জাতীয়
২৪০ ডিজিট চেপে রিচার্জ করতে হচ্ছে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার
Published
1 year agoon
By
বায়ান্ন প্রতিবেদনবিদ্যুৎ খাতের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরকার ২০১৫ সালে প্রি পেইড মিটার সিস্টেম চালু করে। এ সিস্টেমের ফলে গ্রাহকরা ঘরে বসেই অনলাইনে বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারছে। এতে যেমন শতভাগ বিল আদায় নিশ্চিত হচ্ছে, তেমনি ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে গ্রাহকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না।
তবে বিদ্যুত বিল পরিশোধে নতুন ভোগান্তি দেখা গেছে টোকেন সিস্টেমে। বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের ক্ষেত্রে সাধারণত ২০ ডিজিটের একটি টোকেন ফোনে বার্তা আকারে আসে। সেই টোকেন নম্বরটি মিটারে প্রবেশ করালে রিচার্জ সম্পন্ন হয়।
কিন্তু ২০ ডিজিটের এমন টোকেন ১০ থেকে ১২টি করে গ্রাহকের কাছে আসছে। সংখ্যায় যা দাঁড়ায় ২০০ থেকে ২৪০টি শব্দ। রিচার্জ সম্পন্ন করতে সবগুলো সংখ্যা মিটারে প্রবেশ করাতে হয়। যা বেশ ভোগান্তি বলে জানাচ্ছেন গ্রাহকরা।
বিইআরসি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাইকারি, খুচরা ও সঞ্চালন- এই তিন পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল। মূলত তখনও এ সমস্যা হয়েছিল।
সবশেষ চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ানো হয়। এরপর থেকে সমস্যাটা আবার সামনে আসে। বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সার্ভারে আপডেট করতে গিয়ে এ সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কথা হয় ভুক্তভোগী কবির হোসেনের সঙ্গে। গাজীপুর সদরে তিনি বসবাস করেন। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে রিচার্জ করতে গিয়ে আমাকে বেশ কয়েকবার এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কার্ডে টাকা ভরার পর ফোনে টোকেন নম্বর আসে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ২০ ডিজিটের ১২টা টোকেন এসেছে। অর্থাৎ ২৪০টি সংখ্যা। আমাকে বাধ্য হয়েই সবগুলো সংখ্যা সঠিকভাবে বসিয়ে রিচার্জ কমপ্লিট করতে হয়েছে। যা চরম একটা ভোগান্তি।
একই ভোগান্তির কথা জানালেন চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, আগে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করলে আসতো ২০ ডিজিট, আর এখন আসছে ১৮০ ডিজিটি! এতগুলো সংখ্যা চেপে রিচার্জ করা একটা ভোগান্তির বিষয়। বারবার ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
একই কথা বলেন সাভারের ধামরাইয়ে বসবাসকারী রাকিব সিদ্দীকি। তিনি বলেন, বেশিরভাগ সময়ই এমন ১০ থেকে ১২ টা টোকেন আসে। যার সবগুলো চেপে মিটার রিচার্জ করতে হয়। আমি ভাবলাম এ সমস্যা কি শুধু আমারই হয় কী-না। পরে দেখলাম না, অনেকেরই এমন সমস্যায় পড়তে হয়েছে। জরুরি মুহূর্তে যদি এমন সংখ্যা চাপতে হয়, তাহলে ডিজিটালাইজড করে লাভ কী।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করা হলেও তারা সুনির্দিষ্ট কোনো সমাধান দিতে পারেনি। টেকনিক্যাল ইস্যুতে এমনটা হয়ে থাকে বলে জানানো হয়। অগত্যা ২০০ শব্দ চেপেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন গ্রাহকরা।
এদিকে চলতি মাসে দাম বাড়ানোর পর গত ১৮ জানুয়ারি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজপাডিকো) পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে প্রথমবার রিচার্জের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বাতি লাইন আসবে। যা বিগত সময়েও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পর এসেছিল।
রিচার্জের বিষয়ে বুঝতে সমস্যা হলে গ্রাহকদের ওজপাডিকোর কল সেন্টারে (১৬১৭৭) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রি-পেইড মিটার বিষয়ক নির্বাহী প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম বলেন, যখন বিদ্যুতের ট্যারিফ বা মূল্য চেঞ্জ হয় তখন টোকেনের এই সমস্যাটা হয়। সার্ভার থেকে মিটারে তথ্য জমা দিতে গেলে এতোগুলো টোকেন আসে। এই প্রবণতা আবাসিক গ্রাহকপর্যায়েই বেশি। কারণ এই খাতে স্লাবের সংখ্যা বেশি।
তিনি বলেন, আবাসিক গ্রাহক শ্রেণির ছয়টি ধাপ আছে। (০-৫০ ইউনিট, ০-৭৫ ইউনিট, ৭৬-২০০ ইউনিট)। এই সবগুলো স্লাব বা ধাপের জন্য দশ-বারোটা টোকেন আসে। এটা একটা সফটওয়্যারগত ইস্যু। অনেক গ্রাহক আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। অনেকে বিষয়টা বোঝেন, অনেকে বুঝতে চান না। আমরা ইতোমধ্যেই সফটওয়্যারগত এই সমস্যাটা ঠিক করার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি। যা প্লানিং কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই পল্লী বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য যেসব সংস্থা যেমন ডেসকো, ডিপিডিসি, নেসকো, বিপিডিসি ইত্যাদির প্রিপেইড মিটার রিচার্জ সিস্টেমের এসব ভোগান্তির নিরসন হবে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দেশে গত বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত মোট বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩১ লাখ। এর মধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছেন ৫১ লাখ ৭ হাজার ৪৫২ জন। সে হিসাবে দেশের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছে।
দেশে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ করছে ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থা। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৯১, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ১৩ লাখ ১০ হাজার ৫৬৪, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৬৯, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ৬ লাখ ১৪ হাজার ২০৫, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো) ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৩ ও নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ৫ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে। প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ছয়টি প্রকল্প চলছে।
অন্যরা যা পড়ছেন
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
শিব নারায়ণ দাশের কর্নিয়ায় পৃথিবীর আলো দেখলেন কালাম ও মশিউর
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ
সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আট জনের মৃত্যু
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক গণমাধ্যমে বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।
তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।
মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
এএম/
জাতীয়
এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেশি মোটরসাইকেলে
Published
4 hours agoon
এপ্রিল ২৪, ২০২৪পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৫ দিনে (৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল) দেশে ৩৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষ। ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় মানবসম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য ১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। গেলো বছরের তুলনায় এবার ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে সেফটি ফাউন্ডেশন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।
সংস্থাটি জানায়, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ঈদযাত্রায় ২৪০টি দুর্ঘটনায় ২৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৫ দিনে (৪ এপ্রিল-১৮ এপ্রিল) দেশে ৩৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে দেড় হাজার জন। ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় মানব সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে তার আর্থিক মূল্য ১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ঈদযাত্রায় ২৪০টি দুর্ঘটনায় ২৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এ হিসাবে এ বছরের ঈদুল ফিতরে দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩৯ দশমিক ২০ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ২০ দশমিক ১৯ শতাংশ।
তারা জানায়, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ৬৩, শিশু ৭৪। ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৬৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪১ জন। এ সময়ে তিনটি নৌ দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। ১৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা নেই। এটি আমাদের জীবনে নিত্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবকিছু চলছে দায়সারাভাবে। অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে সড়ক পরিবহন খাতের অব্যবস্থাপনার কারণে। এ অবস্থার উন্নয়নে টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা।’
দেশে মাসজুড়ে চলা টানা তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যগত উচ্চঝুঁকিতে আছে শিশুরা। একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান এই তাপপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় আমাদের আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে।
ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ রয়েছে শিশুরা। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে শিশুদের জন্য। বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানি শূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চতাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
মাসের এখনও বাকি সপ্তাহখানেক, এরই মধ্যে কয়েক দফায় হিট অ্যালার্ট জারি হয়েছে দেশে। মাসের মাঝামাঝি এসে প্রতিদিন মরুর দেশগুলোর তাপমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা।
টানা এই তাপপ্রবাহকে অস্বাভাবিক বলছেন দেশের আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমে বলেছেন, গত এক দশক থেকেই এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকছে তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসের গড় স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.২। তবে এবার এপ্রিলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির ওপরে থাকছে।
এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের ওপর অসহনীয় গরমের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে সারা দেশে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জলবায়ুর ক্রমবর্ধমান বিরূপ পরিবর্তনে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফও।
তাপপ্রবাহ থেকে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষার জন্য সম্মুখসারির কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, পরিচর্যাকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে।পদক্ষেপ হলো।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠান্ডা জায়গার ব্যবস্থা করুন। তপ্ত দুপুর ও বিকেলের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখুন। শিশুরা যেন হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সারা দিন তারা যেন প্রচুর পানি পান করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা
যদি কোনো শিশু বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয় (যেমন, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশীতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি) তাহলে তাকে একটি ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান, যেখানে ছায়া এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের সুযোগ আছে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিন বা গায়ে ঠান্ডা পানি দিন। তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন পান করতে দিন। হিট স্ট্রেসের (তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতার) উপসর্গ তীব্র হলে (যেমন কোনোকিছুতে সাড়া না দিলে, অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তীব্র জ্বর, হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেলে, খিঁচুনি দেখা দিলে এবং অচেতন হয়ে পড়লে) তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিতে হবে।
প্রতিবেশীদের প্রতিও খেয়াল রাখার পরামর্শ
তাপপ্রবাহ চলাকালে অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিরাই সবার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি মৃত্যুর উচ্চঝুঁকিতেও তারাই বেশি থাকেন। আপনার প্রতিবেশী, বিশেষ করে যারা একা থাকেন, তাদের খোঁজ নিন ও খেয়াল রাখুন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশব্যাপী বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এমনিতে এপ্রিল বছরের উষ্ণতম মাস; তবে অন্যান্য যেকোনো বছরের চেয়ে অনেক বেশি উত্তাপ ছড়াচ্ছে এবারের মাসটি। অসহনীয় গরমে এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাঁসফাঁস করছে জনজীবন।
এএম/
জাতীয়
নতুন এক ইতিহাস গড়লেন অভিনয়শিল্পী বাঁধন
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, অভিনয় শিল্পী হিসেবে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি পেয়েছেন সন্তানের...
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন
তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ।...
দাফনের ১৫ দিন পর তোলা হলো ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের ১৫ দিন পর কবর থেকে এক ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ তুলেছে পুলিশ। ওই ব্যাংক...
ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, ৬ শ্রমিক নিহত
রাঙ্গামাটির সাজেক উদয়পুর সড়কে একটি শ্রমিকবাহী ড্রামট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৮ জন আহত...
এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেশি মোটরসাইকেলে
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৫ দিনে (৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল) দেশে ৩৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত...
নাশকতার তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন
রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের হওয়া পৃথক তিন মামলায় জামিন পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা...
শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মা তাহমিনা আক্তার রিমা নামের এক নারী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার...
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলে বারবার খবরের শিরোনামে আসেন ঢালিউড চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা শবনম বুবলী। কিছুদিন পরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাকিব...
‘তাপপ্রবাহে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা’
দেশে মাসজুড়ে চলা টানা তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যগত উচ্চঝুঁকিতে আছে শিশুরা। একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার...
এনএসইউর শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ধারণা হিট স্ট্রোক
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক ওয়ারেছ তূর্য মারা গেছেন। তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে...
নতুন এক ইতিহাস গড়লেন অভিনয়শিল্পী বাঁধন
নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে থাকছেন না রিজওয়ান
ইসরাইলি সামরিক স্থাপনায় ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত উসাইন বোল্ট
ভাগ্যশ্রীর বদলে ‘প্রথম প্রেমিকাই’ হতে পারতেন সালমানের নায়িকা
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন
দেশের দুই বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি
দাফনের ১৫ দিন পর তোলা হলো ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ
মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
তিন লাখেরও বেশি হোটেলকক্ষ বানাবে সৌদি আরব
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
খরচ কমলো হজ প্যাকেজের
‘প্রেমিকার দেয়া প্যান্ট ও শার্ট পরে চিরবিদায় নিলেন প্রেমিক’
কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীদের নদীতে ঝাঁপ
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন চট্টগ্রামে
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
সর্বাধিক পঠিত
- বলিউড3 days ago
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
- বাংলাদেশ5 days ago
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
- বাংলাদেশ5 days ago
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
- বাংলাদেশ6 days ago
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন
- আবহাওয়া4 days ago
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
- জাতীয়4 days ago
খরচ কমলো হজ প্যাকেজের
- বাংলাদেশ7 days ago
‘প্রেমিকার দেয়া প্যান্ট ও শার্ট পরে চিরবিদায় নিলেন প্রেমিক’
- দুর্ঘটনা4 days ago
কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীদের নদীতে ঝাঁপ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন