ফুটবল
২৫ বছর অপেক্ষার পর ইউরোর সেমিতে ইংল্যান্ড
শিরোপা স্বপ্নে বিভোর প্রতিপক্ষকে ন্যূনতম চ্যালেঞ্জও জানাতে পারল না ইউক্রেন। ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ২৫ বছর পর সেমিতে থ্রি লায়ন্স ইংল্যান্ড।
রোমে ৪ মিনিটে হ্যারি কেইনের গোলে লিড পায় ইংল্যান্ড। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় থ্রি লায়ন্স। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোল উৎসব করেছে গ্যারেথ সাউথগেট শিষ্যরা। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে গোল করেন হ্যারি ম্যাগুয়ার। চার মিনিটের মধ্যে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান অধিনায়ক কেইন।
প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামা ইউক্রেন আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। বরং ৬৩ মিনিটে স্কোরলাইন ৪-০ করেন হেন্ডারসন। সবশেষ ১৯৯৬ সালে শেষ চারে খেলেছিল ইংল্যান্ড।
অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে পা রাখা ইংল্যান্ড শেষ ষোলোয় হারিয়েছে জার্মানিকে। এবার উজ্জীবিত ইউক্রেনকে হারিয়ে ৫৫ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর স্বপ্নে আরেক ধাপ এগোল ইংলিশরা।
এএ
ফুটবল
রেকর্ডের দিনে মেসি বললেন, ম্যাচ সহজ ছিল না
কোপা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন লিওনেল মেসির দখলে। এতদিন পর্যন্ত চিলির সের্হিও লিভিংস্টোনের সাথে ভাগাভাগি অবস্থানে ছিলেন মেসি। এই প্রয়াত গোলরক্ষকের ৩৪ টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড পেরিয়ে মেসি এখন ৩৫ টি ম্যাচ ঝুলিতে নিয়ে অবস্থান করছেন। এমন দিনে দলও জিতেছে কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে।
মেসির হাতে আরও সুযোগ ছিল। গোল করতে পারেননি। তবে গোল করিয়েছেন। একটি গোলে সরাসরি অবদান ছিল তার। আর অন্য গোলটিতেও মূল কাজটুকু করেছেন। আটালান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে কানাডার বিপক্ষে গোল পেয়েছেন হুলিয়ান আলভারেজ ও লাউতারো মার্টিনেজ।
প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। এরপর দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পর ৪৯ মিনিটে আলভারেজের পা থেকে প্রথম গোল আসে। যেখানে ম্যাক অ্যালিস্টারকে বল বাড়িয়েছিলেন মেসি। আর অ্যালিস্টারের পায়ের খোঁচাতেই আলভারেজ পেয়ে যান দলের পক্ষে প্রথম গোল।
এরপর ৮৮ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টাইন অধিনায়কের চমৎকার এক থ্রু-পাসে গোল করতে ভুল করেননি লাউতারো মার্তিনেজ। এই গোলের পর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।
আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা মোট ৬৫ শতাংশ বলের দখলে ছিলেন। আর ১৯ টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৯ টি শট। গোলের সুযোগ মিস না করলে হয়তো ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে পারতো মেসি বাহিনী।
ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, ‘আমরা ধৈর্য্য নিয়ে বলের দখল নিই এবং আক্রমণ চালাই। আজ আমাদের ফাঁকা জায়গা খুঁজে পেতে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে আলাদা ধরনের ফুটবল খেলে। যার বিপরীতে আমাদের মনোবল শক্ত রাখতে হয় এবং লক্ষ্য ছিল বল নিয়ন্ত্রণে রেখে সুযোগ আসলেই তা কাজে লাগানোর।’
আর্জেন্টিনা অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘আমরা জানতাম তাদের সঙ্গে কঠিন ম্যাচ হবে, কারণ তারা বেশ শরীরি ভাষায় জবাব দেয়। প্রথমার্ধে তো তেমন সুযোগই দেয়নি আমাদের। সৌভাগ্যবশত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আমরা গোল পেয়ে যাই, কিন্তু এরপরও ম্যাচ খুব একটা সহজ ছিল না।’
এম/এইচ
ফুটবল
আর্জেন্টিনার জয়ে সকাল শুরু
কোপা আমেরিকার উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে গোল করার সুযোগ দেয়নি কানাডা। বরং সামলিয়েছে খুব দারুণভাবে। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই হুলিয়ান আলভারেজ গোল পেয়ে বসেন। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল দ্বিতীয় গোলটি করে লাওতারো মার্তিনেজ। যেখানে লিওনেল মেসি থেকে সরাসরি থ্রু পাস পেয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও কানাডা। শুরু থেকেই কানাডা সুযোগ তৈরি করতে দিচ্ছিল না আলবিসেলস্তাদের। বরং কানাডা চাপ তৈরি করছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগে। তবে আর্জেন্টিনা পাল্টা জবাব দিতেও সময় নেয়নি। এভাবেই গোলশূন্য শেষ হয়েছে প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৪৯ মিনিটের মাথায় লিওনেল মেসি থেকে চমৎকার এক পাস যায় অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টারের কাছে। ম্যাক অ্যালিস্টার সুযোগ বুঝে আলভারেজের কাছে বল ছাড়েন। আর আলভারেজ তা জালে জড়াতে ভুল করেননি। আর্জেন্টিনার কাছ থেকে বেশ কিছু সুযোগ মিস করতেও দেখেছে স্টেডিয়ামের ৭১ হাজার দর্শক।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে মেসির কাছ থেকে দারুণ এক থ্রু পাস দেখা যায়। যা মার্তিনেজের পা থেকে জালে জড়িয়ে পড়ে। আর উচ্ছাসে ফেটে পড়ে আকাশী-নীল খেলোয়াড়েরা। কানাডাকে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি পয়েন্ট নিশ্চিত করে নেয় আর্জেন্টিনা।
ফুটবল
আর্জেন্টিনা-কানাডা ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে কোপা আমেরিকার
কোপা আমেরিকার ৪৮তম আয়োজন শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২১ জুন) ভোর ৬ ঘটিকায় আর্জেন্টিনা-কানাডা ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে কোপার। ফুটবলের প্রাচীনতম এই আয়োজন ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ থাকে আকাশচুম্বী। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মতো দল এখানে অংশ নেয়, যে দলগুলোর সমর্থক তো বিশ্বজোড়া।
যুক্তরাষ্ট্র আয়োজন করতে যাচ্ছে এবারের কোপা আমেরিকা। ২০২৬ বিশ্বকাপ মাথায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্রকে আয়োজকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে আগামী বিশ্বকাপ।
কোপা আমেরিকার শিরোপার অন্যতম দাবিদার আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালের সর্বশেষ আয়োজনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এরপর তো ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের কাঙ্ক্ষিত শিরোপাও নিজেদের করে নেয়। কোপা আমেরিকার সবচেয়ে সফল দুই দল আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। উভয় দলই ১৫ বার এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ১০ টি, উত্তর আমেরিকা থেকে ৬ টি দেশ নিয়ে আয়োজন করা হবে এবারের আসর। এই ১৬ দল যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ টি ভেন্যুতে লড়বে। দর্শকদের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল নিয়ে।
আর্জেন্টিনার গ্রুপে কানাডা, চিলি ও পেরু এবং ব্রাজিলের গ্রুপে আছে কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা। মোত ২৬ দিনের এই আসরের শিরোপা কার হাতে উঠবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত।
এম/এইচ
-
বাংলাদেশ2 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
-
আইন-বিচার5 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
-
ক্রিকেট7 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
-
বাংলাদেশ7 days ago
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলছে
-
বলিউড2 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
-
বাংলাদেশ5 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
-
আন্তর্জাতিক5 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!