Connect with us

ফুটবল

ভাঙা নাকের প্রতিশোধ নিতে পারবেন তো এনরিকে?

Published

on

১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে মুখোমুখি স্পেন-ইতালি। টানটান উত্তেজনা ছড়ানো সেই ম্যাচে হঠাৎই ঘটে অঘটন। ইতালির ডি বক্সের ভেতর লুইস এনরিকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ইতালিয়ান মাউরো তাসোত্তির কনুইয়ের ধাক্কায় নাক ভেঙে যায় এনরিকের। তবুও মন গলেনি রেফারির। পেনাল্টি বঞ্চিত স্পেন সেদিন ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল। ভাঙা নাক আর চোখের পানিতে মাঠ ছেড়েছিলেন এনরিকে। সেই ঘটনার পর পার হয়ে গেছে ২৭ বছর। সেদিনের সেই নাক ভাঙা খেলোয়াড় এখন স্পেনের কোচ। প্রতিপক্ষ তার নাক ভাঙা দল ইতালি।
 
ভাঙা নাকের প্রতিশোধ নিতে মঞ্চটা প্রস্তুত। ইতালিকে বিদায় করে নিজের দলকে ফাইনালে তুলতে পারলে সেদিনের সেই যন্ত্রণা কিছুটা হলেও তো কমবে এনরিকের। '৯৪ বিশ্বকাপের সেই ঘটনা এখনো দগদগে তার মনে। সেমিফাইনালে নামার আগে স্মৃতি রোমন্থন করে স্পেন কোচ বলেন, ‘অনেক বছর আগের কথা। আমার নাকটা বোধ হয় এখন ঠিকই আছে। সেদিন যে চেহারা হয়েছিল, অন্তত এত বছর পর তার চেয়ে ভালো আছে।’

তাসোত্তির সঙ্গে এরপর নাকি বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে এনরিকের। সেই ঘটনা বাদে ইতালিয়ান ফুটবলারকে মানুষ হিসেবে দারুণ মনে হয়েছে তার কাছে। ‘সেই ঘটনার পর থেকে তাসোত্তির সঙ্গে আমার চার থেকে পাঁচবার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। আমার সব সময়ই মনে হয়েছে তাসোত্তি দারুণ একজন মানুষ।’- এনরিকে বলেন। 

'৯৪ এর সেই ঘটনা মাথায় নিয়েই সেমিফাইনালের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে স্পেন কোচ। তবে সেই ঘটনাকে নিছক 'দুর্ঘটনা' বলেই মনে করেন তিনি। এনরিকে বলেন, ‘ওই ঘটনাটা অতীতের অংশ। সেটি ফুটবল ইতিহাসেরও অংশ। আমি আর তাসোত্তি দুজনই মনে করি, ওটা ছিল একটা দুর্ঘটনা। ঘটনাটি না ঘটলেও পারত। তবে যখন খেলোয়াড় ছিলাম, তখনকার আরও অনেক স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। সময়টা ছিল দুর্দান্তই। সেই ম্যাচটাও ছিল দুর্দান্ত। দুর্ভাগ্য যে স্পেন সে ম্যাচটি জিততে পারেনি। এবারের ইউরোতেও আমরা আরও একটা দুর্দান্ত ম্যাচে ইতালির মুখোমুখি হচ্ছি।’

এএ

ফুটবল

কোস্টারিকার হয়ে শেষ বললেন কেইলর নাভাস

Published

on

কোপা আমেরিকার আগেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে সরে দাঁড়ালেন কোস্টারিকা গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। এখনো দল ঘোষণা করেনি তারা। তবে নাভাসের এই সিদ্ধান্ত কিছুটা হতাশ করতে পারে কোস্টারিকাকে। আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা।

কোস্টারিকার হয়ে ১১৪ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন নাভাস। তার অভিষেক হয় ২০০৮ সালে। বিশ্বকাপ খেলেছেন ৩ টি। নাভাস ও কোস্টারিকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় এসেছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল দলটি।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে একতি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে সর্বশেষ কোস্টারিকার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন নাভাস। এই ফুটবলার বলেন, “জীবনের এই অধ্যায়ের শেষ দিকে এসেছি, আমি কৃতজ্ঞতা ভরা হৃদয় নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছি। আমার চোখ এখন সামনের দিকে, আমার প্রিয় কোস্টারিকার নাম আমি সবসময় বহন করে যাব।“

প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) এর হয়ে ২০১৯ সাল থেকে খেলছেন নাভাস। গত বছর লোনে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নটিংহ্যাম ফরেস্টের হয়ে খেলেছেন। এই গোলরক্ষক পিএসজির হয়ে ৩ টি লিগ-ওয়ান জিতেছেন। এর আগে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন নাভাস, যেখানে ৩ টি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন তিনি।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

জাভিকে বরখাস্ত করলো বার্সেলোনা

Published

on

অবশেষে জাভি হার্নান্দেজ বরখাস্ত হলেন। নানা গুঞ্জন ছিল তাকে নিয়ে। বার্সেলোনায় টিকে থাকবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানাভাবে। একবার চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার অনুরোধে আবার ফিরেও আসেন। তবে এবার জাভিকে বরখাস্ত করলো বার্সা কর্তৃপক্ষ। শোনা যাচ্ছে নতুন দায়িত্বে জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিককে দায়িত্ব দিতে পারে স্প্যানিশ ক্লাবটি।

নাটকীয়তা চলছিল বেশ। সরিয়ে দেওয়া হবে জাভিকে এমন আলোচনা ও খবর ভেসে বেড়াচ্ছে বেশ কয়েকদিন থেকেই। শেষমেশ আজ (শুক্রবার) বার্সা থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়। যেখানে একটি সভা ও আলোচনা শেষে বার্সেলোনা ও জাভির মধ্যে নেওয়া সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আগামী রবিবার সেভিয়ার বিপক্ষে লিগের শেষ ম্যাচ খেলবে বার্সেলোনা। সেখানে ডাগ-আউটে সাবেক ক্লাবের হয়ে শেষবারের মতো দেখা যাবে জাভিকে। এই ফুটবলার দীর্ঘ ১৭ বছর খেলেছেন বার্সার হয়ে। তিনি স্প্যানিশ এই ক্লাবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০২১ সালে। চলতি মৌসুমে বার্সা বেশ হতাশ করেছে জাভির অধীনে।

Advertisement

ডাগআউটে জাভি ছিলেন, এমন ১৪১ টি ম্যাচ খেলেছে বার্সেলোনা। যার মধ্যে জয় এসেছে ৮৯ টি ম্যাচে।

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

ফিফার শাস্তি নিয়ে বিবৃতি দিলেন সালাম মুর্শেদী

Published

on

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহ সভাপতি ও ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী সহ ৫ জনকে শাস্তির আওতায় এনেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)। এই প্রেক্ষিতে আজ (শুক্রবার) এক বিবৃতি দিয়েছেন সালাম। যেখানে বাফুফের প্যাডে তার স্বাক্ষর করা ছিল।

বুধবার (২৩ মে) এক বিবৃতি প্রকাশ করে ফিফা। যেখানে সালামের বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়, যেখানে তাকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ২ বছর নিষিদ্ধ ছিলেন, যা বাড়িয়ে ৩ বছর করা হয়েছে। তাকে ২০ হাজার ফ্রা জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়াও আরো ৩ কর্মকর্তার জন্য শাস্তি আরোপ করা হয়েছে।

সালাম আজ তার বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ক্রয় প্রক্রিয়ায় ৪ জন স্বাক্ষরকারীর মধ্যে দুইজনকে ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের সরাসরি জড়িত না থাকায় তাকে খারিজ করা হয়েছে। তবে আমি যেহেতু ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান সে কারণেই আমাকে গুনতে হচ্ছে (নূন্যতম সুইস ফ্রাঁ ১০,০০০) আর্থিক জরিমানা।“

বাফুফের অনিয়ম নিয়ে ফিফা বেশ অবগত ছিল। তার নিশ্চিত হয়ে অবশেষে রিপোর্ট প্রকাশ করে এবং শাস্তি আরোপ করে। যা ফুটবলের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির বিবৃতিতে জানা যায়।

সালাম আরও জানিয়েছেন, “২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এথিক্স কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি শুনানির আয়োজন করে। যেখানে আমার বিরুদ্ধে ফিফার অনুচ্ছেদ ১৪, ১৬ ও ২৫ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। উক্ত শুনানিতে আমি নিজেই আমার আইনজীবীদের সঙ্গে উল্লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করার পক্ষে অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য যুক্তি স্থাপন করি। ফলস্বরূপ ৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে ফিফা এথিক্স কমিটির অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার কর্তৃক গৃহীত পরবর্তী সিদ্ধান্তে আমার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটি যথাক্রমে খারিজ করে দেয়।“

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version