Connect with us

রংপুর

ফুলবাড়ীতে টানা বৃষ্টি ও লকডাউনের প্রভাবে দাম নেই জাতীয় ফলের

Published

on

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে টানা বৃষ্টি ও কঠোর লকডাউনের প্রভাব পড়েছে মৌসুমী ফল চাষীদের। পানির দামে বিক্রি হচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। এক দিকে টানা বর্ষা অন্য দিকে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে ক্রেতা শূণ্য হয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে।

রোববার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, জাতীয় ফল কাঁঠাল পানির দামে বিক্রি হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের কারণে হাট-বাজারগুলোতে ক্রেতা শূণ্য অন্য দিকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মৌসুমী ফল ব্যবসায়িরা আসতে না পাড়ায় ফল চাষী ও স্থানিয় ফল ব্যবসায়ির এবারে লাভের মুখ দেখেনি। তারা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে পানির দামে জাতীয় ফল বিক্রি করছেন।

ফল চাষী নুর ইসলাম ও ইমরান হোসেন জানান, তারা প্রত্যেকের ৫ থেকে ৭ টি করে কাঁঠাল গাছ থেকে ১০ থেকে ১২ টি কাঁঠাল বালারহাট বাজারে নিয়ে এসেছে। বাজারে ক্রেতা শূণ্য হওয়ায় পানির দরে কাঁঠাল বিক্রি করেছেন। ইমরান হোসেন ১২ টি কাঁঠাল বিক্রি করেন ১০০ টাকা এবং নুর ইসলাম ১০ টি কাঁঠাল বিক্রি করেন মাত্র ৭০ টাকা। 

একই বাজারে আসা ফল চাষী আব্দুর রব জানান, তার গাছের ১০টি কাঁঠাল বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন কিন্তু বাজারে ক্রেতা না থাকায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করে মাত্র ১টি কাঁঠাল বিক্রি করেছেন ১৫ টাকা।  

উপজেলার পশ্চিমফুলমতি এলাকার ফল ব্যবসায়ি জলেয়া রহমান জানান, এ বছর ফল চাষীদের কাজ থেকে ২২ টি কাঁঠাল গাছ ৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। বৃষ্টি ও লকডাউনের কারণে বাহিরের ফল চাষীরা আসতে না পাড়ায় পানির দামে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছি। এখনো ৯ টি গাছের কাঁঠাল আছে। এরকম বাজার দর থাকলে সব মিলে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই এ বছর লোকসান গুনতে হবে।

Advertisement

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানান, উপজেলা মোট ৪০ থেকে ৫০ হাজার জাতীয় ফল কাঁঠাল স্বাভাবিকভাবে কাঁঠাল গাছে ধরেছে। এ বছর বৈরী আবহাওয়া কারণে গাছের কাঁঠাল আকারে ছোট হয়েছে। তারপরেও এ উপজেলা চাহিদা পুরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। এ বছর টানা বৃষ্টি ও কঠোর লকডাউন থাকায় বাহিরের জেলাগুলো ফল ব্যবসায়িরা কাঁঠাল নিয়ে যেতে না পাড়ায় স্থানিয় বাজারগুলোতে পানির দরে এ সব কাঁঠাল বিক্রি করছেন।

মুনিয়া

রংপুর

চুরির দায়ে নারীকে বেধেঁ নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল!

Published

on

মোবাইল চুরির অপবাদে পঞ্চগড়ে মজিদা বেগম (২৬) নামে এক নারীর কোমড়ে রশি বেধেঁ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট বাজারে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

ভুক্তভোগী মজিদা বেগম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বামনহাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের স্ত্রী । ২ সন্তানের জননী হলেও, সাংসারিক কলহের জেরে একই উপজেলার ঝলঝলি গ্রামে দিনমুজুর বাবা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে থাকেন ওই ভুক্তভোগী নারী।

এ ঘটনার মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যান গাড়িতে এক নারীর সাথে তর্কে জড়িয়েছেন কয়েকজন নারী। এর মাঝে এক ব্যক্তি ওই নারীকে রশি দিয়ে বেধে রাখেন। আর তা দেখে দাড়িয়ে উপভোগ করছেন উৎসুক জনতা। তবে তর্কে জড়ানো নারী ও পুরুষের পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও তারা উপজেলার ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।স্থানীয়রা বলছে ঝলঝলি গ্রামের কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাথে মোবাইল চুরি নিয়ে তার সাথে তর্কে জড়ান। এর মাঝে এ ঘটনাটি ঘটে।

জেমজুট বাজারের ভাই ভাই হোটেল ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা বলেন, সকালে দোকানের কাজ করছিলাম। হঠাৎ পঞ্চগড় থেকে একটি ভ্যানে দুইটা মহিলা ও একটা পুরুষ আমার দোকানের সামনে আসে। এর মাঝে তারা তর্কে জড়ায়। ওই নারী পুরুষটাকে একপর্যায়ে গালাগালি করে আমার দোকানে চলে আসে। তার সাথে থাকা ছেলেটি আমার পাশের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে তাকে মারতে গেলে ওই নারীও তাকে মারতে যায়। এর মাঝে ৮-১০ জন মহিলে এসে তাকে ধরে নিয়ে বেধেঁ ভ্যানে করে নিয়ে যায়।

Advertisement

ঔষুধ ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি হঠাৎ অনেক লোকজনকে দেখতে পাই। এর মাঝে এক নারীকে ৮-১০ জন নারী আক্রমন করছে। তাদের কাছে জানতে গেলে বলেন মোবাইল চুরি করেছে। তাই তাকে ধরতে এসেছে সবাই। পরে তাকে রশি দিয়ে বেধে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমার কাছেও খুব খারাপ লেগেছে। তাই মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করি।

ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান বাবুল বলেন, ওই মেয়েটি কারো কথা শুনে না, বাড়িতেও থাকে না। চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে। সর্বশেষ মোবাইল চুরি করায় লোকজন তাকে ধরে নিয়ে এসেছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে একটি শালিস করে তার বাবার হাতে মেয়েটিকে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। তার এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সবাই।

বোদা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত না। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
নজরুল ইসলাম
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
১০৫,২০২৪

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দেশজুড়ে

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

Published

on

রংপুরের মিঠাপুকুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে লাভলু মিয়া ওরফে লয়েট (২৩) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদিকে ধর্ষক লয়েটের বাবা মা এর মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টম্বর রাতে আত্মহত্যা করে ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মোস্তফা কামাল আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পার্শ্ববর্তী জাফরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে লাভলু মিয়া ওরফে লয়েট। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর লয়েটকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর লয়েটকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে লয়েটের মা ও বাবা ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকিসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এমনকি সাথীর নামে নানা রকম কুৎসা রটাতে থাকেন। একপর্যায়ে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯র দিকে বিষপান করে সাথী। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে লয়েটের বাবা মতিয়ার রহমান ও মা লাভলী বেগমকে আসামি করে ৩০ সেপ্টেম্বর আরও একটি মামলা দায়ের করেন। যা এখনো বিচারাধীন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রফিক হাসনাইন রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময়ে তিনি দ্রুত রায় কার্যকরের দাবিও জানান।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

বিএসএফের গুলিতে ফের ২ বাংলাদেশি নিহত

Published

on

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে ইয়াসিন আলী (২৩) ও আব্দুল জলিল (২৪) নামে দুই বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছে। গেলো মঙ্গলবার (৭ মে) দিবাগত রাতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে গরু আনতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে ওই দুই যুবক নিহত হন।

বুধবার (৮ মে) সকালে তাদের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফের সদস্যরা।

নিহত ইয়াসিন আলীর উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ব্রহ্মতল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে এবং আব্দুল জলিল একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের জয়নুদ্দিন ছেলে।

বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার রনচন্ডি বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন খয়খাটপাড়া দরগাসিং সীমান্ত এলাকা দিয়ে কয়েকজন যুবক ভারতে গরু আনতে যায়। এসময় কাটা তারের বেড়া কেটে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তারা। পরে বিষয়টি টের পেয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর ১৭৬ ব্যাটালিয়নের ফকিরপাড়া ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় ঘটনাস্থলেই দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় বুধবার সকালে খয়খাটপাড়া সীমান্তে আধাঘণ্টাব্যাপী বিজিবি ও বিএসএফের ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। এছাড়া নিহত দুই বাংলাদেশীর মরদেহ বিএসএফ ভারতের ফাসিঁদেওয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানা গেছে।

Advertisement

বৈঠকে বিএসএফ জানায়, হামলার স্বীকার হয়ে আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি ছুড়েছেন। তবে এঘটনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে মরদেহ হস্তান্তর বা ফেরতের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। এসময় পতাকা বৈঠকে ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল যুবায়েদ হাসান, ১৭৬ বিএসএফের কমান্ড্যান্ট এসএস সিরোহী সহ বিজিবি বিএসএফের উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার বলেন, নিহতদের পরিবার ও প্রতিবেশীদের থেকে জানা গেছে অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের গুলি করে। এরপর নিহত ওই দুই যুবকের লাশ ভারতে নিয়ে যায়।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি অধিনায়ক লে কর্নেল জুবায়েদ হাসান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে দুইজন বাংলাদেশী যুবক মারা গেছেন এমন খবর সকালে পেয়েছি। পরে ক্যাম্প পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। তবে দুই বাংলাদেশীর মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে কোন কথা হয়নি। তবে তারা জানিয়েছে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version