Connect with us

জাতীয়

তারা করোনাকে সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বর ভাবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

ইউনিয়ন ও উপজেলার মানুষ সচেতন নয়। তারা করোনাকে সাধারণ ঠাণ্ডা জ্বর ভাবে। এতে সংক্রমণ বেড়েছে। শহরের তুলনায় সংক্রমণ এখন গ্রামাঞ্চলেই বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ভ্যাকসিনের কোনও সংকট নেই। সবাই ভ্যাকসিন নেবেন, মাস্ক পরবেন। তবে করোনাকালে বাল্য বিবাহ এবং পারিবারিক কলহ বেড়েছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

তিনি বলেন, তারা করোনা আক্রান্ত হলেও মনে করে স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি, কাশি হচ্ছে। রোগীর পরিস্থিতি জটিলাকার ধারণ করলেই হাসপাতালে আসছেন, কিন্তু ততক্ষণে আর চিকিৎসকদের কিছুই করার থাকছে না।

জাহিদ মালেক বলেন, যারা ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে বসবাস করেন, তারা করোনা নিয়ে এতটা সচেতন নয়। গ্রামের ওইসব লোকজনের এক পর্যায়ে যখন শ্বাসকষ্ট একদম বেড়ে যায়, তখন তারা হাসপাতালে ছুটে আসে। কিন্তু তখন তাদের ফুসফুসের প্রায় ৭০ শতাংশের মতো আক্রান্ত হয়ে গেছে। তখন আর চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে এলজিআরডি, স্বরাষ্ট্র, তথ্য মন্ত্রণালয়সহ আরও যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা হয়েছে। যেখানে রোগী বেশি ওইসব এলাকাতে নতুন করোনা হাসপাতাল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জাতীয়

সংলাপে বসছে সৌদি-বাংলাদেশ, গুরুত্ব পা‌বে যেসব বিষয়

Published

on

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় রাজনৈতিক সংলাপে বসছে বাংলাদেশ। সোমবার (১ জুলাই) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সংলা‌পে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যু গুরুত্ব পা‌বে। এছাড়া রিজার্ভ সংকট মেটাতে সৌ‌দি থে‌কে তহ‌বিল চাওয়ার পাশাপা‌শি দেশটির যুবরাজের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর নি‌য়ে আলোচনা হ‌বে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার রিয়াদে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপে বসবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ওই সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক পর্যালোচনা, সৌদি যুবরাজের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর, জনশক্তি রপ্তানি, বেসরকারি খাতে ব্যবসা বাড়ানো, সৌদি উন্নয়ন তহবিলের (এসএফডি) মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা, যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশ ইউরিয়া ও ডিএপি সার কারখানা স্থাপন, বাংলাদেশের পেট্রো-ক্যামিকেল ও পর্যটনে সৌদি বিনিয়োগের উদ্যোগ ও প্রস্তাবিত বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলোতে আলোচনা হবে।

দ্বিপক্ষীয় ইস্যুর বাইরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু উঠে আসবে আলোচনার টেবিলে। এগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ফিলিস্তিন সংকট, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি, ইয়েমেন পরিস্থিতি, পবিত্র মক্কা-মদিনাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হুতিদের হামলা, রোহিঙ্গা সংকট, ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব। এছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ করে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে একে অপরকে সমর্থনের বিষয়টি আসতে পারে আলোচনায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের সামগ্রিক ইস্যুতে আলোচনা হবে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। সৌদি যুবরাজের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা হবে। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু বেশ গুরুত্ব পাবে। এক্ষেত্রে গাজা ইস্যু বেশি ফোকাসে থাকবে। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যু আমরা তুলব।

Advertisement

রোববার (৩০ জুন) পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, সৌদি আরব আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। সেখানে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করে এবং দেশে রেমিট্যান্স পাঠায়। গ্রিন এনার্জি, সৌরশক্তি ও বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সঙ্গে সৌদি সহযোগিতায় রয়েছে। শিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য আমরা তাদের বলব।

পাশাপাশি সৌদিরা যেহেতু বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে অর্থ রাখে, আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ রাখার প্রস্তাব তাদেরকে দিতে পারি। তারা নিয়মানুযায়ী লাভ পাবে এবং সেই অ্যাকাউন্ট থেকে তারা তাদের মুদ্রায় লেনদেন করতে পারবে। বিদেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অফশোর অ্যাকাউন্ট সুবিধার জানালা আমরা উন্মুক্ত করেছি, এটি আমরা তুলে ধরতে চাই, বলেন মন্ত্রী।

সংলা‌পে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ও মধ্য এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও পরিচালক শফিকুর রহমান ও নাফিসা মনসুরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপ‌স্থিত থাক‌বেন।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মেট্রোরেলে ভ্যাট আদায়ের বিষয় যা জানালো ডিএমটিসিএল

Published

on

নগরবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা গণপরিবহন মেট্রোরেলে এখনই মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বসছে না। মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায়ের বিষয়ে এখনও কোনো প্রস্তুতি নেয়নি ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ভ্যাট কমানোর বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেয়া চিঠির প্রতিউত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে সংস্থাটি।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ আছে, যার সময়সীমা আজ রোববার (৩০ জুন) পর্যন্ত শেষ হওয়ার কথা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই ভ্যাট মওকুফের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে কিছু বলেননি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর ফলে আগামীকাল সোমবার, ১ জুলাই নতুন অর্থবছর থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসার কথা।

২০২৩ সালের শুরু থেকেই মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট আরোপের উদ্যোগ নেয় এনবিআর। ওই বছরের ২২ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী ভ্যাট আরোপের আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (মেট্রোরেল কোম্পানি) চিঠি দেন।

পরে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এনবিআরের একাধিক বৈঠকও হয়। তবে ভ্যাট আরোপ থেকে এনবিআর শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসে। ২০২৩ সালের মে মাসে এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট মওকুফ থাকবে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট আরোপ না করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। কিন্তু এনবিআর এই মওকুফ সুবিধা আর অব্যাহত রাখতে আগ্রহী নয়। কারণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুসারে সব ধরনের করছাড় কমাতে হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, এনবিআরের ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায়ের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ১৯ মে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনর্বিবেচনা করতে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন। পৃথিবীর কোন দেশে মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে-এমন প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, ভারতের মেট্রোরেলেও ভ্যাট নেই। তাহলে আমরা কেন ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসাব?

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

উন্নয়ন বাজেটে বিদেশনির্ভরতা কমিয়ে আনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: বাসস

‘উন্নয়ন বাজেটে বিদেশনির্ভরতা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন আমাদের দেশের উপযোগী বা পছন্দমতো না হলে অনেক বিদেশি ঋণপ্রস্তাব আমরা ফিরিয়ে দেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। তবে দেশ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির নানাদিক বিবেচনায় কিছু বৈদেশিক ঋণ নিতে হয়।’

রোববার (৩০ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় বিএনপির আমলে বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রীকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে প্যারিস কনসোর্টিয়ামে যেতে হতো। তাদের সময় বিশেষ করে উন্নয়ন বাজেটে বিদেশনির্ভরতা ছিল ৫০ শতাংশের বেশি। আজকে এটি ১৫-২০ শতাংশে নেমে এসেছে। এখন আমরা বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে অনেকের ঋণপ্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি, ফিরিয়ে দেই।’

সোমবার (১ জুলাই) সৌদি আরবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের পলিটিক্যাল কনসালটেশনে যোগ দিতে রিয়াদ যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এবিষয়ে  সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সৌদি আরব আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। সেখানে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করে এবং দেশে রেমিট্যান্স পাঠায়। গ্রিন এনার্জি, সৌরশক্তি, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সাথে সৌদি সহযোগিতা রয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য আমরা তাদের বলব।’

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাশাপাশি সৌদিরা যেহেতু বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে অর্থ রাখে, আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ রাখার প্রস্তাব তাদের দিতে পারি। তারা নিয়মানুযায়ী লাভ পাবে এবং সেই অ্যাকাউন্ট থেকে তারা তাদের মুদ্রায় লেনদেন করতে পারবে। বিদেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অফশোর অ্যাকাউন্ট সুবিধার জানালা আমরা উন্মুক্ত করেছি, এটি আমরা তুলে ধরতে চাই।’

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version