Connect with us

জাতীয়

সংসদে শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করলেন অর্থমন্ত্রী

Published

on

দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপির সংখ্যা সাত লাখ ৮৬ হাজার ৬৫ জন। জাতীয় সংসদে দেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এদের মোট ঋণ স্থিতির পরিমাণ ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী জানান, শীর্ষ ২০ খেলাপির মধ্যে সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ঋণের স্থিতি এক হাজার ৭৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক হাজার ৬৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ঋণের স্থিতি এক হাজার ৮৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তাদের খেলাপির পরিমাণ এক হাজার ৫২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ঋণের স্থিতি এক হাজার ৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এদের পুরোটাই খেলাপি ঋণ। রাইজিং স্টিল কোম্পানি লিমিটেডের ঋণের স্থিতি এক হাজার ১৪২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণ ৯৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ৯৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। তাদের পুরোটাই খেলাপি ঋণ। রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের স্থিতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ একই। তাদের খেলাপি ঋণ ৮৭৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

ক্রিসেন্ট লেদারর্স প্রডাক্ট লিমিটেডের স্থিতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমস লিমিটেডের স্থিতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সাদ মুসা ফেব্রিক্স লিমিটেডের ঋণের স্থিতি এক হাজার ১৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বি আর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের স্থিতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

এস.এ অয়েল রিফাইনারী লিমিটেডের ঋণের স্থিতি এক হাজার ১৭২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭০৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। মাইশা প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৬৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ৭৭০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সামান্নাজ সুপার অয়েল লিমিটেডের ঋণের স্থিতি এক হাজার ১৩০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৫১ কোটি ৭ লাখ টাকা।

Advertisement

মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৪৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আশিয়ান এডুকেশন লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ৬৫৩ কোটি টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এস.এম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ৮৮৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩০ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ৮৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এহসান স্টিল রি-রোলিং লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ৬২৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৯০ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং সিদ্দিকী ট্রেডার্সের ঋণের স্থিতি ৬৭০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

জাতীয়

সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

Published

on

সিলেটের নদ-নদীতে পানি বেড়ে যাওয়া ও বন্যার কারণে জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সিলেটের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো হলো- গোয়াইনঘাটের জাফলং, রাতারগুল ও বিছানাকান্দি, কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর এবং জৈন্তাপুরের লালাখাল।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) উপজেলা প্রশাসন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়।

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হয়েছে। ইতোমধ্যে গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ জানান, উপজেলার ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পর্যটন কেন্দ্রসমূহ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটন ঘাটসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

জাফলং পর্যটন স্পট বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম। সেই সঙ্গে তিনি জানান, বুধবার (৩০ মে) এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আবারও বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা চালু করছে ওমান

Published

on

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশিদের জন্য ১২ ক্যাটাগরির ভিসা চালু করছে ওমান সরকার। ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফ্যামিলি ভিসা, জিসিসি দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য ভিজিট ভিসা, চি‌কিৎসক ভিসা, প্রকৌশলী ভিসা, নার্স ভিসা, শিক্ষক ভিসা, হিসাবরক্ষক ভিসা, বিনিয়োগকারী ভিসা ও সব ধরনের অফিসিয়াল ভিসা।

গেলো বুধবার (২৮ মে) বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ওমানের সভাপতি সিরাজুল হকের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে টাইমস অব ওমান।

এর আগে গেলো বছরের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদান স্থগিত করে ওমান। সে সময় রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপির) বিবৃতিতে জানায়, সব শ্রেণির বাংলাদেশি নাগরিকদের নতুন ভিসা ইস্যু স্থগিত কার্যকর হয়েছে। ওমানে ট্যুরিস্ট ও ভিজিট ভিসায় আসা প্রবাসীদের ভিসা পরিবর্তন করার সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে। তবে এর কোনো কারণ তখন আরওপির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।

মাস্কাটের বাংলাদেশ দূতাবাস তখন এক বিবৃতিতে জানায়, ভিসা প্রদান বন্ধের এই প্রক্রিয়াটি সাময়িক।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বেনজীর, আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

সংগৃহীত ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশি এক সাংবাদিক।  পাশাপাশি র‍্যাবের কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের মিশনে মোতায়েনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওই  সাংবাদিক।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের প্রেস ব্রিফিংয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী নামে বাংলাদেশি সাংবাদিক প্রশ্ন করেন। তার প্রশ্নটি ছিলো-‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা বাংলাদেশের পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির খবর প্রকাশ হয়েছে। আপনি কী দয়াকরে বলতে পারেন মার্কিন কোনো সংস্থা কী যুক্তরাষ্ট্রে বা অন্য দেশে তার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে এবং কোনো সম্পদ জব্দ করেছে? একইভাবে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ সম্পর্কে কোনো তথ্য আছে কী? যার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  এরইমধ্যে  ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি যারা অবাধে সবকিছু করে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কিনা?’

জবাবে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আপনার প্রথম প্রশ্নের জবাবে সম্মানের সঙ্গে জানাচ্ছি, নতুন করে ঘোষণা দেওয়ার মতো আমার হাতে কিছু নেইা

দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলছি, ‘আপনি যেসব অভিযোগ ও সংবাদমাধ্যমের যেসব রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছেন, সে সম্পর্কে আমি জানি। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই দুর্নীতির বিরোধিতা করে আসছে। দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দেয়,  উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে অস্থিতিশীল করে ও গণতন্ত্রকে দুর্বল করে। শুরু থেকেই দুর্নীতির বিরোধিতা যুক্তরাষ্ট্রের মূল জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হিসেবে পরিণত। তবে এই প্রশ্নের বিষয়ে নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। আমরা কখনোই নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে আগে থেকে কিছু বলি না।’

Advertisement

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী নামে ওই সাংবাদিক আরেকটি প্রশ্ন করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে।

মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নটি ছিলো, ‘জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে এবং সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়মিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী হিসেবে মোতায়েন করা হয়।মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের জন্য হতে পারে। র‍্যাবের কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের মিশনগুলোতে মোতায়েন করা হচ্ছে, এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কতটা উদ্বিগ্ন। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য তহবিল দেয়, প্রায় ২৭ শতাংশ তহবিল মার্কিন করদাতাদের অর্থ থেকে?’

জবাবে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এসব রিপোর্ট সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত আছি।আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা উন্নয়নে  শান্তিরক্ষা কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা বিশ্বাস করি শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার রক্ষা করা অপরিহার্য। নীতিমালা অনুসারে, জাতিসংঘ সেইসব দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে যেসব দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত সেনা বা পুলিশ পাঠাচ্ছে না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই ব্রিফিংয়ে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হতাযজ্ঞ বন্ধ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের অস্ত্র সহায়তাসহ বিভিন্ন ইস্যুও স্থান পায়।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version