Connect with us

রংপুর

রাজারহাটে বাবার সাথে অভিমান করে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর আত্মহত্যা

Published

on

কুড়িগ্রামের জারহাট উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের রাঘব মৌজার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী হিরা খাতুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় পিতার সাথে অভিমান করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাজিম খান ইউনিয়নের রাঘব মৌজার মো. হারুন মিস্ত্রির কন্যা হিরা খাতুন (১৩) ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। বুধবার দিবাগত রাতে তার বাবা মায়ের ঝগড়া হয় সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে বাবা হারুন মিস্ত্রি কন্যা হিরা কেও মারপিট করে। হিরা বাবার উপর রাগ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এবিষয়ে রাজারহাট থানার ওসি রাজু সরকার হিরা খাতুনের আত্মহত্যা নিশ্চিত করে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতির কথা বলেন।

শেখ সোহান

রংপুর

নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর সন্তান প্রসব

Published

on

গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় প্রসূতিকে নিয়ে পায়ে হেঁটেই নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো পার হচ্ছিলেন স্বজনরা। এক সময় সাঁকোর ওপরে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রসুতি মা। সেখানেই এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। নবজাতকের নাম রাখা হয় স্বপ্না।

শনিবার (৬ জুলাই) কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বোয়ালমারী বেড়িবাঁধের খাটিয়ামারী-রৌমারী সড়কে সুতিরপার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সন্তান প্রসব করা ওই নারীর নাম বিলকিস বেগম। তিনি উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর গ্রামের সাইজুদ্দিনের স্ত্রী।

প্রসূতি বিলকিস খাতুনের ভাই শাফি আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন, শুধুমাত্র সেতু নির্মাণ না হওয়ার কারণে আজ আমার বোন পথেই সন্তান জন্ম দেয়। এটা বড় দুঃখের বিষয়।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এই ভাঙা চোরা সাঁকো নিয়ে দুর্ভোগে আছি স্থানীয়রা।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু এর কোনো প্রতিকার মিলছেনা। দ্রুত একটি টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। এ কারণে আজ এক প্রসূতি মা সেখানে একটি সন্তান প্রসব করেছেন। বাঁশের সাঁকোটি চলাচলের জন্য মেরামত করা হচ্ছে।

রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মনছুরুল হক বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ওই সড়কের বিষয়টি আমার জানা নেই।

জানা যায়, ১৫ বছর আগে বন্যায় ভেঙে যায় সড়কের একাংশ। পরে স্থানীয়দের উদ্যোগে সেখানে নির্মাণ করা হয় বাঁশের সাঁকো। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে ওই এলাকার হাজারও মানুষকে। এতে প্রায় ঘটছে নানা ধরণের দুর্ঘটনা।

উল্লেখ, ২০১৪ সালে বন্যায় পাকা রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। পরে চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। স্থানীয়রা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটি ব্রীজ নির্মাণর জন্য দাবি করেন। কিন্তু সেখানে আজও কোনো স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ করা হয়নি।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

কুড়িগ্রামে বন্ধ ষোষণা ৩ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

Published

on

কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। ব্রহ্মপুত্রের পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তার পানিও। এদিকে বন্যার পানি ওঠায় জেলার ৯ উপজেলায় ৩৪১টি প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে ৭ দিন ধরে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে উঁচু সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবার সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা কবলিতরা। পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। তবে বানভাসী মানুষের মাঝে সরকারিভাবে কিছু ত্রাণ সহয়তা লক্ষ্য করা গেলেও বেসরকারি ভাবে তেমন ত্রাণ সহয়তা দেখা যায়নি।

কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুল আলম বলেন, বন্যার পানি ওঠার কারণে ১২১টি মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। বন্যা কবলিত নয়, এমন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, ৯ উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৫৩টি। এর মধ্যে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২২০টির।

Advertisement

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, বন্যা মোকাবেলায় ৩১৭ মেট্রিক টন চাল, ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ১৯ হাজার ৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

মেয়ের শিক্ষকের সঙ্গে পালিয়ে গেলেন মা

Published

on

লালমনিরহাটে মেয়ের শিক্ষকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন মা।  গেলো ৫ দিন থেকে তাদের খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আলামিন নামে এক প্রাইভেট শিক্ষকের হাত ধরে পালিয়ে যান ওই নারী।

পলাতক নারী কাকলি রানীর স্বামী অমল ভুইমালি এ ঘটনায় শনিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন-নবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক আলামিন উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর সবজি বাজার এলাকার ওসমান আলীর ছেলে।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, আলামিন নামের ওই শিক্ষক অমল ভুইমালির দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে অমল ভুইমালির স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী অমল ভুইমালি সপ্তাহ দুই আগে ওই শিক্ষককে প্রাইভেট পড়াতে নিষেধ করে দেন। এরপর গেলো ২ জুলাই সন্ধ্যার পর ওই শিক্ষক আলামিন কাকলি রানীকে নিয়ে পালিয়ে যান।

এদিকে, হিন্দু বিবাহিত নারীকে নিয়ে মুসলমান ছেলে নিরুদ্দেশ হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ভুক্তভোগী অমল ভুইমালি বলেন, আমার স্ত্রীকে নিয়ে প্রাইভেট শিক্ষক পালিয়েছে। বিষয়টি আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে টাকা পয়সা ও স্বর্ণ নিয়ে গেছে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version