Connect with us

এশিয়া

আফগানিস্তানের ৮৫ ভাগ এলাকা দখলের দাবি করেছে তালেবান

Published

on

আফগানিস্তানের ৮৫ ভাগ এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। শুক্রবার একথা জানিয়েছে তালেবান কর্মকর্তারা। তবে, এই সময়ে এই দাবির সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, তালেবানদের এমন দাবি অপপ্রচার বলে আখ্যা দিয়েছে আফগান সরকার।

বৃহস্পতিবার আফগান-ইরান সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং তালেবানরা দখলে নিয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। গুরুত্বপূর্ণ হেরাত প্রদেশও দখল করে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। এছাড়াও তুর্কমেনিস্তান সীমান্তের কাছে তরঘুন্ডি শহরও দখলে নিয়েছে তারা।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সীমান্ত পারাপার এলাকা ইসলাম ক্বালা ক্রসিং পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলার মুখে ইরানে পালিয়ে গেছে আফগান বাহিনীর সদস্যসহ কাস্টমস কর্মকর্তারা। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর উত্তর আফগানিস্তানের ইরান সীমান্তবর্তী ইসলাম ক্বালা ও তুর্কমেনিস্তান সীমান্তবর্তী তরঘুন্দি সীমান্ত ক্রসিংয়ের দখল নেয় তালেবান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে সীমান্ত ক্রসিংয়ের সরকারি রাজস্ব কার্যালয়ের ছাদে উঠে সরকারি পতাকা নামাচ্ছে তালেবান সদস্যরা।

Advertisement

দুটি সীমান্ত ক্রসিং বেদখলের কথা স্বীকার করেছে আফগান সরকারি বাহিনী।

আফগান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারেক আরিয়ান জানান, ক্রসিং দুটি পুনর্দখলের চেষ্টা অব্যহত রেখেছে সরকারি বাহিনী। সেখানে সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ অন্যান্য সব বাহিনী রয়েছে।

বর্তমানে আফগানিস্তানের প্রায় ৪শ’ জেলার এক তৃতীয়াংশের বেশি দখলে নিয়েছে তালেবান। এর মধ্যে ইরান সীমান্তবর্তী এলাক যেমন রয়েছে, অন্যদিকে চীন সীমান্তবর্তী ভূমিও রয়েছে।

এদিকে, বিনা সংঘাতে তালেবান হেরাত প্রদেশের পাঁচটি জেলার দখল নিয়েছে বলে শোনা গেছে।

 

Advertisement

এসএন

এশিয়া

লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় রাইসির শেষ বিদায়

Published

on

লাখো মানুষের ঢল নেমেছে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। সদ্য প্রয়াত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটিতে জড়ো হয়েছেন তারা। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।

পরদিন সোমবার রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলের বলে জানানো হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে। ১৯৬০ সালে একটি মার্কিন কোম্পানি দুই ব্লেডের এই মডেলটি তৈরি করেছিল কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য।

আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।

Advertisement

একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে।

তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে মনে করা হয়েছিল একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন ইব্রাহিম রাইসি।

ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো ইরান

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পরপরই আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে ইরান। আগামী জুন মাসের শেষের দিকে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরান সোমবার ঘোষণা করেছে, আগামী ২৮ জুন দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইরানের রাষ্ট্রচালিত বার্তাসংস্থা আইআরএনএ-এর মতে, বিচার বিভাগীয়, নির্বাহী ও আইনসভা কর্তৃপক্ষের প্রধানদের মধ্যে বৈঠকের পর দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে এবং আগামী ১২ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।

Advertisement

সোমবার (২০ মে) পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, গেলো রোববার ইরান-আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রেসিডেন্ট রাইসির ফেরার সময় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।

পরে সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।

এই দুর্ঘটনার ফলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, সেইসাথে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমেতি এবং তাবরিজ প্রদেশের ইমাম আয়াতুল্লাহ আলী হাশিমের মৃত্যু হয়েছে।

রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নেতানিয়াহু-হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন

Published

on

গাজায় যুদ্ধাপরাধের উসকানি,পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের প্রধান নির্বাহী ইসমাইল হানিয়াসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খান এ আবেদন করেন বলে এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

করিম খান জানান, গেলো ৭ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য নেতানিয়াহু-হানিয়াসহ মোট ৫ জন মূলত দায়ী। গত ৭ মাসে গাজায় যত যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, সেসবের জন্যও দায়ী এই ৫ জন। এ কারণেই এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

এই তালিকায় থাকা অন্যান্যরা হলেন, হামাসের অপর দুই শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মোহাম্মেদ আল মাসরি ওরফে দেইফ আল মাসরি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তও রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তা বাস্তবায়নের জন্য শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতা আদালতটির নেই। তবে মূল সমস্যা হলো, একবার যদি আইসিসি পরোয়ানা জারি করে— তাহলে তা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোতে সফর করা ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হবে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং তালিকার অপর তিন জনের জন্য।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version