পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারিকে নয়াদিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সে দেশের প্রধান বিচারপতি ওমর আট্টা বান্দিয়ালকেও। ভারতে আসন্ন শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠক উপলক্ষ এই আমন্ত্রণ। তবে আমন্ত্রণ স্বীকার করে তারা নয়াদিল্লি আসবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র।
জি২০-র পাশাপাশি ভারত চলতি বছরের (এসসিও) গোষ্ঠীরও সভাপতিত্ব করছে। রাশিয়া, চিন, ইরান, ভারত, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে তৈরি এই গোষ্ঠীর প্রধান বিচারপতি পর্যায়ের বৈঠক মার্চ মাসে। বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক মে-তে। চিন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে বলে এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনটির সম্মেলনের বাইরে ইসলামাবাদ থাকতে চাইবে না বলেই কূটনৈতিক মহলের অনুমান।
বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকটি হবে গোয়ায়। যদি আমন্ত্রিত দু’জনই আসেন তা হলে তা দক্ষিণ এশিয়ার রণনীতিতে একটি মাইলফলক ঘটনা হতে চলেছে। বহু বছর পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের কোনও নেতাকে আসতে দেখা যায়নি ভারতে। তবে তাদের না পাঠিয়ে হয়তো অপেক্ষাকৃত নিম্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠাতে পারে পাকিস্তান সরকার। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নিহত আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের তুলনা টেনে কূটনৈতিক সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, বিলাবল ভুট্টো এলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় কোনও পরিবর্তন আনবে, বিষয়টি এমন নয়। কিন্তু নিঃসন্দেহে তা বরফ গলানোর প্রাথমিক কাজটা করবে। জুন মাসে এসসিও শীর্ষ সম্মেলন এবং সেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ডাকা হবে বলেই খবর। এই সফরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে এক ধরনের সংযোগ ফের তৈরি করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার পরেই অক্টোবর ও নভেম্বরে ভারতে রয়েছে এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এসসিও-র বৈঠক সফল হলে পাক ক্রিকেট দলের ভারত সফরের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।