পর্যটন
বাংলাদেশের যে ৫টি স্থান পর্যটকদের কাছে আর্কষণীয়
আজ বাংলাদেশ সহ নানা দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস।
বাংলাদেশের এমন বেশ কয়েকটি স্থান রয়েছে যেস্থানগুলো অনেক পর্যটকদের কাছে পছন্দের জায়গা।
এমন কিছু স্থানের কথা জানিয়েছেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন পাঠকরা। জেনে নিন পছন্দের তালিকায় বেশি স্থান পাওয়া জায়গা গুলোর নাম।
বান্দরবান:
পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পার্বত্য-জেলা বান্দরবান। এখানকার বিভিন্ন স্থানের কথা উল্লেখ করেছেন অনেকে।
মিতুল আর হোসাইন নামে একজন লিখেছেন বান্দরবানের নীলগিরি তার প্রিয় একটি স্থান।
পাহাড়, নদী, ঝর্ণা এবং সবুজ এসব কিছু মিলিয়ে অনেকের প্রিয় পার্বত্য এই জেলা।
আরো দেখতে পারেন: ছবিতে টাঙ্গুয়ার হাওর
বাংলাদেশে আপনাদের পছন্দের স্থানগুলো দেখুন ছবিতে
নাফাখুম ঝর্ণা
ছবির উৎস,মীর সাব্বির
ছবির ক্যাপশান,
নাফাখুম ঝর্ণা। অনেকেই ট্রেকিং করে এখানে যাচ্ছেন।
স্বর্ণমন্দির
ছবির উৎস,বান্দরবান জেলা তথ্য বাতায়ন
ছবির ক্যাপশান,
বান্দরবানের স্বর্ণমন্দির অনেকের পছন্দ।
পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ রয়েছে এখানে অবস্থিত নাফাখুম ঝর্না। জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত।
এটাকে বাংলাদেশের অন্যতম জলপ্রপাত হিসেবে ধরা হয়। নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে একটি।
সেখান সমুদ্রপৃষ্ঠ থে প্রায় দুই হাজার ফুট উঁচুতে উঠলে আপনি মেঘের দেশে চলে যাবেন। আরো রয়েছে বগালেক, স্বর্ণ-মন্দির এছাড়া রয়েছে কেওক্রাডং পর্ব যেটা রুমা উপজেলায় অবস্থিত।
কক্সবাজার:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
এখানে শুধু দেশি পর্যটকরা যান না, বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ে। ১১১কি.মি. সমুদ্র সৈকত অনেকের পছন্দ।
এছাড়া এখানকার বিভিন্ন দ্বীপ যেমন মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, শাহপরি, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ( স্থানীয় অনেকের কাছে নারিকেল জিঞ্জিরা), মাতাবাড়ি, বন,বৌদ্ধমন্দির রয়েছে।
আরো পড়তে পারেন:
বেড়ানোর নতুন জায়গাগুলো কতটা নিরাপদ?
ফেসবুকে গড়ে উঠেছে মেয়েদের ঘুরে বেড়ানোর দল
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার
ছবির উৎস,শাহনাজ পারভীন
ছবির ক্যাপশান,
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার
সিলেট:
সিলেটের কয়েকটি স্থান রয়েছে পছন্দের তালিকায়। সিলেটের জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুল এসব স্থানের কথা উল্লেখ করেছেন অনেকেই।
সাথে রয়েছে চা বাগানের ওপর বাড়তি আকর্ষণ। উত্তর-পূর্বের জেলা অনেকগুলো স্থান রয়েছে দেখার মত।
এর খুব কাছেই উত্তরে ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড়। এ জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৮২টি হাওর-বিল রয়েছে।
টাঙ্গুয়ার হাওর
ছবির উৎস,SHYADUL ISLAM
ছবির ক্যাপশান,
বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওর, অনেকেই যান এই হাওর ভ্রমণে।
সেন্টমার্টিন:
যারা শুধু সমুদ্রের নীল পানি আর নিরিবিলি সময় কাটাতে চান তাদের কাছে পছন্দের জায়গা সেন্টমার্টিন।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সর্ব-দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মাঝে এই দ্বীপের অবস্থান।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ এটি। স্থানীয়ভাবে নারকেল জিঞ্জিরা নামে পরিচিত, অনেকে দারুচিনি দ্বীপ নামেও এক সময় পরিচিত ছিল স্থানটি।
চারিদিকে পানি আর মাঝখানে আট বর্গ কিলোমিটারের এই ছোট দ্বীপটি একদিনেই পায়ে হেঁটে ঘুরে আসা যায়।
বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ
ছবির উৎস,MAJORITY WORLD
ছবির ক্যাপশান,
বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ
রিছাং ঝর্ণা
ছবির উৎস,বিবিসি বাংলা
ছবির ক্যাপশান,
খাগড়াছড়ির রিছাং ঝর্ণা
খাগড়াছড়ি:
বাংলাদেশের পার্বত্য আরেকটি জেলা খাগড়াছড়ি। এই স্থানটি রয়েছে পর্যটকদের পছন্দের তালিকায়।
নদী, পাহাড়, রাবার বাগান, আলুটিলা সুড়ঙ্গ, রিছাং ঝর্ণা দেখতে অনেকেই যান এখানে।
এছাড়া দিনাজপুরের রামসাগর, বরিশালের লাল শাপলার বিল, কুমিল্লা কোটবাড়ি, মহাস্থানগড়, বগুড়া, রাঙ্গামাটি. সুন্দরবনের কথা উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ।
আন্তর্জাতিক
‘শেনজেন’ স্টাইলে ভিসা দেবে মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ
এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মতো ‘শেনজেন স্টাইলে’ পর্যটকদের ভিসা দিতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা বিষয়ক কাউন্সিল জিসিসি। তেল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্য খাতকে শক্তিশালী করতে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিসিসি সদস্যভূক্ত দেশগুলো হলো-সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বুধবার (০৮ মে) ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেনজেন স্টাইলের এই ভিসা নিয়ে একজন জিসিসি সদস্যভূক্ত দেশগুলো ছাড়া অন্য দেশের পর্যটক এক মাসে জিসিসিভুক্ত ছয়টি দেশ সফর করতে পারবেন।
গত সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে এরাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া এক বক্তব্যে এমন তথ্য জানান দেশটির অর্থমন্ত্রী আবদুল্লা বিন তুক আল মারি। নতুন প্রস্তাবিত এ ভিসার নাম হবে- ‘জিসিসি গ্রান্ড ট্যুরস’।
ওই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আরও জানান, মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণকে যৌক্তিকভাবে সহজ করতে এবং পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
‘শেনজেন স্টাইলের ‘ মতো ভিসা চালুর ব্যাপারে জিসিসির সদস্য রাষ্ট্রগুলো সবুজ সংকেত দিয়েছে উল্লেখ করে আবদুল্লা বিন তুক আল মারি বলেন, ‘এই ভিসা নিয়ে একজন পর্যটক ৬টি দেশই সফর করতে পারবেন।’একজন পর্যটক জিসিসির এ ভিসা নিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ৩০ দিন অবস্থান করতে পারবেন।’ মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা খুব শিগগিরই এ ভিসা চালুর আশা করছেন বলেও তিনি জানান।
এমআর//
আন্তর্জাতিক
তিন লাখেরও বেশি হোটেলকক্ষ বানাবে সৌদি আরব
সৌদি আরবের পর্যটন খাতকে ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার। অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির সরকার এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আরও তিন লাখের বেশি হোটেলকক্ষ বানাতে যাচ্ছে সৌদি সরকার।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্যটন খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার ধারাবাহিকতায় হোটেলের সক্ষমতা বাড়াতে যাচ্ছে দেশটি। আসছে ২০৩০ সালের মধ্যে আরও তিন লাখ ২০ হাজার হোটেল কক্ষ বানানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক রিযেল এস্টেট ও এস্টেট এজেন্সি-নাইট ফ্রাংক এতথ্য জানিয়েছে।
নাইট ফ্রাংকের তথ্যমতে, চলতি দশকের শেষে দেশটিতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তাই এসময়ের মধ্যে নতুন করে হোটেল কক্ষের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তৈরি হতে যাওয়া হোটেলকক্ষের ৬৬ ভাগই হবে বিলাসবহুল ও উচ্চশ্রেণির। আসছে ২০৩০ সাল নাগাদ সৌদির পর্যটন খাত ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এ সময়ে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ হোটেল কক্ষের চাহিদা দেখা দেবে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের শেষে সৌদি আরবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। দেশটির জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান প্রায় ৬ শতাংশ। যা এ দশকের শেষে ১০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে দেশটির সরকার।
প্রসঙ্গত,পর্যটন খাতের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রথমার্ধে ২০২৩ সালে ব্যয় বেড়ে ৮ হাজার ৭০০ কোটি রিয়ালে পৌঁছেছে। এটি ২০২২ সালের তুলনায় ১৩২ শতাংশ বেশি। এসময়ে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যাও বেড়েছে ১৪২ শতাংশ। এ সময় সৌদি আরবে এক কোটি ৪৬ লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটক এসেছেন।
পর্যটন
বান্দরবানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত
বান্দরবানের রুমায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে রুমা উপজেলা প্রশাসন। এর আগে সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর পরিচালিত অভিযানে জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল আলম স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ এপ্রিল যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে রুমা উপজেলার পর্যটন এলাকায় যে কোনও ধরনের পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। আজ শুক্রবার (১২ এপিল) এ কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
এর আগে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, যৌথ বাহিনী অভিযান চালানোর সময় কোনও হোটেলে রুম ভাড়া দেওয়া যাবে না। কোনও পথপ্রদর্শক ও পর্যটককে পর্যটনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে না। কোনও পর্যটনকেন্দ্রে জিপ গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না এবং নৌপথেও পর্যটককে পর্যটনকেন্দ্রে না যেতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অস্ত্র-টাকা লুটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
-
বলিউড7 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
-
অপরাধ2 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
ঢাকা7 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
-
জাতীয়5 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
আন্তর্জাতিক7 days ago
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
-
অপরাধ6 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
-
আইন-বিচার6 days ago
এবার “রিচার্জ” এনার্জি ড্রিংকসকে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
-
ঢাকা4 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন