জনদুর্ভোগ
রজধানীর মগবাজার বিস্ফোরণে ভবনের নিচতলায় মিলল মিথেন গ্যাস
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2021/06/29/resize-600x315x1x0image-8236-1624959214.jpg)
মগবাজারে বিস্ফোরিত ভবনের নিচতলা শর্মা হাউসে ১২ শতাংশ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণের রহস্য খুঁজছে ফায়ার, সার্ভিস, ওয়াসাসহ পুলিশের কয়েকটি বিশেষ দল। আইজিপি ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পর এবার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটও জানাল, ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছি যে, এ রকম কোনো গ্যাস চেম্বার, যে চেম্বারটি বাতাসের সংস্পর্শে এসে এ রকম একটি এক্সক্লুসিভ মিক্সার তৈরি করেছিল এবং যার ফলে এ রকম বড় একটি বিস্ফোরণের ম্যাসিভ এক্সপ্লোশনের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বিস্ফোরণে ৭ জন নিহতের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে রমনা থানায় মামলা করেছে পুলিশ। সেখানকার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্টরা।
ডিএমপির রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, মগবাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় রমনা থানায় মামলা হয়েছে। সেখানে ভবন মালিকসহ যারা ভবন দেখভাল রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ এবং যারা ওখানে ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী হিসেবে ছিলেন যেমন- গ্র্যান্ড কনফেকশনারি, শর্মা হাউজ, বেঙ্গল মিট বা সিঙ্গার গ্রুপের লাইসেন্সহীন বা অনুমোদিত বিদ্যুৎ বা গ্যাসের কোনো সংযোগ ছিল কি না এবং এদের নিজেদের ব্যবসায়িক মালামাল মজুত, ওখানে রাখার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা ছিল কি না সে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
৩০৪-এর ক ধারায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই অতিরিক্ত উপকমিশনার।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে অপেক্ষায় স্বজনরা। মগবাজারের বিস্ফোরণে আহতদের কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও ভাইয়ের সংকটাপন্ন সময় কাটছে হাসপাতালে বিছানায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আশঙ্কাজনক ৩ জনের অবস্থার কোনো উন্নতি নেই।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এখন আছে পাঁচজন এর মধ্যে তিনজন আইসিইউতে আছে। তারা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাদের ৯০ শতাংশ পোড়া। বাকি দুজনের অবস্থা স্থিতিশীল।
জনদুর্ভোগ
বাড়ছে তিস্তার পানি, চর-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা অববাহিকায় পানি বাড়ছে। এর প্রভাবে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে হু হু করে পানি ঢুকে চর ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের মানুষ।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। সদর উপজেলার কালমাটি, বাগডোরা, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, গোবর্ধনসহ কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। অন্তত ৫০০ ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। বাড়িঘর-রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় রান্নাবান্নাসহ চলাচলে বিপাকে পড়েছেন লোকজন।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার মহসিন আলী জানান, চর এলাকায় তিস্তার পানিতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার চরসিন্দুর্না গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার পানিতে আমার বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেক বাদাম গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।
সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ গণমাধ্যমে বলেন, ইউনিয়নের চর এলাকায় কিছু কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। তবে বিকেল থেকে আবার কমতে শুরু করেছে।
এএম/
জনদুর্ভোগ
বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরে বকেয়া পরিশোধ ও লে-অফ প্রত্যাহার করে কারখানা চালুর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শ্রমিকরা পুনরায় কারখানার গেটের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা দুপুরে দেড়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ী এলাকায় ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ী এলাকায় ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নামের কারখানাটিতে শ্রমিকদের চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও গত বছরের বাৎসরিক ছুটির টাকা ও ২ মাস ১৯ দিনের বেতন, ঈদ বোনাস ও লে-অফ প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই কারখানার গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে প্রায় ২০ মিনিট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করছে।
শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে কারখানাটির মালিক এমএনএইচ বুলুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। কারখানার একটি সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক সংকট ও বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গত এপ্রিল মাস থেকে কারখানাটিতে লে-অফ রয়েছে।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে ১০ মিনিটের মতো যানচলাচল বন্ধ ছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
এএম/
জনদুর্ভোগ
খুলে দেয়া হলো তিস্তার ৪৪ জলকপাট, নদীপাড়ে আতঙ্ক
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় নদীপাড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসময় বন্যা হলে নদীপাড়ের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী আবাদি জমিগুলো তলিয়ে বাদাম ও শাক-সবজিসহ উঠতি বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হবে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, সন্ধ্যা ৬ টায় কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। ফলে দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। বিকেল ৩টায় ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার, ভোর ৬ টায় ২৮ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ও সকাল ৯টায় ২৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২ টায় ২৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার।
অপরদিকে একইদিন বিকেল ৩ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে এ পয়েন্টে সকাল ৬টায় ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ২৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার আলী গণমাধ্যমে জানান, ভোর থেকে তিস্তার পানি হুহু করে বাড়ছে। বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চরাঞ্চল গ্রামের মানুষদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে। এসময় বন্যা হলে নদীপাড়ের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাশাপাশি আবাদি জমিগুলো তলিয়ে উঠতি বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হবে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪ গেটই খুলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে ভাটিরদিকে রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই ভাটির অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, বন্যার এখন পর্যন্ত আভাস পাওয়া যায়নি। তবে বন্যায় যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয় সরকারিভাবে সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেয়া আছে।
এএম/
-
বলিউড6 days ago
বয়সে ছোট পাত্রের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে সোনাক্ষী সিনহা!
-
টুকিটাকি7 days ago
৩ দিন নিখোঁজের পর অজগরের পেট থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার
-
বাংলাদেশ5 days ago
উত্তরের পথে ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনে ধীরগতি
-
টুকিটাকি4 days ago
৩শ’ টাকার গয়না ৬ কোটিতে কিনলেন তরুণী, অতপর…
-
টুকিটাকি7 days ago
৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, না পেয়ে পুলিশের ছেলেকে খুন
-
দেশজুড়ে5 days ago
রাজনীতিতে আসছেন এমপি আনারের মেয়ে ডরিন
-
বাংলাদেশ6 days ago
এমপি আজীম হত্যাকাণ্ড : সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া মাংসের টুকরো মানুষের
-
চট্টগ্রাম6 days ago
এক দিনে ভেসে এলো দুই মরদেহ