশে ক্রিকেটকে আলাদাভাবে দেখা যায়। এটা আমাদের শক্তিও। এটা আমাদের দুর্বলতাও হয়ে উঠতে পারে, যদি এখানে আমরা বেশি মনোযোগ দিয়ে ফেলি। আমার মনে হয় আমাদের শক্তির দিকে তাকানো উচিত এবং এখান থেকে অনুপ্রেরণা ও শক্তি নেওয়া দরকার। আমাদের পেছনে অনেক সমর্থকরা আছেন, যারা চায় আমরা ভালো করি।’

পান্ট জানান, ‘আমি সবসময় দায়িত্ব নেওয়া উপভোগ করি। যখন আমি দলে আসি, নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি- তখনই দায়িত্বটা আপনার কাছে আসে।’

আসছে ৫ জুন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ-যাত্রা শুরু করবে ভারত।

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

কারা হবেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট ও রান সংগ্রহকারী, পন্টিংয়ের ভবিষ্যদ্বাণী

Published

on

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর বেশি দূর নয়। দুই দিন বাকি আছে। এর মধ্যে নানা আলোচনা করছেন সাবেকরা। কোন দল কতদূর যাবে বা কোন ক্রিকেটার কত ভালো করবে- সে ব্যাপারে একটা মতামত জারি রাখছেন তারা। এবার সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং জানালেন তার জবান। বিশ্বকাপে শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক এবং শীর্ষ রান সংগ্রাহক কে হবেন, এ বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি।

খেলোয়াড়দের বর্তমান ফর্ম বিবেচনায় তো থাকে। সাবেক ক্রিকেটাররা অনেক সময় নিজ দেশের প্রতিও পক্ষপাতী করেন অনেক ক্ষেত্রেই। তবে পন্টিংয়ের মতামতকে এখানে পক্ষপাতী মনে করার সুযোগ কম বোধহয়।

জাসপ্রীত বুমরাহকে শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক মনে করছেন এই সাবেক ক্রিকেটার। পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক হিসেবে দেখছেন ট্রাভিস হেডকে। হেডের ক্ষেত্রে কি পক্ষপাতিত্ব ভাবার সুযোগ আছে? আইপিএলের সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে তিনি ব্যাট হাতে কী করেছেন, তা সবাই দেখেছে।

একই টুর্নামেন্টে বুমরাহর পারফরম্যান্সটাও দেখার মতো। এই ভারতীয় বোলার ১৩ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ২০ উইকেট। অন্যদিকে ব্যাট হাতে হেড ১৫ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ৫৬৭ রান।

আইসিসি রিভিউতে পন্টিং জানান, “টুর্নামেন্টে জাসপ্রীত বুমরাহকে আমি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হিসেবে দেখি।“

Advertisement

“সে উইকেট সংগ্রহ করে। সে অনেক কঠিন ওভার করতে পারে। যখন আপনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কঠিন ওভার করতে পারেন, এটা আপনাকে অনেক বেশি উইকেট পাওয়ার সুযোগ বাড়িয়ে দেয়। তো আমি তার দিকেই যাচ্ছি।“

এরপর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের কথা বলতে গিয়ে পন্টিং বলেন, “আমি ট্রাভিস হেডকে শীর্ষ রান সংগ্রহকারী মনে করি।“

“আমি শুধু মনে করি, সে যা করেছে গত দুই এক বছরে, এটা কি লাল বল বা সাদা বল হোক। দারুণ মানসম্পন্ন ছিল। আমার মনে হয় সে এই মুহূর্তে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে।“

বাংলাদেশ সময় আগামী ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্ব আসর।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version