Connect with us

আন্তর্জাতিক

জার্মান ইউক্রেনকে দেবে লিওপার্ড-২ ট্যাংক

Published

on

ইউক্রেন

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউক্রেনে লিওপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া ইউরোপের অন্য দেশগুলোর কাছে থাকা এ ট্যাংকও কিয়েভে পাঠানোর অনুমতি দেবে দেশটি।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

লিওপার্ড-২ ট্যাংক জার্মানিতে তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে এ ট্যাংক কিনেছে আরও অনেক দেশ। তবে যেসব দেশের কাছে লিওপার্ড-২ আছে তারা যদি তৃতীয় কোনো দেশে এটি পাঠাতে চায় তাহলে জার্মানির অনুমতি লাগবে।

কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, এ আশঙ্কা থেকে ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল বার্লিন।

তবে জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, আন্তর্জাতিক চাপের পর এখন ইউক্রেনে আপাতত ১৪টি লিওপার্ড-২ ট্যাংক পাঠাতে রাজি হয়েছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ।

Advertisement

জার্মানির আগে পোল্যান্ড জানায়, তারাও ১৪টি লিওপার্ড-২ ট্যাংক পাঠাবে। এর আগে যুক্তরাজ্য ১৪টি চ্যালেঞ্জার ট্যাংক দেয়ার ঘোষণা দেয়। এছাড়া মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে ট্যাংক দেবে। বুধবারের মধ্যেই এম১ আব্রাহাম ট্যাংক দেয়ার ঘোষণা দেবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইম জানায়, ইউক্রেনে ৩০ থেকে ৫০টি আব্রাহাম ট্যাংক পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস জানিয়েছে, ইউরোপের ১৬টি দেশের কাছে লিওপার্ড ট্যাংক আছে। এই ১৬টি দেশের সবগুলো যে ইউক্রেন ট্যাংক পাঠাবে এমনটি নয়। তবে জার্মান চ্যান্সেলর যেহেতু অনুমতি দিতে যাচ্ছেন, ফলে ওই দেশগুলো ইচ্ছে করলে কিয়েভকে এই ভারী যান দিতে পারবে।

এদিকে ইউক্রেন পশ্চিমাদের কাছে ৩০০টি ট্যাংক চেয়ে আসছে। যদিও এতগুলো পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যেসব দেশের কাছে ট্যাংক আছে সেসব দেশ যদি ১২টি করেও ট্যাংক পাঠায় তাও এটি ১০০ ছাঁড়িয়ে যাবে। যা রাশিয়ানদের প্রতিহত করতে ইউক্রেনীয়দের জন্য অনেক বেশি সহায়ক হবে।

তবে ইউক্রেন ট্যাংক পেলে যুদ্ধের মোড় রাতারাতি ঘুরে যাবে এমনটিও বলা যাবে না। বর্তমানে আকাশ শক্তিতে ইউক্রেনের চেয়ে এগিয়ে আছে রাশিয়া। যেগুলো ব্যবহার করে প্রায়ই ইউক্রেনে বড় হামলা চালাচ্ছে দেশটি। ফলে রাশিয়ার আকাশ হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনেরও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। পশ্চিমা মিত্রদের কাছে যুদ্ধের শুরু থেকে বিমান চেয়ে আসছে কিয়েভ। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দেশ বিমান দিতে রাজি হয়নি।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

আন্তর্জাতিক

দুই পা-এক হাত নিয়েই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তৃতীয় লিঙ্গের মডেল

Published

on

সংগৃহীত ছবি

তৃতীয় লিঙ্গের নারী মডেল আউম। পুরো নাম আমবুন আউ মায়খাও। ঈশ্বর জন্ম থেকেই তার দুই পায়ের নিচের অংশ ও এক হাত কেড়ে নিয়েছেন। তবে দমে যাননি তিনি। হার না মানা লড়াকু মনোভাবের কারণেই পেরেছেন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। মিস ট্রান্স থাইল্যান্ড‍ ২০২৩ এর ফাইনালিস্টদের তালিকায়ও ছিলেন এই মডেল।

২০২৩ সালের ২৯ জুলাই থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের মাম্বো এন্টারটেইনমেন্ট হলে অনুষ্ঠিত হয় ওই মিস ট্রান্স থাইল্যান্ড প্রতিযোগিতা। শীর্ষ ২২ ফাইনালিস্টদের তালিকায় ছিলেন বেউং কান প্রদেশ থেকে উঠে আসা সুন্দরী আউম। তার লক্ষ্য ছিলো সেরা দশের তালিকায় থাকা। তবে পরে আর এগুতো পারেননি। ওই প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরীর মুকুট পরেন সিংবুড়ি প্রদেশের পলি নথায়া।

গ্রান্ড ফিনালের সেরা দশে পৌঁছতে না পারলেও একটি সবার কাছে একটি মেসেজ পৌঁছে দিয়েছেন আউম। জীবনের আসল বিজয় অন্যকে হারানো নয়-এই চিরন্তন সত্যটি সমাজের কাছে তুলে ধরেন এই তৃতীয় লিঙ্গের মডেল।

শারীরিক প্রতিবন্ধী এই নারী মডেল দেখিয়ে দিয়েছেন-আসল বিজয় হচ্ছে-অতীতকে ভুলে গিয়ে বর্তমান অস্তিত্বকে নিয়ে চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া।

তাইতো আউমের অক্ষমতা তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত করেনি। আউম শিরোপা জয়ের জন্য কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল  তা বিচারকরাও টের পেয়েছেন। র‌্যাম্প মডেলের বেশে সাবলিল ভাবে মঞ্চে ক্যাটওয়াক ও দলীয় নৃত্যপর্বে তার পারফরমেন্স ছিলো চোখে পড়ার মতো।

Advertisement

আউমের অধ্যাবসায় ও ইতিবাচক মনোভাব অনেকের মন জয় করেছে। যারা দুঃখ ও কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আউমের গল্পটি তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। কষ্ট ও বিভ্রান্তির মধ্যে থেকে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য উদাহরণ হতে পারে আউম।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের অনেকে আউমের আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ় মনোভাবের  প্রশংসা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অসম্ভব শক্তিশালী! প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ার পর যেসব কষ্ট ও নেতিবাচকতা আউমকে সহ্য করতে হয়েছিল তা কল্পনীয়। তবে আউম নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন, সবকিছু সহ্য করেছেন এবং অবশেষে তার  ক্ষমতা নিয়ে যারা সন্দিহীন ছিলো তা ভুল বলে প্রমাণ করতে পেরেছেন।

আরেকজন লিখেছেন- সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাকে আমি সব সময় অস্বস্তিকর বলে মনে করি। কিন্তু এটি এমন এক ধরণের প্রতিযোগিতা যেটি আমাকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। তুমি আগুন জালিয়ে রাখো সুন্দরী।

সুন্দরী প্রতিযোগিতায় হাত-পা ছাড়া একমাত্র প্রতিযোগি নন আউম। ২০২১ সালে মিস ইকুয়েডর প্রতিযোগি ভিক্টোরিয়া সালসেডোরের নামও জড়িয়ে আছে। ২০০১ সালে পাঁচ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়া বৈদ্যুতিক দুর্ঘনায়  আহত হলে জীবন বাঁচাতে তার দুই ও এক কেটে ফেলা হয়।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

টোকিওতে সানজা মাতসুরি উৎসবে জাপানিদের ঢল

Published

on

টোকিওতে হয়ে গেলো জাপানিদের বৃহত্তম ধর্মীয় সানজা মাতসুরি উৎসব।গ্রীষ্মের আগমনের ঘোষণা দেয়া এই উৎসব টোকিও’র আসাকুসা এলাকায় উদযাপিত হয়েছে। রোববার(১৯ মে) খুব সকালে আসাকুসা মন্দির থেকে তিনটি ভ্রাম্যমান মন্দির বয়ে আনা হয়। এরপর, ‘মিকোশি’ নামে ওই বহনযোগ্য মন্দির নিয়ে শহরের বাসিন্দারা বিভিন্ন সড়কে শোভাযাত্রা করেন।

বার্ষিক সানজা মাতসুরি উৎসবে অংশ নিতে শুক্রবার থেকেই হাজারো ভক্ত টোকিওর রাস্তায় ভীড় জমায়। জাপানিদের তিনটি বড় উৎসবের মধ্যে এটি বৃহত্তম হিসেবে বিবেচিত। ঐতিহাসিক সেনসো-জি বৌদ্ধ মন্দিরের তিন প্রতিষ্ঠাতা হিনোকুমা হামানারি, হিনোকুমা তাকেনারি এবং হাজিনো নাকাতোমোর সম্মানে এটি উদযাপন করা হয়।

উৎসবের নিয়ম অনুযায়ি, শনিবার আসাকুসার ৪৪টি জেলা থেকে প্রায় ১০০ মিকোশি জড়ো হয় কামিনারিমনে। তারপর নাকামিসে ডোরি দিয়ে প্যারেড করতে করতে হোজোমনে গিয়ে থামে। সেখানে তারা ধর্মীয় গুরু কাননের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। পরে মিকোশিগুলোকে আসাকুসা মন্দিরে নেওয়া হয়। সেখানে শিন্টো পুরোহিতরা আসছে বছরের জন্য আশির্বাদ ও শুদ্ধ করে।

তিন দিনের ওই উৎসবটি শুরু হয় আসাকুসা জিনজা মন্দিরে। উৎসবের শেষ দিন রোববার কুখ্যাত ইয়াকুজা ক্রাইম সিন্ডিকেটের ট্যাটু করা সদস্যরা আসাকুসা জেলার মধ্য দিয়ে ‘মিকোশি’ নামে পরিচিত তিনটি বড় মন্দির বহন করে নিয়ে যায়। এই মন্দিরে মিকোশিগুলোকে রাস্তায় নামানোর আগে ঐতিহ্যবাহী প্যারেড করেন। এসময় সংগীতশিল্পী, অভিনয়শিল্পী এবং নৃত্যশিল্পীরাও ঐতিহ্যবাহী জাপানি পোশাকে আসাকুসার রাস্তায় অংশগ্রহণ করেন। আর এটি চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

সোনার ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো ও সোনার পাতা দিয়ে আঁকা তিনটি বড় মিকোশির প্রত্যেকটির ওজন প্রায় এক টন। প্রতিটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ মিলিয়ন ইয়েন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা।প্রতিটি মিকোশিকে চারটি লম্বা খুঁটির ওপরে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মিকোশিকে ৪০ জন লোক বহন করে থাকে।

Advertisement

১৩১২ সাল থেকে চলে আসছে জাপানের এই ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক এই উৎসবে যোগ দিতে টোকিও আসেন।
এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফাঁদে ফেলে ১৫ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে হামাস

Published

on

সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় ট্র্যাপে ফেলে ১৫ জন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক বাহিনী-ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড।
হামাসের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা রাফা শহরের আল-তানুর এলাকার একটি বাড়িতে আগে থেকে বোমা পেতে রেখেছিল। ইসরায়েলি সেনারা ওই বাড়িটিতে প্রবেশ করার পর সেটির বিস্ফোরণ ঘটায় যোদ্ধারা।
হামাসের সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, বিস্ফোরণের পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া ইসরায়েলি সেনারা বাড়িটি থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তবে রাফার ওই ঘটনার ব্যাপারে ইসরায়েল এখনও কিছু জানায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে বড় ধরনের হামলা চালিয়ে ১২ শ’রও বেশি ইসরায়েলিকে হত্যা ও তিন শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এই হামলার পরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজার। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে।সেখান দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে এর জন্য বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।
এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version