Connect with us

অপরাধ

মাগুরায় এক যুবককে জবাই করে হত্যা

Published

on

মাগুরা শহরের মাতৃসদন পাড়ার সুইপার কলোনির নিজ বাড়িতে মানিক লাল (৩৮) নামে হরিজন সম্প্রদায়ের এক যুবকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩০ জুন) সকালে শহরের মাতৃসদন হাসপাতাল সংলগ্ন সুপার কলোনি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবক মানিক লাল সুইপার কলোনীর মৃত বাবু লাল  ও লক্ষি রানির ছোট ছেলে। মাগুরা পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরির পাশাপাশি নিজ বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকান ছিল তার।

নিহতের বড় ভাই হিরা লাল জানান, ভোর চারটার কিছু সময় আগে ছোট ভাই  নিহত মাণিক লাল এর ছোট ছেলে শান (০৬) এর ডাকে তাদের ঘুম ভাঙে। নিহতের শিশু ছেলে শান জানায় তাঁর বাবার গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে। এ সময়  পাশের ছোট ভাইয়ের বাড়িতে এলে মানিক  লালের নিজ ঘরের মেঝেতে তাঁর রক্তাত্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। এর পর খবর পেয়ে মিরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের কারন কে বা কারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে তাৎকক্ষনিক ভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানান নিহতের বড় ভাই হিরা লাল।

নিহত মানিক লালের বড় ছেলে আসন লাল (১৭) বলেন, ‘কদিন আগে মায়ের হাত ভেঙে যাওয়ায় তাদের মা চুয়াডাঙ্গা তাদের নানির বাড়িতে গিয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে বাবার সাথে আমার বাকবিতণ্ডা হওয়ায় রাতে ছোট ভাইকে নিয়ে বাবা আমাদের ঘরে ঘুমাতে গিয়েছিলেন।আমি রাত্রে পাশেই বড় চাচার বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোররাত্রে ছোট ভাইয়ের চিৎকারে ছুটে এসে দেখি এই অবস্থা।

Advertisement

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ও প্রশাসন কামরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় প্রতিবেশীসহ পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করছি। মাঝেমধ্যে মাদকের আড্ডা ও বিভিন্ন লোকজনের আনাগোনা ছিলো বসড়িতে।  এছাড়া কদিন আগে ওই যুবক লক্ষাধিক টাকায় একটি গরু বিক্রি করেছে। তবে সেই টাকা ঘরের আলমারিতে অক্ষত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ওই যুবকের পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে অন্যদের সাথে বিরোধ ছিল। এই সব দিক বিবেচনায় রেখে তদন্ত শুরু  করছে পুলিশ।

অপরাধ

শ্যালিকাকে ধর্ষণ, দুলাভাই গ্রেপ্তার

Published

on

রাজধানীর ভাষানটেকে  কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সুমনকে (৩১) ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ ভুক্তভোগী তার বোনের বাসা থেকে নানির বাসায় ফেরার পথে দুলাভাই তাকে ধর্ষণ করে।

রোববার (২ জুন) ধর্ষক সুমনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

র‍্যাব জানায়, ভুক্তভোগী তার নানির সঙ্গে ঢাকার ভাষানটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। দুলাভাই মো. সুমন তাকে একা পেলে প্রায়ই উত্যক্ত করত। লোকলজ্জায় কাউকে বিষয়টি বলতে পারত না।

র‍্যাব আরও জানায়, ঘটনার পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রাজধানীর ভাষানটেক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেপ্তার সুমন দুই বছর জেল হাজতে থাকার পর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।

পরে আদালত আসামি পলাতক থাকা অবস্থায় বিচারকার্য শেষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান পূর্বক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আসামিকে ভাষানটেক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

বেনজীর কত টাকা সরিয়েছেন,খোঁজ চলছে : দুদক আইনজীবী

Published

on

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত ৬ মাসে তার অ্যাকাউন্ট থেকে কত টাকা তুলেছেন, সেই টাকা কোথায় নিয়েছেন,সে বিষয়ে খোঁজ চলছে। বললেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম।

রোববার (২ জুন) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দুদকের এ আইনজীবী।

বেনজীর আহমেদ বিদেশে পালিয়েছেন কি না এমন প্রসঙ্গে মো. খুরশীদ আলম বলেন, এরইমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছে বেনজীর আহমেদ ৪ মে, কেউ বলছেন, ১২ মে, কেউ বলছেন তারও আগে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। প্রকৃত অবস্থা কী, তা জানতে ৬ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এ আইনজীবী বলেন, দুদক তাকে সুযোগ দিয়েছে,এখন তার বিষয়; তিনি তা গ্রহণ করবেন কি না।

সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা চাইলে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ এবং থানায় মামলা করতে পারবেন।

Advertisement

এর আগে গত ২৬ মে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ারসহ ১১৯টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

হিজড়াদের হামলায় চোখ হারিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা

Published

on

রাজধানীর রমনার পরিবাগ এলাকায় হিজড়াদের হামলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আহত এসআইয়ের নাম মো. মোজাহিদ।

শনিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রমনা থানার এসআই মোজাহিদসহ পুলিশের একটি দল রাতে পরিবাগ এলাকায় ডিউটি করছিলেন। এ সময় হিজড়াদের একটি দল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হিজড়ারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে একটি ইট এসআই মোজাহিদের চোখে এসে লাগে। এতে এসআই মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।

ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, হিজড়ারা বিভিন্ন রিকশা থেকে ছিনতাই ছাড়াও অনৈতিক কাজ করায় শাহবাগ থানা পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানের একপর্যায়ে হিজড়ারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে এসআই মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের বিভিন্ন অংশ তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এসআই মোজাহিদকে শেরেবাংলা নগর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চোখের অপারেশন হয়েছে। আরও কয়েকটি অপারেশন লাগবে।

Advertisement

তিনি জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতেই তিনজন হিজড়াকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া রোববার দুপুরে আরও একজন হিজড়াকে আটক করেছে রমনা থানা পুলিশ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version