করোনায় সারাদেশে রেকর্ড ১৩৬ মৃত্যু

এখন আর সীমান্ত জেলা নয়, ভয়াবহ করোনা ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী। তাই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সীমিত লকডাউনেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তবে আজ থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। রোগী বাড়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে দিশেহারা চিকিৎসক ও নার্সরা।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় রেকর্ড ১৩৬ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে দক্ষিণ ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ৯৬ জন।

এবার নতুন হটস্পট হিসেবে যুক্ত হয়েছে টাঙ্গাইল। করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মারা গেছেন ১৬ জন। ৬২৮টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ২৫৭ জন। হার ৪০ দশমিক ৯২ শতাংশ। ৫০ শয্যার বিপরীতে ৬০ জন ভর্তি থাকায় অনেকের চিকিৎসা চলছে মেঝেতে।

এদিকে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেলে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ১৪, নওগাঁর ৫, এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও ঝিনাইদহের একজন করে। ২৪ ঘণ্টায় ৪০৬টি নমুনা পরীক্ষায় ১৬২ জন শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক নয় শতাংশ।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত ই খুদা জানান, সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় ১৪ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় ১৯২টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। হার ৩৫ শতাংশ। জেলায় ৮০৯ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এদিকে সাতক্ষীরায় যে ১৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৬ জনের অক্সিজেন সংকটে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতদের স্বজনদের।

খুলনা মেডিকেলে আরটি পিসিআর ল্যবে দুষণ দেখা দেয়ায় নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নগরীর তিনটি হাসপাতালে মারা গেছেন ১১ জন। তাদের মধ্যে ৫ জন খুলনার, ৩ জন বাগেরহাটের ও একজন যশোরের। ২৪ ঘণ্টায় ৬৩৩টি নমুনা পরীক্ষায় ২৪২ জন শনাক্ত হয়েছেন। হার ৩৮ শতাংশ।

যশোর সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, যশোরে মারা গেছেন ১২ জন। ৫৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪২ জন শনাক্ত। হার ২৭ শতাংশ। তবে কুষ্টিয়ায় মারা গেছেন ৯ জন। আর চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে ৫ জন করে মারা গেছেন।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে ৮ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ১২৯ জন।

করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে বগুড়ায়। ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন মারা গেছেন। এছাড়া ৩৫২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ১৩২ জন। হার ৩৮ শতাংশ।

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে সিলেটে ৭ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, নাটোর, পিরোজপুর ও দিনাজপুরে ৪ জন করে, লালমরিহাটে ৩ জন এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ২ জন মারা গেছেন।

Recommended For You

Exit mobile version