Connect with us

আওয়ামী লীগ

সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতা যাচাই করবে জনগণ : প্রধানমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতা যাচাই করবে দেশের জনগণ। এটা যাচাই আমার দায়িত্ব নয়। তবে, সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে কাজ করলে ব্যর্থ হব কেন? বললেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা

আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ৩০ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সততা নিয়ে কাজ করলে ব্যর্থ হতে হবে কেন? প্রশ্নকর্তার যখন এতই আগ্রহ তাহলে আমার ব্যর্থতাগুলো আপনিই খুঁজে বের করে দিন, আমি সংশোধন করে নেব।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতার আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলাম। চারণের বেশে সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি। বাংলাদেশকে চিনেছি, জেনেছি। সরকার গঠনের পর তৃণমূলের মানুষ যাতে ভালো থাকে সেই আকাংখা নিয়েই কাজ করেছি। তার সুফল এখন জনগণ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশে যে আমূল পরিবর্তন সেটা আমরা বয়োবৃদ্ধ যারা আছি তারা জানি। কিন্তু, আজকের প্রজন্ম জানবে না। যদি সততা নিয়ে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণে কি কাজ করতে হবে- সেটা বিবেচনা করে যদি কাজ করা যায়, তাহলে ব্যর্থ হবো কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটা জনগণই বের করবে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিচার করতে গেলে তো কাকে রেখে কাকে বিচার করবো সেটাই একটা প্রশ্ন। ’৭৫ পরবর্তী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা সবাইতো ইতিহাস বিকৃত করেছে। যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে ইতিহাসই তাদের বিচার করে দিয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।

তিনি বলেন, মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে রাখা যায় না। যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে তাদের চরিত্রটা মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়েছে। কত জঘণ্য কাজ তারা করে গেছে। তাই, যারা সত্যটাকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকতে চেয়েছিল তারাই আজকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে চলে গেছে। সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। সত্য অনেক কঠিন। তবে, এর জয় অবসম্ভাবী। বিচার প্রাকৃতিকভাবেই তাদের হচ্ছে। সত্য ইতিহাস আর কেউ বিকৃত করতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান বন্দী যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে দেয়। তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে। সংবিধানের দু’টি ধারায় পরিবর্তন এনে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। ভোটের অধিকার দেয়।

সংসদ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান গোলাম আযমসহ অনেক যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দেয়। জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের উপদেষ্টা বানায়, মন্ত্রী বানায়। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে এদের কেবিনেটে স্থান দেয়, মন্ত্রী বানায়। এভাবে যুদ্ধাপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়া একটি জাতির জন্য কলঙ্কজনক।

তিনি বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যারা জিয়ার সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি ছিল না তাদের নাম বাদ দেয়া, অপমানিত করা এবং যারা মুক্তিযোদ্ধা নয় তাদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান তারা দিতে চায়নি। ৭৫ এর পরে এমন একটা সময় গেছে যে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে সেটা বলতেও ভীতসন্তস্ত্র ছিল। তখন একে একে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করা হয়। চাকুরিচ্যূত করা হয়েছে, অপমানিত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরিও দেয়া হতো না। এমন ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসও বিকৃতি করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলা হয়। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অনেকগুলো ইতোমধ্যে পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যাতে তালিকায় থাকে সেই প্রচেষ্টা করার।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যুদ্ধটা জনযুদ্ধ ছিল, মনে রাখতে হবে এখানে গেরিলা যুদ্ধ হয়েছে। অনেক সময় কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়ির মুরব্বিকে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হতে হয়েছে। তাদের মেম্বার করে রেখেছে। কিন্তু বাড়ির ভেতরে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের অস্ত্র রাখতে দিয়েছে। মেয়েরা রান্না করে খাইয়েছে। অপারেশন চালিয়েছে। যে কারণে জাতির পিতা একটি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু যারা গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নারী ধর্ষণ করেছিল তাদের ক্ষমা করেননি, তিনি বিচার করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তর পরবর্তীকালে সবকিছু পাল্টে যায়। মনে হয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অপরাধ করে ফেলেছে। স্বাধীনতা বিরোধীতা ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে। তবে, বর্তমানে সেই অবস্থা নেই।

জামালপুর-৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু, সেখানে টেকনিক্যাল লোক পাওয়া কঠিন। অনেকই বিদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে কাজ দেয়া হয়। সরকার টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে। যাতে দক্ষ জনগোষ্ঠি তৈরি হয়। তাদের চাকরির অভাব নেই। পাস করার সঙ্গে সঙ্গে তারা তৈরি পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় চাকরি পায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেক্সটাইল শিক্ষার্থী নয়, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টারিসহ অন্যান্য বিষয়ে পাস করে বিসিএস দেয়ার প্রবণতা আছে। এত বেশি ক্যাডার সিস্টেম হয়ে গেছে। আমরা কিন্তু ইতোমধ্যে অর্থনীতি ও প্রশাসন ক্যাডারকে এক করে দিয়েছি। এক্ষেত্রে আরও কতটা সংকুচিত করা যায় সেটা ভালো। নতুন নতুন ক্যাডার সৃষ্টি করলেই যে চাকরির দুয়ার খুলে যাবে, ব্যাপারটা তেমন নয়। চাকরি করাটা তাদের ইচ্ছের উপর নির্ভর করে। অনেকক্ষেত্রে আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা কাজ পেয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের নতুন করে কোন ক্যাডার তৈরি করার পরিকল্পনা নেই। তবে, ভবিষ্যতে এটা যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারি।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আওয়ামী লীগ

জিয়াউর রহমানও বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে লজ্জা পাচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব বানোয়াট কথা বলে স্বয়ং জিয়াউর রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যাচ্ছেন। জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ)  রাজধানীর প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভায় এ কথা বলে ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তার মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫-এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে। জিয়াউর রহমান যে প্রকৃতপক্ষে একজন খলনায়ক ছিলেন সেটি মানুষ জানতে পেরেছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেবে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে নাকি সাদেক হোসেন খোকা ঢাকা থেকে লাফ দিয়েছিল। সে সময় কালুরঘাট বেতার কেদ্র থেকে ফেনী পর্যন্ত শোনা যেত। এদের কথা শুনলে হাসি পায়।

Advertisement

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম,চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি,সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

জনগণ বিএনপির দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিলো : কাদের

Avatar of author

Published

on

ওবায়দুল-কাদের
ফাইল ছবি

বাংলার জনগণ বিএনপির দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল,জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। সুতরাং বাংলার জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বললেন,  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই তারা স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়। দেশের প্রতিটি মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি;দেবেও না। তাই বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন দলের সম্পাদক বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতিকে সংবিধান উপহার দেন। ধর্মের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে; ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করে। জিয়া রাষ্ট্র ও সমাজের সকল জ্বরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

‘বিএনপি যখন মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রূপের হাসি হাসে’

Avatar of author

Published

on

১৯৭৫ এর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়ার হাতে জন্ম নেয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রূপের হাসি হাসে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে অসাংবিধানিক পন্থায় বন্দুকের নলের মুখে জাতিকে জিম্মি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। বিচারপতি সায়েমকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে সরিয়ে দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদ দখল করেছিল। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে মানবসভ্যতার ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। একইভাবে হস্তবকের দল ৩রা নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সেদিন ঘাতকচক্র অসহায় নারী, শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? কোথায় ছিল মানবাধিকার?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসনের নির্বাচনের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। জিয়ার তথাকথিত গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র। লাগাতার সামরিক শাসন বলবৎ রেখে জনগণের ওপর দুঃশাসনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করে গণতন্ত্রকামী জনগণের সঙ্গে নির্মম তামাশা করেছিল স্বৈরাচার জিয়া। অবৈধভাবে একই সঙ্গে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল স্বৈরাচার জিয়া। পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছিল, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে নির্বাসিত করেছিল। স্বৈরাচার জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ধারণ করে চলেছে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বৈরাচার জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। জাতিকে মিরপুর ও মাগুরা মার্কা উপ-নির্বাচন উপহার দিয়েছিল বিএনপি। নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করা হয়েছিল। ২০০১ পরবর্তী সময়কালে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপিই এ দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক।

Advertisement

তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের উচিত ছিল তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা। অথচ তারা সেটা না করে বরাবরের ন্যায় দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা আজ যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু নয়। গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই। গণতন্ত্রের জন্য তাদের এই আহাজারি মূলত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইড, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের অধিপতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। এদেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ এই অন্ধকারের অপশক্তির বিরুদ্ধে আজ ঐক্যবদ্ধ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অপরাধ4 mins ago

বাবার লাশ দাফনে বাধা, কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে

নীলফামারীতে জমি লিখে না দেয়ায় মজিবুর রহমান (৬৮) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ দাফনে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে।...

মেট্রোরেল মেট্রোরেল
জাতীয়2 hours ago

ইন্টারনেট ও ডিসের তার অপসারণের নির্দেশ

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) এমআরটি লাইন ৬ এর ওপর দিয়ে ৫১টি ভবনে টানা ইন্টারনেট ও ডিসের তার ২৪...

চট্টগ্রাম2 hours ago

নাফনদীর ওপারে যুদ্ধজাহাজ, বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে এপার

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তে নাফনদীর ওপারে দেখা মিলেছে মিয়ানমারের ১টি যুদ্ধজাহাজ। এটি সকাল থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত দেখা যায়।...

দুর্ঘটনা3 hours ago

সড়ক দুর্ঘটনায় এসবির সদস্য নিহত

রাজধানীর বকশিবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন নামে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবির) এক রিপোর্টার নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে...

জাতীয়4 hours ago

ঈদে ফাঁকা ঢাকায় কোনো সমস্যা হলে ট্রিপল নাইনে জানানঃ আইজিপি

এবার ঈদে ফাঁকা ঢাকায় কারো কোনো ধরনের সমস্যা হলে অথবা কোনো ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে তা দ্রুততম সময়ে জাতীয় জরুরি...

অপরাধ6 hours ago

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কানে গোপন ডিভাইস, ভাই-বোন আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কানের গোপন ডিভাইসসহ ভাই-বোনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে শহরের মেড্ডায় পৌর...

জাতীয়6 hours ago

জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ : প্রতিমন্ত্রী রুমানা

আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ...

জাতীয়7 hours ago

জুমার নামাজে বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল

রমজানের তৃতীয় জুমার নামাজে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ঢল নেমেছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়...

বাংলাদেশ8 hours ago

মুক্তিপণের বিষয়ে জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষ সর্বশেষ যা জানালো

গেলো ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হয়। এর পরে নাবিকদের মুক্তির...

বাংলাদেশ10 hours ago

ইউনেস্কোর পুরস্কারের প্রসঙ্গে যা বললো ইউনূস সেন্টার

চলমান বিতর্কের মধ্যে আজারবাইজানে একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘ট্রি অব পিস পুরস্কার’ নিয়ে একটি বক্তব্য...

Advertisement
বাংলাদেশ6 days ago

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে

আন্তর্জাতিক6 days ago

বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়

ডিবি-হারুন
বাংলাদেশ5 days ago

মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা

বাংলাদেশ5 days ago

৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা

জাতীয়4 days ago

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ

ঢালিউড3 days ago

মোশাররফ করিমের সাত জেলায় সাত বউ!

এশিয়া4 days ago

যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক7 days ago

গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে

বাংলাদেশ2 days ago

দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতা‌লি দূতাবাসের

এশিয়া2 days ago

রানওয়েতে দুই বিমানে ধাক্কা! ডানা ভাঙল দু’টিরই

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়2 days ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল5 days ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি1 week ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 weeks ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ2 weeks ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড3 weeks ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল3 weeks ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি4 weeks ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

অর্থনীতি4 weeks ago

গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!

অপরাধ1 month ago

ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা

সর্বাধিক পঠিত